* টিস্যু কালচার ল্যাব থেকে উৎপাদিত আলুর চারাগুলোর মধ্যে রয়েছে ডায়ামন্ট, সানাশাইন, এস্টরিক্স প্রভৃতি।

* এছাড়াও ল্যাব থেকে উৎপাদিত অনুচারা থেকে মিনিটিউবার, প্রাক-ভিত্তি ও ভিত্তি আলু চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

প্লান্ট টিস্যু কালচার

প্লাষ্ট টিস্যু কালচার একটি আধুনিক প্রযুক্তি। উদ্ভিদ দেহের কোন সজীব টিস্যুকে পরীক্ষাগারে জীবানুমুক্ত ও নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে কৃত্রিম খাদ্য মিডিয়ামে কালচার করে চারা উৎপন্ন করাই হল টিস্যু কালচার। এর মাধ্যমে অতি অল্প সময়ে, উন্নতমানের প্রচুর সংখ্যক অনুচারা সারা বছর উৎপাদন করা হয়।

ইন্না এগ্রোটেক লিঃ এর অনুচারার বৈশিষ্ট্যঃ

১. নিজস্ব টিস্যু কালচার ল্যাবে উৎপন্ন।

২. উৎপাদিত চারা গুলো সম্পূর্ণ রোগমুক্ত, সুস্থ-সবল ও অধিক জীবনীশক্তি সম্পন্ন৷ চারা গুলো উচ্চফলনশীল গুণ সম্পন্ন।

৩. স্বভাবিক অবস্থায় চারার মৃত্যু হার শুন্য এবং স্বল্প সময়ে মাটিতে প্রতিষ্ঠিত হয়।

৪. নতুন উৎপন্ন চারাগুলোর সহিত মাতৃ উদ্ভিদের চারিত্রিক গুণাগুণ অটুট থাকে।

৫. অনুচারাগুলি বিশেষভাবে হার্ডেনিং করা (বাইরের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো)। সব চারার বৃদ্ধি এবং বয়স সমান তাই একই সাথে সকল ফসল সংগ্রহ করা যায়।

টিস্যু কালচার – বিবরণ

টিস্যু কালচার (Tissue Culture) হলো উদ্ভিদের কোষ, টিস্যু বা অঙ্গের একটি ছোট অংশ (explant) বিশেষ পুষ্টি-মিডিয়ায় ও জীবাণুমুক্ত (sterile) পরিবেশে ল্যাবরেটরিতে বৃদ্ধি ও পুনঃউৎপাদন করার প্রযুক্তি।

মূল বৈশিষ্ট্য:

১. এটি অ্যান্টিসেপ্টিক বা জীবাণুমুক্ত পরিবেশে করা হয়।

২. একটি ছোট অংশ থেকে হাজার হাজার চারা তৈরি করা সম্ভব।

৩. পুষ্টি-মিডিয়ায় জেল (যেমন, আগার) বা তরল মাধ্যমে চারা বড় করা হয়।

কেন করা হয়?

১. রোগমুক্ত (disease-free) ও একজাতীয় (uniform) গাছ উৎপাদনের জন্য

২. দ্রুত বড় আকারে মানসম্পন্ন চারা তৈরি করার জন্য

৩. বিলুপ্তপ্রায় বা দুর্লভ উদ্ভিদ সংরক্ষণের জন্য

৪. নতুন জাত উদ্ভাবন ও গবেষণার কাজে

কোথায় ব্যবহৃত হয়?

১. কলা, আলু, অর্কিড, গোলাপ, বাঁশ, আলস্ট্রোমেরিয়া, পাথরকুচি ইত্যাদি গাছের চারা উৎপাদনে

২. ঔষধি উদ্ভিদ ও অর্কিড সংরক্ষণে

৩. কৃষি ও নার্সারি ব্যবসায়

সুবিধা:

✔ রোগমুক্ত, মানসম্মত চারা

✔ সময় ও খরচ সাশ্রয়

✔ দ্রুত উৎপাদন

✔ বিরল প্রজাতি রক্ষা

শিপিং ব্যয় অবস্থানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তনশীল