মরিচ গাছের বিভিন্ন রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার


Aug 26, 2023
চাষাবাদ
মরিচ গাছের বিভিন্ন রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

                        মরিচ গাছের বিভিন্ন রোগের লক্ষণ প্রতিকার


রান্না-বান্না মুখরোচক খাবার তৈরি ছাড়াও মরিচ বিভিন্ন ধরনের আচার তৈরির উপাদান হিসেবে ব্যবহার হয়। অনেকে মরিচের আচারও করে থাকেন।
মরিচ চাষ অত্যন্ত লাভজনক। শুকনো মরিচে আমিষ, প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ভিটামিনসিথাকে।মরিচের ক্ষেতে বিভিন্ন ধরণের রোগ বালাইয়ের আক্রমণ হয়। নিম্নে মরিচের কিছু রোগবালাই তার প্রতিকার উল্লেখ করা হলো-

মরিচের পাতা কুঁকড়ানো রোগ Leaf Curl of Chilli : এটি ভাইরাসজনিত রোগ।
১। ভাইরাস রোগ আক্রান্ত গাছের পাতা কুঁচকিয়ে যায় এবং গাছ বামনাকৃতির হয়।
২। পাতার শিরা উপশিরাগুলি সবুজ কণাবিহীন হয়ে যায়।
৩। এই রোগে আক্রমণের ফলে গাছে ফল কম ধরে এবং তা বিকৃত ছোট হয়।

প্রতিকারঃ
১। আক্রান্ত গাছ দেখা মাত্র তুলে ফেলে নষ্ট করতে হবে।
২। আশেপাশের পোষক উদ্ভিদ ধংস করতে হবে।
৩। রোগ প্রতিরোধী জাতের বীজ জমিতে বপন করতে হবে।
৪। ভাইরাসের বাহক পোকা সাদা মাছিকে বালাইনাশক দ্বারা দমন করতে হবে। যেমন- রগর, সানগর, টাফগর,ইমিডাক্লোরপ্রিড ( এডমায়ার, টিডো) ইত্যাদি।

ফিউজেরিয়াম উইল্ট (Fusarium wilt) বা মরিচের ঢলে পড়া রোগঃ এই রোগ ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হয়ে থাকে। Fusarium annuum নামক ছত্রাকের আক্রমণে এই রোগ হয়ে থাকে।
১। এই রোগের প্রাথমিক অবস্থায় নিচের পাতাগুলিকে ঝুলে পড়তে দেখা যায়। এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার আগেই কাণ্ডের গোড়ার গ্রন্থিগুলির যথেষ্ট ক্ষতিসাধন হয়ে যায়।
২। যার ফলে গাছ খুব দ্রুত ঢলে পড়ে। পরে গাছের কচি কচি ডগাগুলি মরে বাদামি রং ধারণ করে।
৩। মাটির নিচ দিয়ে যে স্থান হতে পার্শ্বশিকড় গজায় তাঁর মধ্যে দিয়ে কাণ্ডে ছত্রাকের অনুপ্রবেশ ঘটে। ছত্রাক শিকড়কেও আক্রমণ করে বিধায় শিকড় নরম ভেজা মনে হয়।
৪। যেসব উঁচু জমিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই সেসব জমিতে এই সকল রোগ বেশি হয়।

প্রতিকারঃ
১। আক্রান্ত গাছ দেখা মাত্র তুলে ফেলে নষ্ট করতে হবে।
২। সুস্থ গাছ হতে বীজ সংগ্রহ করতে হবে।
৩। বীজ শোধন করতে হবে ( প্রতি কেজি বীজ গ্রাম অটোস্টিন/নোইন বা . গ্রাম প্রোভেক্স ২০০ wp দিয়ে )
৪। চারা শোধন করতে হবে। (প্রতি লিটার পানিতে গ্রাম অটোস্টিন/নোইন বা . গ্রাম প্রোভেক্স ২০০ wp দিয়ে )
৫। ব্যাকটেরিয়ার কারণে চারা শোধন করা ( গ্রাম ষ্টেপ্টোমাইসিন সালফেট ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে।
৬। ট্রাইকোডারমা ভিড়িড ( - গ্রাম/কেজি বীজ) দ্বারা বীজ শোধন করা।
৭। কপার অক্সিক্লোরাইড গ্রাম . গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

Recent Posts

ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট(BLB)

Apr 17, 2024
ফসলের রোগ-বালাই