বেলে দোআশ ও দোআশ মাটি ভুট্টা চাষের জন্য উপযোগী। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন জমিতে পানি জমে না থাকে।
মসুর ডাল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান খাদ্যশস্য। এর ইংরেজি নাম Red lentil। এ ডালকে পানিতে সেদ্ধ করে তেল-মশলা সহযোগে রান্না করা হয় এবং রান্না করা ডাল মিশিয়ে ভাত খাওয়া হয়। মানব দেহে আমিষের প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বলা হয়ে থাকে মসুর ডাল গরিবের জন্য মাংস। মসুর ডাল দেখতে হালকা লাল বর্ণের। দানাগুলো খেসাড়ী, কলাই বা বুটের ডাল থেকে ছোট। মসুর ডাল উচ্চ আমিষসমৃদ্ধ ; ফলে মানব দেহে আমিষের অভাব পূরণ করার জন্য যথেষ্ট।
সব ধরনের মাটিতেই মসুর চাষ করা যায়। তবে সুনিষ্কাশিত বেলে দোঁয়াশ মাটিতে এটি ভালো জন্মে। মসুর সাধারণত উষ্ণ তাপমাত্রায় ভালো জন্মে। কিন্তু অঙ্কুরোদগমের জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা হলো ১৫-২০° সেন্টিগ্রেড। তাপমাত্রা এর চেয়ে নামলে অঙ্কুরোদগম এবং ফলন কম হয়। অন্য দিকে বীজের আকার ও এর অঙ্কুরোদগমের ওপর প্রভাব ফেলে। যেমন বড় আকারের বীজের চেয়ে ছোট আকারের বীজ অপেক্ষাকৃত দ্রুত অঙ্কুরিত হয়।
সরিষা বাংলাদেশের প্রধান ভোজ্য তেল ফসল। বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ হেক্টর জমিতে এর চাষাবাদ করা হয় এবং প্রায় আড়াই লক্ষ টন তেল পাওয়া যায়। বিভিন্ন জাতের সরিষার বীজে প্রায় ৪০-৪৪% তেল থাকে। খৈলে প্রায় ৪০% আমিষ থাকে। তাই খৈল গরু ও মহিষের জন্য খুব পুষ্টিকর খাদ্য।
বিভিন্ন অঞ্চলের তারতম্য এবং জমির অবস্থা অনুসারে টরি-৭, কল্যাণীয়া, সোনালী সরিষা, বারি সরিষা-৬, বারি সরিষা-৭ ও বারি সরিষা-৮ এর বীজ মধ্য আশ্বিন থেকে মধ্য-কার্তিক মাস (অক্টোবর) পর্যন্ত বোনা যায৷ রাই-৫ এবং দৌলত কার্তিক থেকে অগ্রহায়ণ (মধ্য-অক্টোবর থেকে মধ্য-নভেম্বর) মাস পর্যন্ত বপন করা যেতে পারে৷ দেশের উত্তরাঞ্চলও দক্ষিণাঞ্চলে যথাক্রমে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে সরিষার বীজ বুনতে হয়৷ দেশের মধ্যাঞ্চলে অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে বীজ বুনতে হয়৷ নেপাস জাতের সরিষা মধ্য নভেম্বর পর্যন্ত বপন করা যায়৷
ধানের রোগ ধানের স্বাভাবিক ফলন ব্যহত করে থাকে। ধানের সুস্থ স্বাভাবিক ফলন বৃদ্ধি চলমান রাখার জন্য ধানের রোগ চিহ্নিত করে তা দমনের ব্যবস্থা করতে হবে।
জমি, মৌসুম, পরিবেশ ও শস্যক্রম বিবেচনায় রেখে উপযুক্ত ধানের জাত নির্বাচন করা উচিত।
রিলে ফসল হিসেবে আমন ধানের জমিতে খেসারি চাষ করা যায়। এটিকে পয়রা চাষও বলে।
ফসলের উচ্চ ফলন নিশ্চিত করতে এবং পানির ক্ষতি কমানোর জন্য ধান ক্ষেতে পানি ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে, ধান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফসল, এবং খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য পানি ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য।
ধান ক্ষেতে মাছ ও চিংড়ি চাষ খুবই লাভজনক। উপযুক্ত পরামর্শের অভাবে অনেকেই এই লাভজনক চাষ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সুতরাং যথাযথ প্রশিক্ষনের মাধ্যমে এ চাষের মাধ্যমে লাভবান হওয়া সম্ভব।
ধান চাষের জন্য ধানের বীজতলা তৈরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ ধানের ফলন ধানের বীজতলার উপর নির্ভর করে। স্বাস্থ্যবান চারা হলে ধানের ফলন ভাল হয় তা না হলে ধানের ভাল ফলন ব্যহত হয়। সুতরাং ধানের বীজতলার উপর প্রত্যেক কৃষকের নজর দেয়া উচিৎ।
যেকোন ফসলের জন্য পরিমিত মাত্রায় সার প্রয়োগ অপরিহার্য একটি বিষয়। সার প্রয়োগের উপর ফসলের উৎপাদনশীলতা নির্ভর করে। এজন্য জমি ও ফসলের ধরণ অনুযায়ী সার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে কৃষকদের জনা প্রয়োজন।