রোগের কারণ
স্যারোক্লেডিয়াম ওরাইজি (Cerocladium oryzae)নামক ছত্রাক দ্বারা হয়ে থাকে ।
রোগের বিস্তার :
এটা বীজবাহিত। রোগাক্রান্ত নাড়া ও বিকল্প পোষকে অবস্থান করে। মাজরা পোকা ও টুংরো রোগ আক্রান্ত গাছে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হয়। গরম ও সেঁতসেঁতে আবহাওয়ায় এ রোগ বৃদ্ধি পায়। বৃষ্টির ঝাপটায় এ রোগ ছড়ায়। খোলপচা রোগটি সব মৌসুমেই দেখা যায়। সাধারণত গাছের থোর অবস্থা এ রোগটির উপযোগী সময়।
রোগের লক্ষণ
১) প্রথমে গাছের শীর্ষ পাতার খোল অর্থাৎ যে খোলে ধানের শীষ থাকে তার উপর গোলাকার বা অনিয়ত দাগ দেখা যায়।
২)পরে দাগের কেন্দ্র ধূসর ও কিনারা বাদামি বা ধূসর হয়।
৩)ক্রমে দাগগুলো একত্রে মিলে বড় হয়ে সম্পূর্ণ খোলে ছড়াতে পারে।
৪)আক্রমণ বেশি হলে শীষ সম্পূর্ণ বের হতে পারে না।
৫)শীষ পেঁচিয়ে বা আংশিক বের হয়।
৬)শীষে খুব কম সংখ্যক দানা পুষ্ট হয়।
৭)অনেক সময় খোল পচা রোগে আক্রান্ত গাছে মাজরা পোকা আক্রমণের ক্ষত দেখা যায়।
৮)এ রোগ অন্য খোলেও হতে পারে তবে পাতায় হয় না।
প্রতিকার
১)রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে ।
২)পূর্ববর্তী ফসলের অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
৩)এমওপি /মিউরেট অব পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে এবং ইউরিয়া সার পরিমাণে কম ব্যবহার করতে হবে।
৪)জমির পানি শুকিয়ে পুনরায় সেচ দিতে হবে।
৫)কার্বেন্ডাজিম/প্রোভ্যাক্স ২০০ ডব্লিওপি ছত্রাক নাশক প্রতি কেজি বীজ ধানে ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে শোধন করতে হবে।
৬)মাজরা পোকার ক্ষতস্থানের মাধ্যমে খোল পচা রোগের ছত্রাক বিস্তার লাভ করে তাই এ পোকা দমনের জন্য কার্বোফুরান গ্রুপের কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।
ধানের খোল পচা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন
জাত
বি আর-১০,২২,২৩।ব্রিধান-২৯,৩২,৩৯,৪১