কারণ:
এটি একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত (Xanthomonas
campestris pv. Oryzaicola) রোগ।
কেন এবং কোথায় এটি ঘটে?
ব্যাকটেরিয়াজনিত পাতার স্ট্রিক উচ্চ তাপমাত্রা এবং উচ্চ আর্দ্রতা সহ অঞ্চলে ঘটে।
যেভাবে ছড়ায়/জীবনচক্র
১)ব্যাকটেরিয়া এক ঋতু থেকে অন্য মৌসুমে ফসলের ধ্বংসাবশেষে বেঁচে থাকে।
২)গ্রীষ্মকালীন ফসলে এবং সেচের পানিতে বীজ দ্বারা সংক্রমণ ঘটে। বৃষ্টি এবং উচ্চ আর্দ্রতা রোগের বিকাশের সাহায্য করে।
৩)ব্যাকটেরিয়া স্টোমাটা এবং পৃষ্ঠের ক্ষতির মাধ্যমে পাতায় প্রবেশ করে, প্রায়ই পোকামাকড় দ্বারা সৃষ্ট হয়।
৪)প্যারেনকাইমাতে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়
রোগ পরিচিতির লক্ষণঃ
১)এ রোগ সাধারণত পত্র ফলকের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
২)প্রথমে শিরা সমূহের মধ্যবর্তী স্থানে সরু ও হালকা দাগ পড়ে। ক্রমান্বয়ে দাগগুলো বড় হয়ে বাদামী রং ধারণ করে।
৩)পরবর্তীতে আক্রান্ত ধানের পাতা পুরোটাই বাদামী রঙের হয়ে যায়।
৪)সূর্যের দিকে ধরলে এ দাগের মধ্য দিয়ে আলো প্রবেশ করে এবং পরিস্কার দেখা যায়।
সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনাঃ
১)জমিতে আগাছা, শিকড়, খড়কুটা সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
২)ফসল কাটার পর নাড়া শুকিয়ে জমিতেই পুড়িয়ে ফেলা।
৩)আক্রান্ত জমি থেকে বীজ সংগ্রহ না করা।
৪)৫৪ সেঃ তাপমাত্রায় পানিতে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে বীজ ব্যাকটেরিয়ামুক্ত হয়।
৫)এক লিটার পানিতে ৩ গ্রাম ব্যাভিষ্টিন গুলে তাতে বীজ এক রাত রেখে বীজ শোধন করা।‘অথবা’ ১০ লিটার পানিতে Strepocycline ( 1G) এবং কার্বেন্ডাজিম ৫০ ডব্লিউ পি এক সাথে মিশিয়ে ৮-১০ কেজি বীজ ১৫ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে বীজ শোধন করা।
৬)প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৪০-৫০ গ্রাম কপার অক্সিক্লোরাইড অথবা ২০ গ্রাম চ্যাম্পিয়ন মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে।
৭)৫০-১০০ গ্রাম পটাশ সার প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে বিকেলে স্প্রে করতে।