ধানের উৎপাদন বেশি করতে দরকার সুস্থ,সবল চারা।আর সুস্থ,সবল চারা পাওয়া যায় একটি আদর্শ বীজতলার তৈরির মাধ্যমে।কিন্তু আমাদের দেশের অনেক কৃষক জানেনা কিভাবে আদর্শ বীজতলা তৈরি করতে হয়।তাই আজ একটি আদর্শ বীজতলা কীভাবে তৈরি করতে হয় সেটা শিখব-
প্রতি বছর বীজ বাছাই করতে না পারার কারণে ও বীজবাহিত রোগের কারনে আমাদের ধান উৎপাদন অনেক কমে যায়।তাই আজ সঠিক পদ্ধতিতে কিভাবে বীজ বাছাই ও বীজ শোধন করবেন তা জানব-
আমরা জানি ধান রোপনের আগে নানা কারণে প্রায় ১.৫-২ মাস জমি পরে থাকে।এই সময়ে জমি ফেলে না রেখে যদি জমিতে ধৈঞ্চা আবাদ করেন এবং সেটি জমিতে যদি ধান রোপনের আগে চাষের মাধ্যমে মাটিতে মিশিয়ে দিতে পারেন তাহলে আপনার জমি যেমন পুষ্টি পাবে সাথে জমির নানা উপকার ও হবে।উপকার গুলো হল-
টবে বা বস্তায় বা জিও ব্যাগে পেঁপে চাষ পদ্ধতি
পেঁপে গাছ পানি সহ্য করতে পারেনা তাই প্রথমে উঁচু জায়গা নির্বাচন করতে হবে ।এছাড়া পেঁপে গাছ গর্ত করে রোপণ করতে হয়।তাই এটা চাষ করতে পুরো জমিতে সার দেয়ার কোন দরকার নাই।শুধু গর্ত করে তাতে পরিমান মত সার দিলে আর কিছুই করতে হয় না।
জমির চারপাশের আইলের অতিরিক্ত অংশ কাটা পর ৪-৫ টি আড়াআড়ি গভীর চাষ দিয়ে মই দিয়ে সমান করতে হবে।আগাছা বেছে ফেলে দিতে হবে।মনে রাখবেন প্রতি ১বা ২ চাষের পর ১-২ দিন রেখে দিবেন।এতে সূর্যের আলোতে ক্ষতিকর ছত্রাক,ব্যাকটেরিয়া,ভাইরাস মারা যায়।
মাটি বা প্লাস্টিকের মাঝারি /বড় টব, প্লাস্টিক পাত্র বা পলি ব্যাগ বা পরিত্যাক্ত টিনের কৌটা ব্যবহার করতে পা্রেন।তবে এতে অবশ্যই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। পারলে সুই বা মোহল দিয়ে কোটার নিচে কয়েকটা ফুটো করে দিবেন।
জমির চারপাশের আইলের অতিরিক্ত অংশ কাটা পর ৪-৫ টি আড়াআড়ি গভীর চাষ দিয়ে মই দিয়ে সমান করতে হবে।আগাছা বেছে ফেলে দিতে হবে।মনে রাখবেন প্রতি ১বা ২ চাষের পর ১-২ দিন রেখে দিবেন।এতে ক্ষতিকর ছত্রাক,ব্যাকটেরিয়া,ভাইরাস মারা যায়।
বর্তমান আবহাওয়ার কারনে ধানের জমিতে ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট রোগ প্রচন্ড আকারে আক্রমন করছে ।এই রোগ চিনার ও প্রতিকার গুলো নিচে আলোচনা করা হলো-
ধানের চিটাপরা শস্য বিবর্নতা রোগ (Grain discoloration of rice) চেনার উপায় ও প্রতিকারে করনীয়
সহজে ধানের বাকানি রোগ (Bakanae Disease) চেনার উপায় ও তা প্রতিকারে করনীয়
আমন ধানের লক্ষীর গু/ভূয়াঝুল(False Smut) রোগ দমনে কৃষক ভাইদের আগাম ও পরবর্তী করণীয়