নাগা মরিচ শীত ও গ্রীষ্ম উভয় মৌসুমে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়। মরিচের প্রতি আমাদের অনেকেরই দুর্বলতা রয়েছে। ইচ্ছা ও একটু চেষ্টা করলেই আমরা নিজেরাই ১ মাসে ফলাতে পারি নাগা/বোম্বাই মরিচ। এছাড়াও পতিত বা অন্যান্য জমিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে পারেন বোম্বাই মরিচ। ছাদে টবেও নাগা মরিচের ভালো ফলন হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চল ছাড়াও ভারতের মণিপুর, নাগাল্যান্ড, আসাম, নেপাল, থাইল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কায় বিভিন্ন গ্রামঞ্চলে এ মরিচের ব্যাপক চাষ হয়।
মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও ঔষধিগুণসম্পন্ন খাবার। এতে আছে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড, অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। স্বাদ, পুষ্টি ও ঔষধিগুণের কারণে ইতোমধ্যেই এটি সারা দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাশরুম চাষ হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষিত তরুণ যুবকরা মাশরুম চাষ করছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে গৃহিণীরাও চাষ করছেন। অর্থাৎ আমাদের দেশে ঘরোয়াভাবে এবং বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে। মাশরুম চাষ আমাদের দেশের বেকার সমস্যা সমাধান এবং বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে মাশরুম বিশেষ অবদান রাখতে পারে।
কাঁচামরিচে রয়েছে প্রচুর ডায়াটারি ফাইবার, নিয়াসিন, থিয়ামিন, রিবোফ্লাবিন, আয়রন, ফলেট, ম্যাঙ্গানিজ ও ফসফরাস। রয়েছে ভিটামিন এ, বি-৬, সি, কে, পটাশিয়াম, কপার এবং ম্যাগনেশিয়াম।এ ছাড়া কাঁচামরিচে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন 'সি' জ্বর, সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা করে।
মহুয়া হচ্ছে ঔষধি গুণাগুণ গাছ। এই গাছের পাতা থেকে শুরু করে ফল ও ফুল সবই উপকারী। এর ছাল, ফুল, ফল ও বীজ থেকে বিভিন্ন ওষুধ তৈরি হয়। আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক মহুয়া উদ্ভিদের উপকারিতাঃ
পাতার ঔষধি গুণ সবারই জানা। তাই পুদিনা পাতার চাটনি বা স্মুদি, যেভাবেই পারেন খাবারে পুদিনা পাতা যোগ করতে পারেন। শ্বাসকষ্টে উপকারী-শ্বাসকষ্ট রোগীদের জন্য পুদিনা পাতা এক আশীর্বাদ বলা চলে। পুদিনা পাতা ঠান্ডা হয়, তাই শ্বাস প্রণালি পরিষ্কার করে। তবে অতিমাত্রায় পুদিনা পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।সর্দি-কাশি থেকে রেহাই- ঠান্ডা নাক বন্ধ হলে এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হলে পুদিনা ব্যবহার করুন। পুদিনা পাতা ঠান্ডা হয়, তাই শ্বাস প্রণালি পরিষ্কার করে।
শরীরের জন্য কাঁচা কাঁঠাল খুবই উপকারী। কাঁঠালে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি, বি-১, বি-২, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ নানা রকমের পুষ্টি ও খনিজ উপাদান।কাঁচা কাঁঠালের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। সুস্বাদু কাঁচা কাঁঠাল রান্না করে খেয়ে থাকেন অনেকেই। বাজারে এখন খুব সহজেই পাবেন কাঁচা কাঁঠাল।
তন্দুরি চিকেন খেতে পছন্দ করে থাকেন প্রায় সবাই। তাইতো আজকের রেসিপিতে আমরা আপনাদের জানাবো চুলায় তন্দুরি চিকেন তৈরির উপায়।
প্রায় সকলকেই হজমের সমস্যায় কখনও না কখনও পড়তে হয়। একটু বেশি খেয়ে ফেললে কিংবা স্বাভাবিকের চাইতে একটু বেশি তেলে ভাজা, মশলাদার খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে কিছুদিন পর পরই হজমের সমস্যা দেখা দেয়। এই সব হজমের সমস্যা সমাধানের জন্য কয়েকটি প্রাকৃতিক সহজ উপায় রয়েছে। ছোট ছোট কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ে হজমশক্তি বাড়িয়ে নিয়ে খুব সহজেই মুক্ত থাকা যায় হজম সংক্রান্ত সমস্যা অধিকাংশ থেকে।
পটলের গাছ ও ফল বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় দ্বারা আক্রান্ত হয়। ফলের মাছি পোকা, কাটালে পোকা, উঁই পোকা, মিলিবাগ, সাদা মাছি ও লাল মাকড় অন্যতম।আজকের লেখায় আমরা আপনাদের জানাবো পটলের কাটলে পোকা (এপিল্যাকনা বিটল) সমন্ধে।
নিম পাতা দিয়ে কার্যকারী জৈব কীটনাশক তৈরি করা যায়। রাসায়নিক কীটনাশকে যে সব পোকা মরে না, সেসব পোকামাকড় নিমের তৈরি জৈব বালাইনাশক দ্বারা দমন করা যায়। জৈব কীটনাশকের উৎস হিসেবে ‘নিম’ অত্যন্ত মূল্যবান বৃক্ষ হিসেবে আধুনিক বিজ্ঞানেও স্বীকৃত। আজ আমরা নিম খৈল দিয়ে জৈব কীটনাশক তৈরি নিয়ে আলোচনা করব।
ছোলা একটি ডাল জাতীয় শস্য। অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য। এতে প্রায় শতকরা ২২.৫ ভাগ আমিষ জাতীয় উপাদান আছে। আমাদের দেশে ছোলা রবি শস্য হিসাবে চাষ করা হয়৷ এই জমিতেই কম খরচে ছোলা চাষ করা যায়। আমন তোলার পরই ছোলা চাষের উপযুক্ত সময়। এটি একটি লাভজনক চাষও বটে।
মরিচ একটি প্রধান মসলা জাতীয় ফসল। কাঁচামরিচ সবজি ও সালাদ হিসেবে এবং বিভিন্ন ধরনের ভাজি ও তরকারিতে ব্যবহৃত হয়। শুকনা মরিচ গুঁড়া করে তরকারি, বিভিন্ন ধরনের উপাদেয় ও মুখরোচক খাদ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ক্যাপসিসিন নামক পদার্থের কারণে মরিচ ঝাল হয়ে থাকে। মরিচ মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সিসহ পুষ্টির সব উপাদান উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিদ্যমান। কিন্তু মরিচ উৎপাদনে রোগবালাই একটি প্রধান প্রতিবন্ধক। আর এমনি একটি রোগ হচ্ছে মরিচের পাতা কুচকানো রোগ, এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ফলন অনেক বৃদ্ধি পাবে।