আমরা জানি
ধান রোপনের আগে নানা কারণে প্রায় ১.৫-২ মাস জমি পরে থাকে।এই সময়ে জমি ফেলে না রেখে
যদি জমিতে ধৈঞ্চা আবাদ করেন এবং সেটি জমিতে যদি ধান রোপনের আগে চাষের মাধ্যমে মাটিতে
মিশিয়ে দিতে পারেন তাহলে আপনার জমি যেমন পুষ্টি
পাবে সাথে জমির নানা উপকার ও হবে।উপকারীতা গুলো হল-
১।ধৈঞ্চা
গাছের পাতা,কান্ড মাটির সাথে মিশে মাটিতে জৈবসার এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
২।ধৈঞ্চা
লিগুমিনেসি ফেমিলির হওয়ায় বাতাসে থাকা নাইট্রোজেন ব্যাক্টেরিয়ার সাহায্যে শিকরে /কান্ডে/পাতায়
জমা রাখতে পারে।যেটি আসতে আসতে জমিতে ছেড়ে দেয়।এতে জমিতে নাইট্রোজেনের অভাব থাকে না
বা কম থাকে।ফলে ইউরিয়া কম দিতে হয়।
৩।ইউরিয়া
সার জমিতে দেয়ার পর সেটির কার্যকারিতা প্রায় ৭২ ঘন্টা/৩দিন দিন থাকে।কিন্তু ধৈঞ্চাতে
থাকা নাইট্রোজেন জমিতে আস্তে আস্তে মুক্ত হয়।ফলে জমিতে নাইট্রোজেনের অভাব আর থাকে না।
এখন জানব কোন ধরনের ধৈঞ্চা রোপন করবেন-
আমাদের দেশে
২ ধরনের ধৈঞ্চা পাওয়া যায়।
১।দেশি ধৈঞ্চা
২।আফ্রিকান
ধৈঞ্চা
বৈশিষ্ট
১।দেশি ধৈঞ্চা-এরা শুধু শিকরের মাধ্যমে নাইট্রোজেন
ফিক্সেশন করতে পারে।
২।আফ্রিকান ধৈঞ্চা-এরা শিকর,কান্ড,পাতার মাধ্যমে নাইট্রোজেন
ফিক্সেশন করতে পারে।ফলে জমিতে মিশিয়ে দেয়ার পর দেশি ধৈঞ্চার চেয়ে বেশি পরিমাণ নাইট্রোজেন
রিলিজ করে।ফলে জমিতে নাইট্রোজেন এর পরিমাণ দেশি ধৈঞ্চার চেয়ে বেশি হয়।
তাই দেশি ধৈঞ্চার চেয়ে আফ্রিকান দৈঞ্চা লাগাই ভালো।
ভিডিও লিঙ্ক-https://www.youtube.com/watch?v=ibWTgV9-sAo&t=7s