মুলা অনেকের কাছে প্রিয় হলেও অনেকে আবার খেতে পছন্দ করেন না। মুলার গন্ধটাই মূলত তাদের অপছন্দের কারণ। গতানুগতিক ভাজি বা ঝোল রান্না না করে রাঁধতে পারেন ব্যতিক্রম কিছু।তাইতো আপনাদের জন্য আজকের রেসিপিতে আমরা নিয়ে এসেছি মুলার কোফতা রেসিপি।
রান্না-বান্না ও মুখরোচক খাবার তৈরি ছাড়াও মরিচ বিভিন্ন ধরনের আচার তৈরির উপাদান হিসেবে ব্যবহার হয়। অনেকে মরিচের আচারও করে থাকেন। মরিচ চাষ অত্যন্ত লাভজনক। শুকনো মরিচে আমিষ, প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘সি’ থাকে।মরিচের ক্ষেতে বিভিন্ন ধরণের রোগ বালাইয়ের আক্রমণ হয়।
স্যুপ থেকে অনেকেই পছন্দ করেন। হরেক পদের স্যুপ রেসিপি রয়েছে। স্যুপ এমন একটি রেসিপি যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী, তাইতো আজকের রেসিপিতে আমরা আপনাদের জানাবো অন্যরকম একটি স্যুপ রেসিপি আর তা হলো পালং ও মসুর ডালের স্যুপ।
কাঁঠাল এর বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus heterophyllus (ইংরেজি নাম: Jackfruit) মোরাসিয়া পরিবারের আর্টোকার্পাস গোত্রের ফল। এক প্রকারের হলুদ রঙের সুমিষ্ট গ্রীষ্মকালীন ফল। এটি বাংলাদেশের জাতীয় ফল হিসাবে সরকারীভাবে নির্ধারিত। বাংলাদেশের সর্বত্র কাঁঠাল গাছ পরিদৃষ্ট হয়। কাঁচা কাঁঠালকে বলা হয় এঁচোড়। কাঁঠাল গাছের কাঠ আসবাবপত্র তৈরীর জন্য সমাদৃত। কাঁঠাল পাতা বিভিন্ন প্রাণীর পছন্দের খাদ্য। তুলনামূলকভাবে বিশালাকার এই ফলের বহির্ভাগ পুরু এবং কান্টকাকীর্ণ, অন্যদিকে অন্তরভাগে একটি কাণ্ড ঘিরে থাকে অসংখ্য রসালো কোয়া। কাঁঠালের বৃহদাকার বীজ কোয়ার অভ্যন্তরভাগে অবস্থিত।
তরমুজ একটি সুস্বাদু এবং গরমের সময় অত্যন্ত তৃপ্তিদায়ক ও তৃষ্ণা নিবারক একটি ফল। আমাদের দেশে যেসব উন্নতমানের তরমুজ পাওয়া যায় তা দেশের বাইরে থেকে আমদানিকৃত সংকর জাতের বীজ থেকে চাষ করা হয়ে থাকে।তরমুজে প্রায় ৯৬ ভাগই পানি এবং প্রচুর খনিজ লবণ থাকায় দেহে লবণ ও পানির ঘাটতি পূরণ করে। আসুন, আমরা জেনে নেই কীভাবে এই উপকারী ফলটি চাষ করতে হয়। চাষের জন্য টব বা প্লাস্টিক অথবা কাঠের কনটেইনারও ব্যবহার করা যায়। মাঝারি সাইজের একটি টব বেছে নিন। প্লাস্টিকের বালতিতেও করতে পারেন।
কিরপা একপ্রকার গুল্ম জাতীয় চিরহরিৎ উদ্ভিদ যা বাংলাদেশের সুন্দরবনে অহরহ দেখা যায়। এটি Combretaceae পরিবারের সদস্য, বৈজ্ঞানিক নাম: Lumnitzera recemosa। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-৪ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।শাখা-প্রশাখায় ঝাঁকালো এই গাছ লম্বায় গড়ে ৬ থেকে ৮ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। গাছের গোড়ায় শ্বাসমূল থাকে। এর বাকল ধূসর বর্ণ। পাতা ক্ষুদ্রাকিৃতি, বেশ পুরু এবং রসপূর্ণ তবে ফণিমনসার মতো ভঙ্গুর। পাতা ডিম্বাকৃতির হয়ে থাকে। মার্চ-এপ্রিল মৌসুমে ছোট ছোট সাদা রঙের ফুল ফোটে। এই গাছের দিকে তাকালে, দেখা যাবে তার চারপাশে সুন্দরভাবে ছড়িয়ে আছে গাছের মতোই শ্বাসমূল। এদের ফল সাধারণত চ্যাপ্টা এবং সরু হয়, ওজনেো খুব হালকা। এই গাছ অভিযোজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে থাকে।
এসময় খেতে পারেন ফল, পিনাট বাটার রুটি বা ডিটক্স পানীয়। এছাড়াও খেতে পারেন বাদামের চাট। এটি বানানো খুবই সহজ। আর স্বাস্থ্যকরও বটে। সেই সঙ্গে বাদাম আপনার প্রোটিনের চাহিদা মেটাবে।
ত্রিধারা ডেইজী পরিবারভূক্ত এক প্রকার সপুষ্পক উদ্ভিদ। এটি ক্ষতিকারক এবং বিষাক্ত উদ্ভিদ হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত। এর আদিবাস ক্রান্তীয় আমেরিকা হলেও এটি বিশ্বব্যাপী ক্রান্তীয়, উপক্রান্তীয় এবং মৃদু তাপমাত্রাযুক্ত অঞ্চলে দেখা যায়। যুক্তরাস্ট্রের নয়টি স্টেটে এটি ক্ষতিকারক উদ্ভিদ হিসেবে তালিকাভূক্ত।
মিছরি এক প্রকারের চিনি থেকে তৈরি খাদ্যদ্রব্য। প্রকৃতপক্ষে মিছরি হলো স্ফটিকের মতো দানাবাঁধা চিনি।প্রধানত চিনির তৈরী বলে মিছরি সাধারণত লালাভ সাদা রঙয়ের হয়ে থাকে। হাইড্রোজ নামক রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে মিছরিকে ফকফকা সাদা করা হয়। তবে নানা প্রকার রঙ মিশিয়ে এটা রঙিনও পাওয়া যায়। বিভিন্ন ছাঁচে ঢালাই করে একে নানারকমের আকার দেওয়া হয় । তাল মিছরি গলার কাশিতে উপকারী।তাল মিসরি অনেক মজা
সুস্থ থাকার জন্য প্রাপ্ত বয়স্ক একজন মানুষের প্রতিদিন অন্তত ৪০০ গ্রাম শাকসবজি এবং ফলমূল খাওয়া উচিত।দেহের প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদানের চাহিদা পূরণ করতে হলে প্রতিদিন আমাদের বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি গ্রহণ করা উচিত।গরম ভাতের সঙ্গে ঢ্যাঁড়স ভাজির স্বাদ অতুলনীয়। খেতে সুস্বাদু এবং ঝটপট রান্না করা যায় বলে ঢ্যাঁড়সের অনেকের কাছেই প্রিয়। সুস্বাদু এই সবজিতে আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান। এসব পুষ্টি উপাদানের কারণে ঢ্যাঁড়স আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এককাপ ঢ্যাঁড়সে ২১ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ২২ গ্রাম প্রোটিন, ৬০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ২৯৯ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ৩ গ্রাম ফাইবার, ৩৩ ক্যালরি, ৭.৬ গ্রাম কার্বো হাইড্রেট, ৮০ মিলিগ্রাম ফলিক এসিডএবং ২ গ্রাম ফ্যাট আছে। লো ক্যালরি হওয়ায় এটি কোলেস্টেরল লেভেল কমিয়ে ওজন হ্রাস করে থাকে। ঢ্যাঁড়স অধিক ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সবজি। এসব পুষ্টি উপাদানের কারণে ঢ্যাঁড়স আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।