ঝিঙা (ইংরেজি: Luffa), ভিয়েতনামী ধুন্দল, ভিয়েতনামী লাউ, বা চীনা অক্রা একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বর্গ এবং উপ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় লতাজাতীয় উদ্ভিদ যা শসা কিউকুয়াবিটাশা পরিবারে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। ঝিঙা সাধারণত দুই প্রজাতির হয়, যথা, luffa aegyptiaca এবং luffa acutangula। ধুন্দল মূলত সবজি হিসাবে চাষ করা হয়। সবজি হিসাবে খাবারের জন্য কচি অবস্থায় সংগ্রহ করা হয়। এই সবজি চীন ও ভিয়েতনামের অতি জনপ্রিয়।[২] ধুন্দল বুড়ো হয়ে গেলে তখন এটা খুব আঁশাল হয়ে যায়। ধুন্দল সাধারণত বর্ষজীবী, ফেব্রুয়ারি-মে তে পাওয়া যায়। ৬”-১৮” পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে। বাংলাদেশে এই গাছের চাষ করা হয় মার্চ-এপ্রিল মাসে এবং গ্রীষ্মের শেষে এর ফুল ও ফল হয়। বর্ষাকালের প্রায় শেষ পর্যন্ত ঝিঙা পাওয়া যায়। ঝিঙা চাষের জন্য বেলে দো-আঁশ মাটি ভালো। ঝিঙা বাংলাদেশ ও ভারতসহ সর্বত্র চাষ করা হয়ে থাকে। ঝিঙার সবকিছুই ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
পুষ্টিগুন:
ঝিঙায় রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। কারন প্রতি ১০০ গ্রাম ঝিঙায় রয়েছে শর্করা ৪.৩ গ্রাম, আমিষ ১.৮ গ্রাম, জলীয় অংশ (পানি) ৯৫ গ্রাম, খাদ্য শক্তি ৩০ কিলোক্যালরী, খনিজ লবণ, ০.৩ গ্রাম, চর্বি ০.৬ গ্রাম। ভিটামিন এ ৬৭০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি-১ বা থায়ামিন ০.১১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-২ বা রাইবোফ্লাভিন ০.০৪ মিলিগ্রাম, নায়াসিন বা ভিটামিন বি-৬ ০.৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৬ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৪০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৪০ মিলিগ্রাম, আয়রণ ০.৫ মিলিগ্রাম, আঁশ ০.৫ গ্রাম, ভিটামিন-ই ১.২০ মিলিগ্রাম।
উপকারিতা:
১। ঝিঙা খেলে দাঁতের মাড়ি নানা রোগ ও এন্টিঅক্সিডেন্টকে শক্তিশালী করে।
২। ঝিঙায় আঁশ থাকে তাই ঝিঙা নিয়মিত খেল সহজে হজম হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
৩। তেতো ঝিঙে কৃমি ও অর্শ রোগে বেশ উপকার করে।
৪। ঝিঙা নিয়মিত খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
৫। তেতো ঝিঙের রস লাগালে শরীরের যেকোন ঘা ভালো হয়।
৬। ঝিঙে লতার শিকড় গরুর দুধে বা ঠান্ডা পানিতে ঘষে সকাল বিকাল খেলে পাথুরী রোগ দূর হয়
৭। যাদের পেটে বেশী গ্যাস জমা হয় তারা ঝিঙের তরকারী ঝোল সহ নিয়মিত খান উপকার পাবেন।
৮। ঝিঙার পরিপক্ক বীজ বেটে পানির সাথে মিশিয়ে খেলে বমি বমি ভাব ভালো হয়।
অনলাইনে বীজ কোথায় পাওয়া যায়ঃ
দোকানের পাশাপাশি এখন অনলাইনে বীজ কিনতে পারবেন। কিনতে নিচে বীজ লেখা লিঙ্কের উপর ক্লিক করুনঃ