কারণ:
এটি একটি বীজবাহিত ছত্রাকজনিত রোগ(Alternaria
padwickii)
রোগের বিস্তার:
১) গাঢ় বাদামী প্রান্তভাগ সহ বৃত্তাকার এবং ডিম্বাকৃতি দাগ দৃশ্যমান হয়।
২)ধানের বীজ সঙ্কুচিত হয়ে ভঙ্গুর হতে পারে।
৩)সমগ্র গাছ এবং চারা ঝলসানো দেখতে লাগে এবং অকাল মৃত্যুমুখে পতিত হয়।
লক্ষণ:
১)পাতা এবং পাকা শুরু হয়েছে এমন দানাশস্য আক্রান্ত হতে দেখা যায়।
২)শিকড় বা গোড়ার পাতায় ছোট কালচে ক্ষত দেখা দেয় ৷
৩)চারার ক্ষতের উপরের কিছু অংশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং পাতা মারা যেতে পারে।
৪)বৃত্তাকার থেকে ডিম্বাকৃতি দাগ (৩-১০ মিমি ব্যাস)
৫)পাতায় গাঢ় বাদামী প্রান্তভাগ দেখা যায়।
৬)এ বড় দাগগুলির মাঝখানে অনেক হালকা বাদামী বা সাদা দাগ দেখায়।
৭)ধানের বীজ সঙ্কুচিত হয়ে ভঙ্গুর হতে পারে।
৮)আক্রান্ত শস্য দানা সাধারণত গাঢ় রঙের, চকচকে, ভঙ্গুর হয় এবং সঙ্কুচিত হয়ে এর কার্যকারিতা হ্রাস
পায়।
৯)ধানে চোচার উপর লালচে বাদামী দাগ দেখা যায়। •ধানের বীজ সঙ্কুচিত হয়ে ভঙ্গুর হতে পারে।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:
১)রোগমুক্ত বীজ বপন করুন।
২)সারি থেকে সারির ব্যবধান সঠিক রাখুন (১৫, এবং ২৫ সেমি প্রশস্ত)।
৩)বীজবাহিত এ জীবাণু নতুন এলাকায় যাতে না প্রবেশ করতে পারে সেজন্য ইতোমধ্যেই আক্রান্ত এলাকায় ইনোকুলামের বৃদ্ধি রোধ করতে শুধুমাত্র পরীক্ষিত এবং প্রত্যয়িত ধানের বীজ ব্যবহার করুন।
৪)পরবর্তী মৌসুমে সংক্রমণ কমাতে খড়কুটা পুড়িয়ে দিন।
৫)সংক্রমণের পরবর্তী বিকাশ কমাতে গুদামজাত করার আগে ধান শস্য সঠিকভাবে শুকিয়ে নিন।
সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা:
১)ছত্রাকনাশক থাইরাম, ক্যাপ্টান বা ম্যানকোজেব @ ২ গ্রাম/ কেজি হিসাবে ব্যবহার করে বীজ শোধন করুন। অঙ্কুরোদগম এবং জীবাণুমুক্তকরণের জন্য সর্বোত্তম ফলাফল পেতে ১৫ মিনিটের জন্য ৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গরম জল দিয়ে বীজ শোধন করুন।
২)জমিতে থাকা পরিত্যক্ত খড়কুটো পুড়িয়ে দিন। সিউডোমোনাস ফ্লোরসেনস নামক রাইজোস্ফিয়ারে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া পাউডার আপনার জমিতে ৫ থেকে ১০ গ্রাম প্রতি কেজি হিসাবে বীজের জন্য ব্যবহার করুন।
৩)সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন।
৪)শস্যের বিবর্ণতা নিয়ন্ত্রণের জন্য ক্লোরোথ্যালোনিল, ম্যানকোজেব, কার্বোক্সিন, পলিঅক্সিন এবং ইপ্রোবেনফোসের মত ছত্রাকনাশক স্প্রে করুন।