Store Location
  • 01908597470 / 01908597471
  • Offers
  • Help
  • BDT
    • BDT
    • USD
    • EUR
  • Sign in
  • কেনাকাটা
    • বায়োফ্লক
      • মিটার
      • অন্যান্য সরঞ্জামসমূহ
    • অন্যান্য মেশিনারিজ
    • ছাদ কৃষি
    • জৈব সার
    • হাইড্রপনিক ট্রে
    • সিডলিং ট্রে
    • নার্সারী
      • ইনডোর প্লান্ট
      • ফলজ বৃক্ষ
      • ফুল গাছ
      • শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষ
    • বীজ
      • বীজ প্যাকেজ
    • বীষমুক্ত খাবার
      • গুড়
      • ফল
    • মাছের পোনা
      • ক্যাট ফিস
      • বাংলা মাছ
    • মাশরুম
    • ডেইরী খামার
    • অন্যান্য কৃষি পন্য
      • হাঁসের বাচ্চা
      • মুরগির বাচ্চা
  • কৃষি মেশিনারিজ
    • কৃষি যন্ত্রপাতি
      • খুচরা যন্ত্রপাতি
  • ভিডিও গ্যালারী
  • ট্রেনিং
    • বায়োফ্লোক অনলাইন কোর্স
    • বায়োফ্লোক PDF বই
    • বায়োফ্লক অফলাইন কোর্স
    • Dashboard
  • ব্লগ

My Cart0

৳ 0
There are 0 item(s) in your cart
    Subtotal: ৳ 0
    View Cart
    Check Out
    • Home
    • মাছ চাষ

    Categories

    • অন্যান্য (1)
    • উদ্ভিদ (2)
    • কৃষি খবর (1)
    • গরু পালন (10)
    • গাছপালা (43)
    • চাষাবাদ (43)
    • ছাগল পালন (4)
    • ছাদ বাগান (6)
    • জৈব সার (15)
    • পাখি পালন (26)
    • পুষ্টিগুন (9)
    • প্রশ্নোত্তর (29)
    • ফল (46)
    • ফসল (2)
    • ফসলের রোগ বালাই (3)
    • ফুল (30)
    • বায়োফ্লক প্রযুক্তি (5)
    • বীজ (42)
    • বীজ|শাঁক (1)
    • ভেষজ বা ঔষধি (70)
    • মসলা (6)
    • মাছ চাষ (32)
    • মাশরুম চাষ (7)
    • মাশরুম চাষ|মাশরুমের রান্নাবান্না (2)
    • মাশরুমের রান্নাবান্না (23)
    • মুরগি পালন (5)
    • রান্নাবান্না (72)
    • শাঁক (9)

    BEST SELLERS

    ভার্মি কম্পোষ্ট কেঁচো সার

    ভার্মি কম্পোষ্ট কেঁচো সার

    ৳ 25 ৳ 20
    হাড়ের গুড়া

    হাড়ের গুড়া

    ৳ 65 ৳ 60
    শুকনো গোবর

    শুকনো গোবর

    ৳ 20 ৳ 15
    গাছ কাটা মেশিন (২০ ইঞ্চি)

    গাছ কাটা মেশিন (২০ ইঞ্চি)

    ৳ 13,000 ৳ 12,000

    মাছ চাষ

    চৌবাচ্চায় শিং মাছ পালন পদ্ধতি

    Post By: administrator February 10, 2020 0 Comment

    চৌবাচ্চার প্রস্তুতি
    চৌবাচ্চাটি ভালো করে পরিস্কার করতে হবে। জীবাণুমুক্ত করতে চৌবাচ্চায় ১০০ গ্রাম চুন গুলিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে। চুন দেয়ার পর পানি সরবরাহ করে পরদিন ১-২ কেজি পঁচা গোবর, ১-২ কেজি মুরগির বিষ্ঠা ছিটিয়ে দিতে হবে। দু’একদিন পর পানি ভালোভাবে নেড়ে ১৫০ গ্রাম খৈল, ১০০ গ্রাম চালের কুঁড়া, ৫০ গ্রাম শুঁটকি মাছ ও ২৫ গ্রাম করে ইউরিয়া, টিএসপি দেয়া উচিত। দু’তিন দিনের মধ্যে পানির বর্ণ সবুজ হয়ে যাবে। এ সময়ই মাছ চাষের জন্য উপযুক্ত।

    পোনা প্রাপ্তি ও মজুদ
    যে কোনো সরকারি, বেসরকারি হ্যাচারি, পোনা বিক্রেতা ও সরকারি কৃষি খামারে পোনা পাওয়া যায়। ১ ইঞ্চি মাপের ১০০টি পোনা একটি চৌবাচ্চায় মজুদ করা যেতে পারে। ব্যাঙ ও অন্যান্য প্রাণী থেকে পোনাকে সাবধানে রাখতে হবে। প্রয়োজনে ৫-৭ ইঞ্চি পোনা ব্যবহার করা যেতে পারে।

    মাছের খাবার
    এ পদ্ধতির জন্য সম্পূরক খাবার অপরিহার্য। পোনা মজুদের পর দিন থেকে সয়াবিন, তিল, সরিষার খৈল ৪০ শতাংশ, আতপ চালের কুঁড়া ৪০ শতাংশ, শুঁটকির গুঁড়া ২০ শতাংশ করে মাছের খাবার দিতে হবে। এর সঙ্গে জবাইকৃত প্রাণীর জমা রক্ত, নাড়িভুঁড়ি, ঝিনুক বা শামুকের মাংস এবং সামান্য পরিমাণ লবণ, আটা ও ভিটামিন মিশ্রিত খাবার দেয়া যেতে পারে। মাছের রোগ থেকে রক্ষা পেতে খাবার উপাদানে বিশুদ্ধতা বজায় রাখা উচিত। মাছের বৃদ্ধি বাড়াতে প্রতি সপ্তাহে ৩০ গ্রাম ইউরিয়া ও টিএসপি দেয়া যেতে পারে। সঠিক পরিমাণে মাছের খাবারের জন্য ১১টি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। প্রতিটি ধাপে সময় থাকবে পাঁচদিন করে। প্রথম থেকে একাদশ ধাপে যথাক্রমে ২৫০০, ৪০০, ৫০০, ৬০০, ৭০০, ৮০০, ৯০০, ১০০০, ১১০০, ১১০০ ও ১২৫০ গ্রাম হারে খাবার দিতে হবে। পানির রঙ গাঢ় সবুজ বা পানির ওপরে সবুজ আবরণ পড়লে খাবার বন্ধ রাখতে হবে।

    পানি পরিবর্তন
    ২৫-২৮ দিন পরপর চৌবাচ্চার সব পানি ফেলে, নতুন পানি সরবরাহ করতে হবে। এরপর ১৫ গ্রাম চুন গুলিয়ে পানিতে ছিটিয়ে দিতে হবে।
    মাছ আহরণ
    মাছের ওজন ২০০-২৫০ গ্রাম হলেই বিক্রি করে দেয়া ভালো। কারণ এ রকম মাছের চাহিদা বেশি এবং অল্প সময়ে আবার মাছ ছাড়া যাবে।

    উৎপাদন
    ৬৭-৭৫ দিনের এক চাষে পরিপূর্ণ পরিচর্যা করলে ১০০টি পোনার প্রায় ৯৫টি বেঁচে থাকবে। যার ওজন হবে প্রায় ১৭৫ কেজি।

    0
    0
    Read More

    বাড়ির ছাদে মাছ চাষ

    Post By: administrator February 10, 2020 0 Comment

    যে কেউ চাইলে বাড়ির ছাদে কিংবা আঙিনায় সমন্বিত পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে পারেন । এভাবে উৎপাদিত মাছ খুবই স্বাস্থ্যসম্মত।  মাছ চাষের এই পদ্ধতিকে বলা হয় একোয়াপনিক্স (Aquaponics)। বাড়ির ছাদে অথবা আঙ্গিনায় ট্যাঙ্কে মাছ চাষ করে এবং ট্যাঙ্কে ব্যবহৃত সেই পানি ব্যবহার করে কোন প্রকার রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে শাক-সবজি উৎপাদন করা সম্ভব। এছাড়া এই পদ্ধতি খরা ও উপকূলীয় লবনাক্ত অঞ্চলের জন্য খুবই উপযোগী কারণ এতে প্রায় ৯০-৯৫ শতাংশ পানি কম লাগে।   

    আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক কিভাবে করবেন বাড়ির ছাদে মাছ চাষঃ

    পদ্ধতিঃ

    এই পদ্ধতিতে বাড়ীর আঙিনায় বা বাসার ছাদের আয়তনের উপর নির্ভর করে যেকোন আকারের প্লাস্টিক ট্যাঙ্ক অথবা ড্রামের মধ্যে পানি দিয়ে সেখানে তেলাপিয়া, মাগুর, কই, পাঙ্গাসসহ বিভিন্ন দেশীয় জাতের মাছ চাষ করতে পারেন।

    মাছকে কি রকমের খাবার দিতে হবে ?

    এই পদ্ধতিতে মাছকে আলাদা খাদ্য বাইরে থেকে সরবরাহ করতে হবে। বাজার থেকে কিনে মাছকে যাতে খাদ্য দিতে না হয়, সেজন্য আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ানো “কালো সৈনিক” পোকার লার্ভা মাছের প্রিয় খাদ্য। এতে প্রচুর প্রোটিন, লিপিড এবং বিভিন্ন প্রকার খনিজ লবন রয়েছে যা মাছের দ্রুত বর্ধনে সাহায্য করে। খরচ ও জায়গা কম লাগায় এই পদ্ধতির মাধ্যমে আর্থিকভাবেও লাভবান হওয়া সম্ভব ।

    0
    0
    Read More

    মাছের ফুলকা পচন রোগের লক্ষণ ও তার প্রতিকার

    Post By: administrator February 4, 2020 0 Comment

     

    মাছের ফুলকা পচন রোগ মাছ চাষিদের জন্য একটি বড় সমস্যা। এ রোগে আক্রান্ত হলে অনেক সময় মাছ মারা যায়। তবে খুব সহজেই এর প্রতিকার করা যায়। পাঠক আমরা আজ মাছের ফুলকা পচন রোধ সম্পর্কে জানবো।

    কারন: 

    সাধারণত গ্রীস্মকালে পুকুরের জল কমে গেলে ব্রস্কিওমাইসিস নামে এক জাতীয় ছত্রাক মাছের ফুলকায় বাসা বাঁধে এবং রক্তবাহী শিরাগুলি বন্ধ করে দেয়। ফলে শ্বসকষ্টে মাছ ভেসে ওঠে এবং চরম অবস্থায় মারা যায়।

    লক্ষণসমূহ

    ১. ফুলকা ফুলে যাওয়া।
    ২. ফুলকায় রক্ত জমাট বাঁধা।
    ৩. অনেক তরল পদার্থ বের হওয়া।
    ৪. মাছের শ্বাস কষ্ট হওয়া
    ৫. মাছে অধিক মড়ক দেখতে পাওয়া।
    ৬. শরীরের মিউকাস কমে যাওয়া।
    ৭. স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য থাকে না।
    ৮. লেজ ও পাখনায় সাদাটে দাগ দেখতে পাওয়া।
    ৯. লেজ ও পাখনায় পচন ধরা এবং ধীরে ধীরে ক্ষয় হওয়া।
    ১০. রক্তশূন্যতা এবং রং ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া।

    প্রতিকার
    * মাছের আক্রান্ত পাখনা কেটে ফেলে দিতে হবে।
    * ২.৫% লবণ পানিতে বা ৫ পিপিম পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্রবণে ১ ঘণ্টা গোসল করাতে হবে।
    * প্রতি কেজি খাবারের সঙ্গে ১-২ গ্রাম অক্সিটেট্রাসাইক্লিন মিশিয়ে ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে।
    * শতাংশে ১ কেজি হারে পাথুরে চুন পুকুরে প্রয়োগ করে পুকুর জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

    0
    0
    Read More

    রুই মাছ

    Post By: administrator January 9, 2020 0 Comment

     

    রুই মাছ মিষ্টি জলের মাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম হল লেবিও রোহিতা। এদের দেহের আকৃতি অনেকটা মাকুর মতো। মাথা ও লেজ সরু হয়। সারা শরীর রুপালী আঁশ দিয়ে ঢাকা থাকে। আঁশগুলো মসৃণ হয়। এর ঠোঁটের ওপর একজোড়া গোঁফ থাকে। রুই মাছ নদী, খাল, বিল এবং পুকুরে বাস করে। প্রতি ১০০ গ্রাম মাছে ১৬.৪ গ্রাম প্রোটিন, ১.৪ গ্রাম ফ্যাট, ৬৮০ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম ও ২২৩ মি.গ্রা. ফসফরাস থাকে। 

    এ দেশের চাষযোগ্য মাছগুলোর মধ্যে অন্যতম রুই। এটি নদীর মাছ। তবে পুকুরে চাষের জন্য খুব উপযোগী। প্রাকৃতিক খাদ্য ছাড়াও এ মাছ সম্পূরক খাবার খায়।

    নিচে রুই মাছের বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো—

    ♦  দেহ লম্বা আকৃতির।

    ♦  মাথা তুলনামূলক ছোট।

    ♦  ঠোঁট ফোলা ফোলা এবং ঠোঁটের কিনারায় অনেক সূক্ষ্ম খাঁজ আছে।

    ♦  পিঠের দিক কিছুটা বাদামি।

    ♦  পেটের দিক হালকা সোনালি। 

    খাদ্যাভাস


    রুই মাছ শাকাশী। এরা সাধারণত জলের মধ্যস্তরে চলাচল করে৷ এদের মুখ কিছুটা নিচের দিকে নামানো এবং পুরু ঠোঁট থাকার কারণে জলজ উদ্ভিদ, আগাছা এবং মাঝে মাঝে জলের তলদেশ থেকে পঁচা জৈব পদার্থ খেয়ে জীবনধারণ করে৷ এছাড়াও ফিসমিল, খৈলের গুড়া, কুঁড়া ইত্যাদি পুকুরে চাষের সময় সম্পূরক খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়। তবে ছোট অবস্থায় এদের প্রধান খাদ্য থাকে প্রাণীকণা বা প্লাংকটন।

    বাহ্যিক গঠন


    রুই মাছের দেহ অনেকটা মাকু আকৃতির। মাথা ও লেজ ক্রমশ সরু। প্রস্থ থেকে উচ্চতা বেশি। চলনের সময় জলের ভেতর গতি বাধাপ্রাপ্ত হয় না বলে এ ধরনের আকৃতিকে “স্ট্রিমলাইনড” বলে।[২] শরীরের দুপাশ সমানভাবে চ্যাপ্টা এবং সারা শরীর রূপালী আঁশ দিয়ে আবৃত থাকে। আঁশগুলো মসৃণ ও সারিবদ্ধ ভাবে সাজানো থাকে। ধুসর বর্ণের পাখনার এই মাছের পৃষ্ঠদেশের আঁশের কেন্দ্র লালাভ এবং প্রান্ত কালো বর্ণের হয়ে থাকে। আঁশের কেন্দ্রের এই লালাভ বর্ণ প্রজনন ঋতুতে আরও গাঢ় ও উজ্জ্বল হয়। এছাড়াও অধিক জলজ উদ্ভিদময় পরিবেশে বেড়ে ওঠা মাছের পৃষ্ঠদেশের বর্ণ লালাভ-সবুজ হতে পারে। এদের পিঠ ও পিঠের নিচের দিকটা বাদামি রঙের এবং পেট রুপালি সাদা রঙের হয়৷ মুখ নিচের দিকে নামানো থাকে এবং পুরু ঠোট ভিতরের দিকে ভাঁজ হয়ে থাকে৷ মুখের উপরে ঠোঁটে এক জোড়া গোঁফ থাকে।

    রুই মাছ সর্বোচ্চ ২০০ সেমি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।এরা সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে এবং ওজন ৪৫ কেজি পর্যন্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।

    প্রজনন


    রুই মাছ দুই থেকে তিন বছরেই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকে।বর্ষাকালে প্লাবিত নদীতে (বিশেষত জলজ উদ্ভিদময় স্থানে) রুই মাছ প্রজননে অংশ নেয়। এক প্রজনন ঋতুতে একটি মা মাছ প্রায় দুই থেকে ত্রিশ লাখ ডিম দিয়ে থাকে, যা মাছের বয়স, দৈর্ঘ্য ও ওজনের এবং অমরার দৈর্ঘ্য ও ওজনের উপর নির্ভর করে কমবেশি হতে পারে।

    মাছের ডিম


    অপেক্ষাকৃত কম গভীর পানিতে এবং স্রোতের টানে নদীর পাড়ে স্ত্রী রুই মাছ ডিম ছাড়ে৷ এছাড়াও বাঁধ বা পুকুরে কৃত্রিম উপায়ে স্রোতের সৃষ্টি করা হলে রুই মাছ সেখানে নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়তে পারে। ৪-১০ কেজি ওজনের রুই মাছে ৬ লক্ষ থেকে ৩৫ লক্ষ ডিম থাকে৷ তবে গড়ে প্রতিটি পূর্ণবয়স্ক মাছে প্রায় ১ঌ লক্ষ করে ডিম থাকে। রুই মাছ সাধারণত নদীতে ডিম পাড়ে। আবার বাঁকুড়া, মেদিনীপুর অঞ্চলের কিছু সংখ্যক বিশেষ ধরনের বাঁধেও ডিম পাড়ে। বাজারে যে পোনা পাওয়া যায় তা নদী থেকে ধরা মাছের ডিম পোনা।পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় লালগোলা, ধুলিয়ান অঞ্চলে এবং মালদহ মাণিকচক অঞ্চলে নদী থেকে মাছের ডিম পোনা ব্যাপক ভাবে ধরা হয়। রুই মাছ স্বাদে আকর্ষণীয় হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা ব্যাপক।

    +1
    0
    Read More

    কাতল মাছ

    Post By: administrator January 8, 2020 0 Comment

    বাংলাদেশের বহুল পরিচিত মাছের মধ্যে কাতলা বা কাতল অন্যতম, যার বৈজ্ঞানিক নাম Catla catla । দেশী রুই জাতীয় মাছের মধ্যে তুলনামূলক বৃহৎ আকৃতির মাথা ও মুখ আর প্রশস্থ দেহ এই মাছকে সহজেই অন্য মাছ থেকে আলাদা করে দেয়। উজ্জল ধুসর বর্ণের পৃষ্ঠদেশ ক্রমেই উভয় পাশে ও অঙ্কীয়দিকে রুপালি-সাদা বর্ণ ধারণ করেছে। ছাই-কালো বর্ণের পাখনার এই মাছের আঁইশও তুলনামূলক বড়। সাধারণত জলাশয়ের মধ্য ও উপরের স্তরে থাকতে পছন্দ করে এবং ক্রাসটেসিয়া, শৈবাল ও অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ এদের প্রধান খাবার। দুই বছরেই এরা প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকে। বর্ষাকালে প্লাবিত নদীতে (বিশেষত জলজ উদ্ভিদময় স্থানে) প্রজনন করে থাকে। এক প্রজনন ঋতুতে একটি মা মাছ প্রায় পনের থেকে ছাব্বিশ লক্ষ ডিম দিয়ে থাকে যা মাছের বয়স, দৈর্ঘ্য ও ওজনের এবং ডিম্বাশয়ের দৈর্ঘ্য ও ওজনের উপর নির্ভর করে কমবেশি হতে পারে।

    বিস্তৃতি
    বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও মায়ানমার অঞ্চলে পাওয়া যায়। ভারতের সমুদ্রবেষ্টিত দ্বীপের নদীতে শ্রীলঙ্কা এবং চীনে এদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এটি নদী, পুকুর, বিল, হাওর, বাওর ইত্যাদি জলাশয়ের উপরিস্তরে বসবাসকারী মিষ্টি জলের মাছ।

    খাদ্য
    সাধারণত জলাশয়ের মধ্য ও উপরের স্তরে থাকতে পছন্দ করে এবং ক্রাসটেসিয়া, শৈবাল ও অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ এদের প্রধান খাবার।

    চাষ পদ্ধতি
    কাতল মাছের চাষ পদ্ধতি খুব সহজ। রুই জাতীয় অন্যান্য মাছের সাথে এই মাছ সহজেই চাষ করা যায়।

    রন্ধনপ্রণালী
    ভাজা, ঝোল জনপ্রিয়। মাথা বড় বলে মুড়িঘণ্টর জন্য বেশ উপযোগী।

    বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ
    আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি বাংলাদেশে হুমকির সম্মুখীন নয়।

    0
    0
    Read More

    গুলশা মাছের পরিচর্যা ও চাষের সুবিধা

    Post By: administrator December 17, 2019 0 Comment




    গুলশা মাছ বাংলাদেশে চাষকৃত অন্যান্য ছোট মাছগুলোর মধ্যে অন্যতম। মিঠাপানির এই প্রজাতির মাছটি একসময় বেশি পরিমাণে নদী-নালা, খাল-বিল এবং হাওর-বাওড়ে পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে গুলশা মাছের প্রাপ্যতা পূর্ব অপেক্ষা অনেকাংশে কমে গেছে। বাংলাদেশে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে বর্তমানে এই মাছের পোনা উৎপাদন শুরু হয়েছে এবং স্বল্প পরিসরে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে।

    গুলশা মাছের পরিচর্যাঃ
    ১।  পুকুরে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রাকৃতিক খাদ্য রাখার জন্য প্রতিদিন বা ৭-১০ দিন পর পর নিয়মিত সার দিতে হবে।
    ২। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী দৈনিক শতক প্রতি ১৫০ গ্রাম গোবর অথবা ৩০০ গ্রাম কম্পোস্ট, ৫ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫ গ্রাম টিএসপি একটি পাত্রে নিয়ে পানির সাথে মিশিয়ে ১ দিন ভিজিয়ে রেখে তারপরের দিন সকালে পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে।
    ৩। অথবা ৭-১০ দিন অন্তর অন্তর সার প্রয়োগ করতে হলে উপরিউক্ত পরিমাণে দিনের গুণিতক হারে সার দিতে হবে। তবে প্রতিদিন সার ব্যবহার করাই উত্তম।
    ৪। পরিমাণমতো ও নিয়মিত জৈব ও রাসায়নিক সার মিশিয়ে পুকুরে প্রয়োগ করলে বেশি উৎপাদন পাওয়া যাবে।

    গুলশা মাছ চাষের সুবিধাঃ
    ১। এই মাছ মৌসুমী পুকুর, বার্ষিক পুকুর এবং অন্যান্য জলাশয়ে চাষ করা যাবে।
    ২।  এই মাছ চাষে পুকুরের সব স্তরের খাবারের ব্যবহার নিশ্চিত হবে।
    ৩। ৫-৬ মাসের মধ্যেই রুইজাতীয় মাছের পাশাপাশি গুলশা মাছ বাজারজাত করা যাবে।
    ৪। শুধু রুইজাতীয় মাছ চাষের চেয়ে গুলশা মাছ চাষে অধিক মুনাফা পাওয়া যায়।
    ৫। গুলশা মাছ সুস্বাদু হওয়ার কারণে এর বাজার মূল্যও বেশি।

    মাছের পোনা কোথায় পাওয়া যায়ঃ

    হ্যাচারীর পাশাপাশি এখন অনলাইনেও অর্ডার করে কিনতে পারবেন যে কোন মাছের পোনা । মাছের পোনা কিনতে ক্লিক করুন নিচে দেয়া মাছের পোনা লেখার উপর।

    হ্যাচারি

    https://krishibazar.com.bd/product-category/minnow/
    0
    0
    Read More

    ছোট মাছের উপকারিতা

    Post By: administrator November 24, 2019 0 Comment

    মাছ বাঙালির খুবই পছন্দের একটি খাদ্য। সব বয়সীদের জন্যই মাছ উপাদেয় ও সহজপাচ্য। তাই পরিবারের সদস্যদের আমিষের চাহিদা পূরণে মাছের গুরুত্ব সর্বাধিক। দামে তুলনামূলকভাবে সস্তা ও সহজলভ্য হওয়ার কারণে ছোট মাছ, বড় মাছের তুলনায় বেশি খাওয়া হয়। ছোট মাছ বলতে মূলত পুঁটি মাছ, কাঁচকি মাছ, মলা, ঢেলা, টেংরা, কৈ, মইলশা, শিং, পাবদা, বাটা, মেনি ইত্যাদিকেই বুঝিয়ে থাকে। আমাদের দেশে এই মাছগুলো খুব সহজেই পাওয়া যায়। গ্রামে বেশির ভাগ মানুষ টাটকা মাছ পেয়ে থাকে আর শহরে বাজার হতে পাওয়া যায় ছোট মাছ। আজকে লেখাতে থাকছে মুলত আপনাদের জন্য ছোট মাছের উপকারিতা গুলো।

     

    চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক ছোট মাছের উপকারিতা গুলোঃ

    (১) ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খনিজ লবণ সমৃদ্ধ গুঁড়া মাছ উপকারী। হৃদরোগী, স্ট্রোকের রোগীর ও গর্ভবতী মা ও দুগ্ধদানকারী মায়ের জন্য গুঁড়া মাছ খুবই উপকারী।

     

    (২) ছোট মাছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ থাকে যা রাতকানা, অন্ধ হয়ে যাওয়া ছাড়াও দৈনন্দিন অনেক শারিরীক সমস্যা দূর করতে সক্ষম। শিশুদের রাতকানা রোগ ঠেকাতে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ মলা, ঢেলা ও গুঁড়া মাছ খাওয়ান। দৃষ্টিশক্তির জন্যও গুঁড়া মাছ দরকার।

     

    (৩) উঠতি বয়সী শিশুদের জন্য প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৩ এবং ভিটামিন ডি যুক্ত গুঁড়া মাছ খুবই উপকারী।

     

    (৪) ছোট মাছে অসম্পৃক্ত চর্বি আছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এ ছাড়া আয়রন, প্রোটিন, ফসফরাস, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি২, ফ্যাটি অ্যাসিড, লাইসনি ও মিথিওনিনেরও ভাল উৎস ছোট মাছ।

     

    (৫) ছোট মাছে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। কাঁটাসহ ছোট মাছ ক্যালসিয়ামের এক অনন্য উপাদান। মলা, ঢেলা, চাঁদা, ছোট পুঁটি, ছোট চিংড়ি, কাচকি ইত্যাদি জাতীয় মাছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন ‘এ’ বিদ্যমান। মানবদেহে দৈনিক প্রচুর ক্যালসিয়ামের চাহিদা থাকে। বিশেষ করে বাড়ন্ত শিশু, গর্ভবতী মা এবং প্রসূতি মায়েদের ক্যালসিয়ামের চাহিদা আরও বেশি। হাড় ও দাঁত গঠনে ক্যালসিয়াম অত্যন্ত দরকারি। তাই প্রতিদিন আমাদের ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ ছোট মাছ খাওয়া উচিত।

     

    এছাড়াও যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ গুঁড়া মাছ তাদের ব্ল্যাডপ্রেসার কমাতে সাহায্য করবে।

     

     

     

     

    মাছের পোনা কোথায় পাওয়া যায়ঃ

    হ্যাচারীর পাশাপাশি এখন অনলাইনেও অর্ডার করে কিনতে পারবেন যে কোন মাছের পোনা । মাছের পোনা কিনতে ক্লিক করুন নিচে দেয়া মাছের পোনা লেখার উপর।

     

    মাছ

    0
    0

    Read More

    কিভাবে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা শুরু করব?

    Post By: administrator November 11, 2019 0 Comment

    বায়োফ্লকে মাছ চাষ করার আগে আমাদের জানতে হবে নিম্নে উল্লেখিত বিষয় গুলো সম্পর্কে। তাহলে আমরা খুব সহজেই বায়োফ্লক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ চাষে লাভবান হতে পারব। যেমন –

     

    • বায়োফ্লক কি?
    • বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের সুবিধা কি?
    • বায়োফ্লক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে সকল প্রজাতির মাছ চাষ সম্ভব?
    • কিভাবে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে পানি ব্যবস্থাপনা ও ফ্লক তৈরী করতে হবে?
    • বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে পানির গুণাবলী ও পানিতে কি কি উপাদান বিদ্যমান থাকা অনস্বীকার্য তা জানতে হবে?
    • বায়োফ্লক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ চাষের ক্ষেত্রে যে সকল বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে

     

    • বায়োফ্লকের কি ভবিষৎ সম্ভাবনা আছে?

    বায়োফ্লক

    বায়োফ্লক হল উপকারি ব্যাকটেরিয়া, অণুজীব ও শৈবালের সমম্বয়ে তৈরি হওয়া পাতলা আস্তরণ। যা জলকে ফিল্টার করে। জল থেকে নাইট্রোজেন জাতীয় ক্ষতিকর উপাদানগুলি শোষণ করে নেয় এবং এর প্রোটিন সমৃদ্ধ উপাদান খাবার হিসেবে মাছ গ্রহণ করতে পারে।

     

     

     

    বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের সুবিধা:

    উচ্চ বায়োসিকিউরিটি: এই প্রযুক্তিতে যেহেতু উপকারী ব্যাকটেরিয়া (প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া) ব্যবহার করা হয় যা পানির গুণাগুণ বৃদ্ধি ও রোগ সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর জীবাণু নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে পুরো সিস্টেমকে উচ্চ বায়োসিকিউরিটি প্রদান করে।

    অ্যামোনিয়া দূরীকরণ: সিস্টেমে বিদ্যমান উপকারী ব্যাকটেরিয়া মাছ চাষের প্রধান নিয়ামক অ্যামোনিয়াকে মাছের দৈহিক বৃদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদান প্রোটিনে রূপান্তর করার মাধ্যমে সিস্টেমে ক্ষতিকর অ্যামোনিয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।

    মাছের বৃদ্ধি নিশ্চিতকরণ: ট্যাংকের পানির গুণাগুণ নিয়ন্ত্রণ, ক্ষতিকর রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু নিয়ন্ত্রণ, মাছের মলও উচ্ছিষ্ট খাদ্যকে মাছের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনে রূপান্তরের মাধ্যমে মাছের বৃদ্ধি সুনিশ্চিত করে।

    উত্তম প্রোটিনের উৎস: উপকারী ব্যাকটেরিয়া (প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া) এই সিস্টেমে বিদ্যমান ক্ষতিকর অ্যামোনিয়া ও বাইরে থেকে সরবরাহকৃত কার্বনকে ব্যবহার করে অণুজীব আমিষ তৈরি করে। তাছাড়া ডায়াটম, প্রোটোজোয়া, অ্যালজি, ফেকাল পিলেট, জীবদেহের ধ্বংসাবশেষ ইত্যাদির ব্যাকটেরিয়া ম্যাক্রো-এগ্রিগেট তৈরি করে যা মাছের উত্তম প্রোটিনের উৎস হিসেবে কাজ করে।

    খাদ্য রূপান্তর হার (এফসিআর) হ্রাস করণ: মাছ চাষের ক্ষেত্রে খাদ্য রূপান্তরের হারের মান যত কম হবে মাছ চাষে মুনাফা তত বেশি হবে। এক্ষেত্রে বায়োফ্লক প্রযুক্তির সিস্টেমের উপকারী ব্যাকটেরিয়া মাছের অব্যবহৃত খাদ্য,মল-মূত্র থেকে নিঃসৃত অ্যামোনিয়াকে ব্যবহার করে অণুজীব প্রোটিন তৈরি করার ফলে বাহির থেকে প্রোটিন সমৃদ্ধ মাছের খাদ্য কম সরবরাহ করলেও হয়, তাই এ সিস্টেমের খাদ্য রূপান্তর হার (এফসিআর) অন্যান্য সিস্টেম থেকে কম হয়।

    স্বল্প খরচ ও অধিক লাভ: আমরা জানি মাছ চাষের শতকরা ৬০ ভাগ খরচই খাবারের জন্য ব্যয় হয়। এই পদ্ধতিতে সিস্টেমের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ট্যাংকেই অণুজীব প্রোটিন তৈরি করে তাই অন্যান্য সিস্টেমের চেয়েও খাদ্য কম লাগে ফলে চাষের খরচ কমে যায় এবং অধিক মুনাফা অর্জন সম্ভব হয়।

    সহজ চাষ পদ্ধতি: এটি একটি সহজ চাষ পদ্ধতি। বাড়িতে যে কোন চাষি সঠিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কারিগরি দক্ষতা অর্জন পূর্বক ৩০-৪০ টি ট্যাংকে সহজেই মাছ চাষ করতে পারবে।

    খুব কম পানি পরিবর্তন: মাছ চাষের অন্যতম নিয়ামক অ্যামোনিয়া নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উপকারী ব্যাকটেরিয়া পানির গুণাগুণ রক্ষা করে ফলে ট্যাংকের পানি খুব কম পরিবর্তন করলেই চলে।

    জমি এবং পানির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ: এই সিস্টেমে ছোট ছোট ট্যাংকে অনেক মাছ উৎপাদন হয় এবং ট্যাংকের পানি ও খুব কম পরিবর্তন করতে হয় তাই অল্প জমি ও অল্প পানি ব্যবহার করে অধিক মাছ উৎপাদন সম্ভব হয়। যা জমি ও পানির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে।

    পরিবেশবান্ধব একোয়াকালচার সিস্টেম: প্রকৃতিতে বিদ্যমান উপকারী ব্যাকটেরিয়া ব্যবহারের মাধ্যমে মাছ চাষ করা হচ্ছে। ফলে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে ব্যবহৃত বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ও অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন নেই বললেই চলে। তাই এটি একটি পরিবেশবান্ধব মাছ চাষ পদ্ধতি।

    রোগের প্রাদুর্ভাব দূরীকরণ: বায়োফ্লক সিস্টেমের উপকারী ব্যাকটেরিয়া মাছের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সমূহের বৃদ্ধিকে বাধা প্রদান করে ফলে ঐসব ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষা পাবে। যার ফলে মাছ চাষের সময় খামারকে রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা করা সম্ভবপর হয়।

    বায়োফ্লক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে সকল প্রজাতির মাছ চাষ সম্ভব:

    বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এ প্রযুক্তির মাধ্যমে মাছ চাষ এখনও ব্যাপকভাবে শুরু হয়নি। তাই আমাদের দেশে সচরাচর চাষকৃত মাছ যেমন- তেলাপিয়া, রুই, শিং, মাগুর, পাবদা, গুলশা ও চিংড়ীসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা যেতে পারে। তবে, যারা নতুন করে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ চাষ শুরু করতে চান তারা অবশ্যই প্রথমে তেলাপিয়া, শিং ও মাগুর মাছ দিয়ে চাষ শুরু সমীচীন হবে।

     

     বায়োফ্লক পদ্ধতিতে পানি ব্যবস্থাপনা ও ফ্লক তৈরী করার কলাকৌশল…

    বায়োফ্লকে মাছ চাষের জন্য পানি ব্যবস্থাপনা ও ফ্লক একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। যেকোন মাছ বা চিংড়ি চাষ বা বায়োফ্লক প্রজেক্ট করার আগে পানির উৎস কি হবে এবং তার গুণাগুণ বা ব্যবহারের উপযোগীতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা জরুরী।

    পানির উৎসঃ

    গভীর নলকূপ, সমূদ্র, নদী, বড় জলাশয়,লেক,বৃষ্টি ইত্যাদির উৎসের পানি গুণ মান ভাল থাকলে ব্যবহার করা যায়।

    বায়োফ্লকের জন্য উপযোগী পানি তৈরীঃ

    প্রথমে ট্যাংক ব্লিচিং পাউডার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। এর পর নির্বাচিত পানির গুণাগুণ পরীক্ষা করে পানি প্রবেশ করাতে হবে।

    বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে পানির গুণাবলীঃ

    ১. তাপমাত্রা – ২৫ – ৩০ ° C

    ২. পানির রং – সবুজ, হালকা সবুজ, বাদামী।

    ৩. দ্রবীভূত অক্সিজেন – ৭- ৮ mg/L

    ৪. পিএইচ – ৭.৫ – ৮.৫

    ৫. ক্ষারত্ব – ৫০ – ১২০ mg/L

    ৬. খরতা – ৬০ – ১৫০ mg/ L

    ৭. ক্যালসিয়াম – ৪ – ১৬০ mg/L

    ৮. অ্যামোনিয়া – ০.০১ mg/L

    ৯. নাইট্রাইট – ০.১ – ০.২ mg/L

    ১০. নাইট্রেট – ০ – ৩ mg/L

    ১১. ফসফরাস – ০.১ – ৩ mg/L

    ১২. H2S – ০.০১ mg/ L

    ১৩. আয়রন – ০.১ – ০.২ mg/L

    ১৪. পানির স্বচ্ছতা – ২৫ – ৩৫ সে.মি.

    ১৫. পানির গভীরতা – ৩ – ৪ ফুট

    ১৬. ফলকের ঘনত্ব – ৩০০ গ্রাম / টন

    ১৭.TDS – ১৪০০০ – ১৮০০০ mg/L

    ১৮. লবণাক্ততা – ৩ – ৫ ppt

    পানিতে ফ্লক তৈরিঃ–

    প্রথম ডোজে ৫ ppm প্রেবায়োটিক, ৫০ ppm চিটাগুড়, ৫ ppm ইস্ট, পানি প্রতি টনের জন্য ১ লিটার, একটি প্লাস্টিকের বালতিতে অক্সিজেন সরবরাহ করে ৮- ১০ ঘন্টা কালচার করে প্রয়োগ করতে হবে। ২য় দিন থেকে ১ppm প্রোবায়োটিক, ৫ ppm চিটাগুড়, ১ ppm ইস্ট, প্রতি টনের জন্য ১ লিটার পানি দিয়ে উপরের সময় ও নিয়মে কালচার করে প্রতি দিন প্রয়োগ করতে হবে।

    বায়োফ্লকের এক্টিভিটি পর্যবেক্ষণঃ

    পানিতে যথাযথ পরিমাণ ফ্লক তৈরি হলে-

    ১. পানির রং সবুজ বা বাদামী দেখায়।

    ২. পানিতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ কণা দেখা যায়।

    ৩. পানির অ্যামোনিয়া পরীক্ষা করলে পানি অ্যামোনিয়া মুক্ত দেখায়।

    ৪. প্রতি লিটার পানিতে ০.৩ গ্রাম ফ্লকের ঘনত্ব পাওয়া যাবে।

    ৫. ক্ষুদিপানা দেওয়ার পর তাদের বংশ বিস্তার পরিলক্ষিত হয়।

    ট্যাংক নির্মাণ:

    প্রথমে গ্রেড রড দিয়ে ট্যাংকের বৃত্তাকার খাঁচাটি তৈরি করতে হবে। যেই স্থানে ট্যাংকটি স্থাপন করা হবে সেই জায়গাতে খাঁচার পরিধির সমান করে সিসি ঢালাই দিতে হবে। বৃত্তের ঠিক কেন্দ্রে পানির একটি আউটলেট পাইপ স্থাপন করতে হবে। এরপর খাঁচাটিকে ঢালাই মেঝের উপর স্থাপন করে মাটিতে গেঁথে দিতে হবে। মেঝের মাটি শক্ত ও সমান হলে ঢালাইয়ের পরিবর্তে পরিধির সমান করে পুরু পলিথিন বিছিয়েও মেঝে প্রস্তুত করা যায়। এরপর উন্নতমানের তারপুলিন দিয়ে সম্পূর্ণ খাঁচাটি ঢেকে দিতে হবে। তার উপর পুরু পলিথিন দিয়ে আচ্ছাদিত করে তাতে পানি মজুদ করতে হবে।

    এরেটর পাম্পঃ

    বায়োফ্লক ট্যাংকে সার্বক্ষণিক অক্সিজেন সাপ্লাই দেওয়ার জন্য একটি এরেটর পাম্প স্থাপন করতে হবে। ছয় ফুট ব্যাসার্ধের এবং চার ফুট উচ্চতার একটি ট্যাংকে প্রায় ত্রিশ হাজার শিং মাছ চাষ করা যাবে।

     

     বায়োফ্লক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ চাষের ক্ষেত্রে যে সকল বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে:

    উপকারী ব্যাকটেরিয়ার উৎস: বায়োফ্লকপদ্ধতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা মাছচাষের ফলে উৎপাদিত বর্জ্য কে প্রোটিন সমৃদ্ধ জৈব খাবারে তৈরি করে। তাই সঠিক উৎস হতে প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া সংগ্রহ করতে হবে।

    নিয়মিত পানির গুণাগুণ পরীক্ষা: নিয়মিত ট্যাংকে সরবরাহকৃত পানির গুণাগুণ যেমন- অ্যামোনিয়া, নাইট্রেট, নাইট্রাইট, ফ্লকের ঘনত্ব ইত্যাদি পরিমাপ করতে হবে এবং এগুলো যদি সঠিক মাত্রায় না থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

    তাপমাত্রার হ্রাস বৃদ্ধি: আমাদের দেশে দিনের বেলার তাপমাত্রা ও রাত্রের তাপমাত্রা সব সময় উঠানামা করে, যা ফ্লকের বৃদ্ধির জন্য উপযোগী নয়। তাই পর্যাপ্ত ফ্লকের বৃদ্ধির জন্য তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

    কারিগরি জ্ঞান সমৃদ্ধ জনবল: বয়োফ্লকের মাধ্যমে মাছ চাষের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দক্ষ জনবলের প্রয়োজন। কারণ এই প্রযুক্তিতে যদি পানির গুণাগুণ পরীক্ষা, সঠিক মাত্রায় খাদ্য প্রয়োগ, ফ্লকের ঘনত্ব পরিমাপ ইত্যাদি বিষয়ে কারিগরি জ্ঞান না থাকে তাহলে চাষি যে কোন সময় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

    সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ: বায়োফ্লক পদ্ধতিতে ট্যাংকে অধিক পরিমাণে মাছ রাখা হয়। তাই ট্যাংকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হয়। আর ট্যাংকে সব সময় অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ লাগবে। তা না হলে ট্যাংকের অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে সব মাছ এক সাথে মারা যেতে পারে। সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা ট্যাংকে অক্সিজেন সরবরাহ না করা হলে সব মাছ মারা যেতে পারে।

     

    বায়োফ্লকের ভবিষৎ সম্ভাবনা

    বায়োফ্লক প্রযুক্তির মূলনীতি হল ইহা হেটারোট্রপিক
    ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে, পানিতে উচ্চ কার্বন-নাইট্রোজেন অনুপাত নিশ্চিত করার মাধ্যমে যা ক্ষতিকর অ্যামোনিয়াকে অণুজীব আমিষে রূপান্তর করে। এটি একটি পরিবেশ বান্ধব বিকল্প প্রযুক্তি যা ক্রমাগতভাবে পানিতে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদানগুলোকে পুন: আবর্তন এর মাধ্যমে পুনঃ ব্যবহার নিশ্চিত করে। ট্যাংকের পানি খুব কম পরিবর্তন উক্ত ট্যাংকে বিদ্যমান অণুজীবের বৃদ্ধির সহায়ক হয় বলে এটি একটি টেকসই প্রযুক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে।

     

    সবশেষে, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অল্প জায়গায় অধিক পরিমাণে মাছ উৎপাদন সম্ভব। এই প্রযুক্তি যদি মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া যায় তাহলে আমাদের দেশের মাছের উৎপাদন অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি করা সম্ভব। যা সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সচেষ্ট ভূমিকা পালন করবে। এ পদ্ধতিতে মাছ চাষের যে কোন পরামর্শের জন্য (www.dmrebd.com) যোগাযোগ করা যেতে পারে।

    মাছের পোনা কোথায় পাওয়া যায়ঃ

    হ্যাচারীর পাশাপাশি এখন অনলাইনেও অর্ডার করে কিনতে পারবেন যে কোন মাছের পোনা । মাছের পোনা কিনতে ক্লিক করুন নিচে দেয়া মাছের পোনা লেখার উপর।

     

    মাছ

    0
    0

    Read More

    বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের সুবিধা

    Post By: administrator November 10, 2019 2 Comments

    বায়োফ্লক প্রযুক্তি মাছ চাষের একটি টেকসই এবং পরিবেশগত ভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ মাছ চাষ পদ্ধতি। বায়োফ্লক হল প্রোটিন সমৃদ্ধ জৈব পদার্থ এবং অণুজীব, যেমন- ডায়াটম, ব্যাকটেরিয়া, প্রোটোজোয়া, অ্যালজি, ফেকাল পিলেট, জীবদেহের ধ্বংসাবশেষ এবং অন্যান্য অমেরুদণ্ডী প্রাণী ইত্যাদির ম্যাক্রো-এগ্রিগেট। এটি এমন একটি একোয়াকালচার সিস্টেম যা কার্যকর ভাবে পুষ্টি উপাদানের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে খুব কম পানি পরিবর্তন বা একবারও পানি পরিবর্তন না করে। এই প্রযুক্তি পানিতে বিদ্যমান কার্বন ও নাইট্রোজেন এর সাম্যাবস্থা নিশ্চিত করে পানির গুণাগুণ বৃদ্ধি ও ক্ষতিকর রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু নিয়ন্ত্রণ করে। বায়োফ্লক প্রযুক্তির মূলনীতি হল ইহা হেটারোট্রপিক
    ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে, পানিতে উচ্চ কার্বন-নাইট্রোজেন অনুপাত নিশ্চিত করার মাধ্যমে যা ক্ষতিকর অ্যামোনিয়াকে অণুজীব আমিষে রূপান্তর করে। এটি একটি পরিবেশ বান্ধব বিকল্প প্রযুক্তি যা ক্রমাগতভাবে পানিতে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদানগুলোকে পুন: আবর্তন এর মাধ্যমে পুনঃ ব্যবহার নিশ্চিত করে। ট্যাংকের পানি খুব কম পরিবর্তন উক্ত ট্যাংকে বিদ্যমান অণুজীবের বৃদ্ধির সহায়ক হয় বলে এটি একটি টেকসই প্রযুক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
    বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের সুবিধা:

    ১। উচ্চ বায়োসিকিউরিটি: এই প্রযুক্তিতে যেহেতু উপকারী ব্যাকটেরিয়া (প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া) ব্যবহার করা হয় যা পানির গুণাগুণ বৃদ্ধি ও রোগ সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর জীবাণু নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে পুরো সিস্টেমকে উচ্চ বায়োসিকিউরিটি প্রদান করে।

     

    ২। অ্যামোনিয়া দূরীকরণ: সিস্টেমে বিদ্যমান উপকারী ব্যাকটেরিয়া মাছ চাষের প্রধান নিয়ামক অ্যামোনিয়াকে মাছের দৈহিক বৃদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদান প্রোটিনে রূপান্তর করার মাধ্যমে সিস্টেমে ক্ষতিকর অ্যামোনিয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।

     

    ৩। মাছের বৃদ্ধি নিশ্চিতকরণ: ট্যাংকের পানির গুণাগুণ নিয়ন্ত্রণ, ক্ষতিকর রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু নিয়ন্ত্রণ, মাছের মলও উচ্ছিষ্ট খাদ্যকে মাছের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনে রূপান্তরের মাধ্যমে মাছের বৃদ্ধি সুনিশ্চিত করে।

     

    ৪। উত্তম প্রোটিনের উৎস: উপকারী ব্যাকটেরিয়া (প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া) এই সিস্টেমে বিদ্যমান ক্ষতিকর অ্যামোনিয়া ও বাইরে থেকে সরবরাহকৃত কার্বনকে ব্যবহার করে অণুজীব আমিষ তৈরি করে। তাছাড়া ডায়াটম, প্রোটোজোয়া, অ্যালজি, ফেকাল পিলেট, জীবদেহের ধ্বংসাবশেষ ইত্যাদির ব্যাকটেরিয়া ম্যাক্রো-এগ্রিগেট তৈরি করে যা মাছের উত্তম প্রোটিনের উৎস হিসেবে কাজ করে।

     

    ৫। খাদ্য রূপান্তর হার (এফসিআর) হ্রাস করণ: মাছ চাষের ক্ষেত্রে খাদ্য রূপান্তরের হারের মান যত কম হবে মাছ চাষে মুনাফা তত বেশি হবে। এক্ষেত্রে বায়োফ্লক প্রযুক্তির সিস্টেমের উপকারী ব্যাকটেরিয়া মাছের অব্যবহৃত খাদ্য,মল-মূত্র থেকে নিঃসৃত অ্যামোনিয়াকে ব্যবহার করে অণুজীব প্রোটিন তৈরি করার ফলে বাহির থেকে প্রোটিন সমৃদ্ধ মাছের খাদ্য কম সরবরাহ করলেও হয়, তাই এ সিস্টেমের খাদ্য রূপান্তর হার (এফসিআর) অন্যান্য সিস্টেম থেকে কম হয়।

     

    ৬। স্বল্প খরচ ও অধিক লাভ: আমরা জানি মাছ চাষের শতকরা ৬০ ভাগ খরচই খাবারের জন্য ব্যয় হয়। এই পদ্ধতিতে সিস্টেমের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ট্যাংকেই অণুজীব প্রোটিন তৈরি করে তাই অন্যান্য সিস্টেমের চেয়েও খাদ্য কম লাগে ফলে চাষের খরচ কমে যায় এবং অধিক মুনাফা অর্জন সম্ভব হয়।

     

    ৭। সহজ চাষ পদ্ধতি: এটি একটি সহজ চাষ পদ্ধতি। বাড়িতে যে কোন চাষি সঠিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কারিগরি দক্ষতা অর্জন পূর্বক ৩০-৪০ টি ট্যাংকে সহজেই মাছ চাষ করতে পারবে।

     

    ৮। খুব কম পানি পরিবর্তন: মাছ চাষের অন্যতম নিয়ামক অ্যামোনিয়া নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উপকারী ব্যাকটেরিয়া পানির গুণাগুণ রক্ষা করে ফলে ট্যাংকের পানি খুব কম পরিবর্তন করলেই চলে।

     

    ৯। জমি এবং পানির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ: এই সিস্টেমে ছোট ছোট ট্যাংকে অনেক মাছ উৎপাদন হয় এবং ট্যাংকের পানি ও খুব কম পরিবর্তন করতে হয় তাই অল্প জমি ও অল্প পানি ব্যবহার করে অধিক মাছ উৎপাদন সম্ভব হয়। যা জমি ও পানির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে।

     

    ১০। পরিবেশবান্ধব একোয়াকালচার সিস্টেম: প্রকৃতিতে বিদ্যমান উপকারী ব্যাকটেরিয়া ব্যবহারের মাধ্যমে মাছ চাষ করা হচ্ছে। ফলে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে ব্যবহৃত বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ও অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন নেই বললেই চলে। তাই এটি একটি পরিবেশবান্ধব মাছ চাষ পদ্ধতি।

     

    ১১। রোগের প্রাদুর্ভাব দূরীকরণ: বায়োফ্লক সিস্টেমের উপকারী ব্যাকটেরিয়া মাছের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সমূহের বৃদ্ধিকে বাধা প্রদান করে ফলে ঐসব ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষা পাবে। যার ফলে মাছ চাষের সময় খামারকে রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা করা সম্ভবপর হয়।

     

    অনলাইনে মাছের পোনা কোথায় পাওয়া যায়ঃ

    হ্যাচারীর পাশাপাশি এখন অনলাইনেও অর্ডার করে কিনতে পারবেন যে কোন মাছের পোনা । মাছের পোনা কিনতে ক্লিক করুন নিচে দেয়া মাছের পোনা লেখার উপর।

     

    মাছ

    0
    0

    Read More

    বায়োফ্লক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ চাষের ক্ষেত্রে যে সকল বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে

    Post By: administrator November 10, 2019 0 Comment

    পৃথিবীর জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বাড়তি জনসংখ্যার খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য খাদ্য উৎপাদনকারী খাতে (যেমন- মৎস্যচাষ) সম্প্রসারণ প্রয়োজন।
    বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এ প্রযুক্তির মাধ্যমে মাছ চাষ এখনও ব্যাপকভাবে শুরু হয়নি। তাই আমাদের দেশে সচরাচর চাষকৃত মাছ যেমন- তেলাপিয়া, রুই, শিং, মাগুর, পাবদা, গুলশা ও চিংড়ীসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা যেতে পারে। তবে, যারা নতুন করে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ চাষ শুরু করতে চান তারা অবশ্যই প্রথমে তেলাপিয়া, শিং ও মাগুর মাছ দিয়ে চাষ শুরু সমীচীন হবে।

    বায়োফ্লক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ চাষের ক্ষেত্রে যে সকল বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে:

     

    ১। উপকারী ব্যাকটেরিয়ার উৎস:

    বায়োফ্লকপদ্ধতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা মাছচাষের ফলে উৎপাদিত বর্জ্য কে প্রোটিন সমৃদ্ধ জৈব খাবারে তৈরি করে। তাই সঠিক উৎস হতে প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া সংগ্রহ করতে হবে।

     

    ২। নিয়মিত পানির গুণাগুণ পরীক্ষা:

    নিয়মিত ট্যাংকে সরবরাহকৃত পানির গুণাগুণ যেমন- অ্যামোনিয়া, নাইট্রেট, নাইট্রাইট, ফ্লকের ঘনত্ব ইত্যাদি পরিমাপ করতে হবে এবং এগুলো যদি সঠিক মাত্রায় না থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

     

    ৩। তাপমাত্রার হ্রাস বৃদ্ধি:

    আমাদের দেশে দিনের বেলার তাপমাত্রা ও রাত্রের তাপমাত্রা সব সময় উঠানামা করে, যা ফ্লকের বৃদ্ধির জন্য উপযোগী নয়। তাই পর্যাপ্ত ফ্লকের বৃদ্ধির জন্য তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

     

    ৪। কারিগরি জ্ঞান সমৃদ্ধ জনবল:

    বয়োফ্লকের মাধ্যমে মাছ চাষের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দক্ষ জনবলের প্রয়োজন। কারণ এই প্রযুক্তিতে যদি পানির গুণাগুণ পরীক্ষা, সঠিক মাত্রায় খাদ্য প্রয়োগ, ফ্লকের ঘনত্ব পরিমাপ ইত্যাদি বিষয়ে কারিগরি জ্ঞান না থাকে তাহলে চাষি যে কোন সময় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

     

    ৫। সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ:

    বায়োফ্লক পদ্ধতিতে ট্যাংকে অধিক পরিমাণে মাছ রাখা হয়। তাই ট্যাংকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হয়। আর ট্যাংকে সব সময় অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ লাগবে। তা না হলে ট্যাংকের অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে সব মাছ এক সাথে মারা যেতে পারে। সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা ট্যাংকে অক্সিজেন সরবরাহ না করা হলে সব মাছ মারা যেতে পারে।

     

     

    অনলাইনে মাছের পোনা কোথায় পাওয়া যায়ঃ

    হ্যাচারীর পাশাপাশি এখন অনলাইনেও অর্ডার করে কিনতে পারবেন যে কোন মাছের পোনা । মাছের পোনা কিনতে ক্লিক করুন নিচে দেয়া মাছের পোনা লেখার উপর।

    মাছ

    0
    0

    Read More
    • 1
    • 2
    • 3
    • 4
    • Next

    LET’S KEEP IN TOUCH!

    Sign up for exclusive deals and promos

    Need to chat?

    • 01908597470 / 01908597471
    • info@krishibazar.com.bd

    © 2020, Krishi Bazar. All Rights Reserved..

    Login

    Forgot Password?

    Close
    Sign in Or Register
    Forgot your password?

    NEW HERE?

    Registration is free and easy!

    • Faster checkout
    • Save multiple shipping addresses
    • View and track orders and more
    Create an account
    x
    X
    • Menu
    • কেনাকাটা
      • বায়োফ্লক
        • মিটার
        • অন্যান্য সরঞ্জামসমূহ
      • অন্যান্য মেশিনারিজ
      • ছাদ কৃষি
      • জৈব সার
      • হাইড্রপনিক ট্রে
      • সিডলিং ট্রে
      • নার্সারী
        • ইনডোর প্লান্ট
        • ফলজ বৃক্ষ
        • ফুল গাছ
        • শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষ
      • বীজ
        • বীজ প্যাকেজ
      • বীষমুক্ত খাবার
        • গুড়
        • ফল
      • মাছের পোনা
        • ক্যাট ফিস
        • বাংলা মাছ
      • মাশরুম
      • ডেইরী খামার
      • অন্যান্য কৃষি পন্য
        • হাঁসের বাচ্চা
        • মুরগির বাচ্চা
    • কৃষি মেশিনারিজ
      • কৃষি যন্ত্রপাতি
        • খুচরা যন্ত্রপাতি
    • ভিডিও গ্যালারী
    • ট্রেনিং
      • বায়োফ্লোক অনলাইন কোর্স
      • বায়োফ্লোক PDF বই
      • বায়োফ্লক অফলাইন কোর্স
      • Dashboard
    • ব্লগ