Store Location
  • 01908597470 / 01908597471
  • Offers
  • Help
  • BDT
    • BDT
    • USD
    • EUR
  • Sign in
  • কেনাকাটা
    • বায়োফ্লক
      • মিটার
      • অন্যান্য সরঞ্জামসমূহ
    • অন্যান্য মেশিনারিজ
    • ছাদ কৃষি
    • জৈব সার
    • হাইড্রপনিক ট্রে
    • সিডলিং ট্রে
    • নার্সারী
      • ইনডোর প্লান্ট
      • ফলজ বৃক্ষ
      • ফুল গাছ
      • শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষ
    • বীজ
      • বীজ প্যাকেজ
    • বীষমুক্ত খাবার
      • গুড়
      • ফল
    • মাছের পোনা
      • ক্যাট ফিস
      • বাংলা মাছ
    • মাশরুম
    • ডেইরী খামার
    • অন্যান্য কৃষি পন্য
      • হাঁসের বাচ্চা
      • মুরগির বাচ্চা
  • কৃষি মেশিনারিজ
    • কৃষি যন্ত্রপাতি
      • খুচরা যন্ত্রপাতি
  • ভিডিও গ্যালারী
  • ট্রেনিং
    • বায়োফ্লোক অনলাইন কোর্স
    • বায়োফ্লোক PDF বই
    • বায়োফ্লক অফলাইন কোর্স
    • Dashboard
  • ব্লগ

My Cart0

৳ 0
There are 0 item(s) in your cart
    Subtotal: ৳ 0
    View Cart
    Check Out
    • Home
    • পাখি পালন

    Categories

    • অন্যান্য (1)
    • উদ্ভিদ (2)
    • কৃষি খবর (1)
    • গরু পালন (10)
    • গাছপালা (43)
    • চাষাবাদ (43)
    • ছাগল পালন (4)
    • ছাদ বাগান (6)
    • জৈব সার (15)
    • পাখি পালন (26)
    • পুষ্টিগুন (9)
    • প্রশ্নোত্তর (29)
    • ফল (46)
    • ফসল (2)
    • ফসলের রোগ বালাই (3)
    • ফুল (30)
    • বায়োফ্লক প্রযুক্তি (5)
    • বীজ (42)
    • বীজ|শাঁক (1)
    • ভেষজ বা ঔষধি (70)
    • মসলা (6)
    • মাছ চাষ (32)
    • মাশরুম চাষ (7)
    • মাশরুম চাষ|মাশরুমের রান্নাবান্না (2)
    • মাশরুমের রান্নাবান্না (23)
    • মুরগি পালন (5)
    • রান্নাবান্না (72)
    • শাঁক (9)

    BEST SELLERS

    ভার্মি কম্পোষ্ট কেঁচো সার

    ভার্মি কম্পোষ্ট কেঁচো সার

    ৳ 25 ৳ 20
    শুকনো গোবর

    শুকনো গোবর

    ৳ 20 ৳ 15
    হাড়ের গুড়া

    হাড়ের গুড়া

    ৳ 65 ৳ 60
    গাছ কাটা মেশিন (২০ ইঞ্চি)

    গাছ কাটা মেশিন (২০ ইঞ্চি)

    ৳ 13,000 ৳ 12,000

    পাখি পালন

    বাজরিগারের বাচ্চা জন্মানোর পর করনীয়

    Post By: administrator January 20, 2020 0 Comment




    বাজরিগার প্রধানত অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল অঞ্চলে বনাঞ্চলের পাখি। তাছাড়াও তাস্মেনিয়া এবং আশপাশের কয়েকটি দেশেও এই পাখি দেখতে পাওয়া যায়। বনে বাস করে এমন বাজরিগার লম্বায় প্রায় ৬.৫ থেকে ৭ ইঞ্চি হতে পারে। তবে খাঁচায় পালা পাখি লম্বায় ৭ থেকে ৮ ইঞ্চি হয়ে থাকে। বন্য পাখির ওজন ২৫ থেকে ৩৫ গ্রাম। আর খাঁচায় পালনকারা পাখির ওজন ৩৫ থেকে ৪০ গ্রাম পর্যন্ত হয়।
    শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়া মেলোপসিট্টাকাস প্রজাতির এই পাখি ১৭০০ শতাব্দিতে তালিকাভূক্ত হয়। বাজরিগার প্রাকৃতিকভাবে সবুজ ও হলুদের সঙ্গে কালো রংয়ের হয়। এছাড়াও থাকে নীল, সাদা, হলুদ রংয়ের ছোপ। সারা গায়ে পেটের নিচে আকাশি, হলুদ বা অন্য রংয়েরও হয়ে থাকে। এই পাখির উপর গবেষণা চালিয়ে অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসীগণ প্রতিপালন শুরু করে সফলতা পায়। জানতে পারেন ঘনঘন ব্রিডিং সম্ভব এই পাখির। একবার যদি বাচ্চা দেওয়া শুরু করে তো আর থামেই না।

    দীর্ঘ ১৮ দিন তা দেয়ার পর পৃথিবীতে আসে বাজরিগারের বাচ্চা । তাদের মৃদু কিচমিচ শব্দ আপনাকে জানিয়ে দেবে তাদের আগমনী বার্তা । তাদের চাই খাবার , নিরাপদ বাস্থান ও মা-বাবার উষ্ণতা। জন্মের পর থেকে প্রথম ৭ দিন বাচ্চার অবস্থা খুব ই নাজুক থাকে। তাই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে তাদের যত্নআত্তির ব্যাপারে। নিচের টিপস গুলো মেনে চললে আপনার বাজরিগারের বাচ্চা ভালো থাকবেঃ
    ১/ বাচ্চা হলে পাখির খাঁচায় পর্যাপ্ত খাবার ও পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে সবসময় । এসময় বাজরিগার প্রচুর খাবার ও পানি খায় । তাই প্রতিদিন বেশি করে খাবার দিতে হবে বা সিড হপারে খাবার দিতে হবে। অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই ফোটানো পানি দেবেন।
    ২/ বাচ্চার হজম শক্তি মা বাবার তুলনায় অনেক কম হয় । তাই খাবারে সামান্য ভুলভাল হলেই বাচ্চা মারা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বাজার থেকে সিডমিক্স কিনে এনে ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে অথবা পারতপক্ষে সিডমিক্স কুলায় ঝেড়ে ধুলিমুক্ত করতে হবে। বাচ্চার জীবাণুমুক্ত খাবার আলাদা পাত্রে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
    ৩/ বাচ্চা হলে সফটফুড যেমন ডিম সিদ্ধ , পাউরুটি ভেজা , ভুট্টা সিদ্ধ , গাজরকুচি , বরবটি , ধনেপাতা এবং কলমি/পালং শাক দিতে হবে। তবে আমি আগেও বলেছি , বাচ্চার হজম শক্তি বাবা মায়ের তুলনায় অনেক কম। সফটফুড বাচ্চা হজম করতে না পারলে পাতলা পায়খানা করবে। অনেক সময় খুব বেশি পাতলা পায়খানা করলে হাড়িতে কাদার মত হয়ে যায়। এতে হাড়ির অন্য ডিম না ও ফুটতে পারে বা অন্য বাচ্চা মারা যেতে পারে । তাই আমার মতে সব বাচ্চা ফোটার আগে সফটফুড না দেয়া ভালো। আর যদি দেন তাহলে সতর্ক থাকবেন। যখনই দেখবেন বাচ্চা পাতলা পায়খানা করছে তখনই সফট ফুড দেয়া বন্ধ করে দেবেন। সফটফুড গরমকালে ২ ঘণ্টা ও শীতকালে ৩ ঘণ্টার মধ্যে খাঁচা থেকে সরিয়ে ফেলবেন।
    ৪/ বাচ্চাদের জন্য ভিটামিন বিসি গোল্ড (BC GOLD) টনিক হিসেবে পরিচিত। এটা বাচ্চার বেড়ে ওঠা দ্রুততর করে। এটা সপ্তাহে ৩/৪ দিন দেয়া যেতে পারে।
    ৫/বাজরিগার কোন কারণে ভয় পেলে হাড়ির ভেতর হুড়মুড় করে হাড়ির ভেতর ঢুকে। এতে বাচ্চারা মা বাবার পায়ের চাপে মারা যেতে পারে। তাই আপনি যখন তাদের দেখতে যাবেন তখন আস্তে ধীরে যান। এভিয়ারি ইঁদুর , টিকটিকি , কাক ও চড়াই এসব মুক্ত রাখুন। কারন এগুলো দেখলে বাজি ভয় পায় ও খুব বেশি রিঅ্যাকট করে। তখন তাদের পায়ের চাপে বাচ্চা মারা যেতে পারে।
    ৬/বাচ্চা বারবার দেখবেন না। এতে উপরোক্ত সমস্যা হতে পারে। দিনে ১-২বার দেখা যায় । বাচ্চা দেখার জন্য হাড়ি না নামিয়ে আপনার মোবাইলের ক্যামেরা বা ভিডিও অপশন টি( ফ্লাশ ছাড়া) ব্যবহার করতে পারেন। এতে বারবার হাড়ি নামানোর ঝামেলা কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে বাজি বুঝেনা যে আপনি তাকে কৃত্তিম চোখ দিয়ে দেখছেন ।
    ৭/ কোন বাচ্চা মারা গেলে ফেলে দিন। হাঁড়িতে পচে গেলে বা শুকিয়ে গেলে তা অন্য বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
    ৮/ বাচ্চার হাড়ি কিছুদিন পর পর পায়খানায় ভরে যায়। মজার ব্যাপার হল অনেক বাজি সেই পায়খানা নিজেরাই পরিস্কার করে। আপনি সপ্তাহে অন্তত একবার হাড়ি পরিস্কার করুন। হাড়ি পরিস্কার করার একটা সহজ বুদ্ধি হল হাড়ি ভালো করে ধুয়ে ভেতরে পেপার দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা। এটা সব জীবাণু জীবন্ত পুরে মারা যায়।
    ৯/ বাচ্চার বয়স ২৫ দিন হলে তাকে নিচে একটা মাটির পাত্রে নামিয়ে দিন এবং হাড়ি সরিয়ে ফেলুন । পাত্রে কিছু কাউন দিন যাতে তারা খাবার খেতে শেখা আয়ত্ত করতে পারে ।
    ১০/বাচ্চা উড়তে শেখার সাথে সাথে খাঁচা থেকে আলাদা করে দিন । নাহলে তারা মা-বাবার আক্রোশের শিকার হতে পারে।

    0
    0
    Read More

    আপনি শখ করে বাজরীগার পাখি পালতে চান?

    Post By: administrator January 20, 2020 0 Comment


    ১। বড় আকারের  একটা খাঁচা কিনেন , তারপর ভালো একজন ব্রিডারের কাছ থেকে কিছু বাজরীগারের বাচ্চা কিনুন।
    ২। এরা কি খায়, এদের ভালো রাখার টিপস, এগুলো উপর থেকে স্টাডি করতে পারেন বা অারোও বিস্তারিত জানতে নেট থেকে বই ডাউনলোড করে স্টাডি করে নিবেন।
    ৩। আপনার আশে পাশের একজন ভালো ব্রিডারের মুরিদ হন।
    ৪। বাজরীগারের বয়স ৮ মাস হলে আলাদা কেস কিনুন , প্রতি পেয়ার এর জন্য একটা করে , তারপর ব্রিডিং মুডে আসলে হাঁড়ি দিন।
    ৫। যারা সৌখিন বাজরীগার পালক, তাদের সাথে সূ-সম্পর্ক রাখেন।
    ৬। বাজরীগার পালনকে একটা আর্ট হিসেবে নিন, বাজরীগারকে টেম করেন।
    ৭। নবীন পাখী পালকদের আপনার অভিজ্জতা, আপনার মুল্যবান টিপস দিয়ে সাহায্য করুন, আপনার নিজ থেকে কিছু ভালো জাতের পাখী স্বল্প দামে দিয়ে সাহায্য করুন।
    ৮। বাজরীগারেরা অসাধারণ পাখী, তা সবাইকে জানান, এদের ভালো বাসুন।
    ৯। মিউটেশন জেনে বাজরীগার পালুন।
    ১০। মিউটেশন জেনে ব্রিডিং করুন।

    0
    0
    Read More

    বাজরিগার এর খাবার তালিকা

    Post By: administrator January 19, 2020 0 Comment

    বাজরিগার পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় পোষা পাখি। বাজরিগার অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল অঞ্চলে বনাঞ্চলের পাখি। বর্তমানে এই পাখি পালন কারীর সংখ্যা বাংলাদেশে বেড়েই যাচ্ছে, এই পাখি খাঁচায় পালন করা যায়। অসাধারণ সুন্দর এই পাখিটি যদি সঠিক নিয়মে লালন পালন করা যায় তা আপনাকে ও আপনার পরিবারকে যেমন আনন্দ দিবে সেই সাথে ভালো পরিবেশ নিশ্চিত হলে ডিম দিয়ে বাচ্চাও উপহার দিবে। তবে এই পাখি লালন পালনের বেশ কিছু নিয়ম আছে, সাধারণ পাখিদের চেয়ে একটু ভিন্ন নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। সাধারণত খাঁচায় পালা বাজরিগার পাখি লম্বায় ৭ থেকে ৮ ইঞ্চি হয়ে থাকে। আর খাঁচায় পালন করা পাখির ওজন ৩৫ থেকে ৪০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। বাজরিগার প্রাকৃতিকভাবে সবুজ ও হলুদের সঙ্গে কালো রংয়ের এবং সাদা ও দুসর কালারের হয়ে থাকে। এছাড়াও থাকে নীল, সাদা, হলুদ রংয়ের ছোপ। তবে আমি আজকে খুব সাধারণ একটি বিষয় নিয়ে কথা বলব, তা হল প্রতিদিন বাজরিগার এর খাবার বা সিডমিক্স এ কি কি থাকতে পারে এবং কি পরিমানে থাকতে পারে আর অন্যান্য কি খাবার দেয়া যেতে পারে।

    বাজরিগার এর গৃষ্মকালীন খাদ্য তালিকায় যেসব শস্যদানা রাখা যায় তার ৫ কেজি খাবারের মিশ্রণের উপকরণ এবং পরিমাণ ।
    ৫ কেজি সিডমিক্স এ যা যা থাকতে পারে-
    ১। কাউন-৩ কেজি
    ২। চিনাঃ ০.৫ কেজি
    ৩। গুজি তিলঃ ০.২৫ কেজি
    ৪। পোলাও চালের ধানঃ ১ কেজি
    ৫। ক্যানারি সিডঃ ০.২৫ কেজি

    এগুলার বাইরে অন্যকিছু দরকার নেই , সূর্যমুখির বীজ বারজিগার কে দেয়া উচিত নয় কারণ এটা বাজরিগারের এর শরীরে ফ্যাট বাড়ায় এবং অস্বাস্থকর।

    অন্যান্য খাবারঃ
    সিদ্ধ ডিম,পালং শাক,কলমি
    শাক,বরবটি,মটরশুটি,গাজর,আপেল এগুলা কাচা
    দেয়া যায় মাঝে মাঝে ।
    মাঝে মাঝে খাটি মধু এবং ঘৃতকুমারির শাস
    পানিতে মিশিয়ে দিতে পারেন ।

    +1
    0
    Read More

    বাজরিগার পাখি পালন পদ্ধতি

    Post By: administrator January 19, 2020 0 Comment



    বাজেরিগার পাখি (Melopsittacus undulatus) সাধারন প্যারাকিট গোত্রের পাখি।এদের  Love Bird ভাবলেও এরা লাভ বার্ড নয়। এদের আকৃতি ছোট, লম্বা লেজ বিশিষ্ট, দানাদার খাদ্য গ্রহণকারী টিয়া জাতীয় পাখি। এরা মূলত অস্ট্রেলিয়ার পাখি হলেও এখন গোটা বিশ্বে খাঁচায় পালিত হচ্ছে।

    বাজরিগারের নামঃ

    টিয়া পাখির ঠোঁটের মতো এরা বিভিন্ন নামেরও হয়। যেমন; অ্যালবিনো, লুটিনো বাইল, ডিনিসপাই ও ইংলিশ বাজরিগার। অ্যালবিনো সাদা রংয়ের, লুটিনো বাইল হলুদ রংয়ের লাল চোখবিশিষ্ট। বাজরিগার পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় পোষা পাখি।

    স্ত্রী ও পুরুষ এবং ছোট বড় চেনার উপায়ঃ

    ৪ মাস বয়স হলেই নাকের উপরের রং দেখেই সনাক্ত করা হয়। যেমন- পুরুষ পাখির প্রথমে নাকের বর্ণ থাকবে গোলাপি রংয়ের। বয়স বাড়ার সঙ্গে রং হবে নীল। আর স্ত্রী পাখির নাকের বর্ণ হবে সাদা। বয়স বাড়ার সঙ্গে হবে খয়েরি বা চকলেট। স্ত্রী পুরুষ ভেদে ডাকের পার্থক্য দেখেও নির্ণয় করা সম্ভব।

    ছোট বড় চেনার উপায় হচ্ছে প্রধানত চোখ দেখে। ছোট পাখির চোখের আকার হবে বড়। বড় হওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চোখের আকার হবে ছোট। কারণ বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত চোখের বৃত্ত তৈরি হয় না। সেই সঙ্গে নাকের বর্ণ হবে গাঢ়।

    প্রজনন বয়স, ডিম ও বাচ্চাঃ

    বনে জঙ্গলে এরা ৪ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। খাঁচাতে প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর। প্রজনন উপযোগী হতে সময় লাগে চার মাস। তবে চার থেকে আট মাস বয়সে প্রজনন ক্ষমতা অনেক বেশি। পাখি পালনে যারা বেশি অভিজ্ঞ তাদের মতে আট মাস বয়সের আগে জোড়া তৈরি করা ঠিক না। কম বয়স হলে ডিম-বাচ্চা পূর্ণাঙ্গ রূপ নেয় না। প্রাথমিক অবস্থায় এরা ৪-৫টি ডিম দেয়। পরে সংখ্যা বেড়ে আট বা তারও বেশি হতে পারে। তবে ১২টি পর্যন্ত ডিম দেওয়ার তথ্য আছে। ডিম থেকে বাচ্চা হতে ১৭-১৮ দিন সময় লাগে। বাচ্চাগুলো উড়তে সক্ষম হয় ৩০ থেকে ৩৫ দিন বয়সে।

    লালন পালন

    ব্রিডিং উপযোগী খাঁচার দাম সর্বোচ্চ ৩শ’ টাকা। একজোড়া পাখি দিয়ে সফলতা আসার সম্ভাবনা কম। তাই প্রথমে কমপক্ষে দুইজোড়া পাখি দিয়ে শুরু করলে ভালো। দুটি পুরুষ ও দুটি স্ত্রী পাখি নিয়ে দুই জোড়া পাখির বয়স তিন থেকে চারমাসের মধ্যে হলে ভালো। তিন বা চার মাস বয়সের দুইজোড়া পাখির দাম ১ হাজর থেকে ১ হাজার ২শ’ টাকার মধ্যে।

    প্রথমে একটি খাঁচার মধ্যে শুধু পুরুষ পাখি কমপক্ষে ছয় থেকে সাত মাস বয়স পর্যন্ত রাখুন। অপর আরেকটি খাঁচায় শুধু স্ত্রী পাখিও সেভাবেই রাখুন। এবার জোড়া মিলিয়ে দুই খাঁচায় দিন।খাঁচায় দেওয়ার এক থেকে দুই মাসের মধ্যে হাঁড়ি ঝুলাবেন খাঁচার এক কোণে। বসার লাঠির একপ্রান্ত হাঁড়ির মুখের কাছাকাছি হতে হবে। যাতে সহজেই লাঠি থেকে হাঁড়িতে ঢুকতে পারে। ছোট লাঠি দেওয়া যাবে না। বসার লাঠি হতে হবে কাঠের বা বাঁশের চটা। লোহা, লোহার পাইপ বা পস্নাস্টিকের পাইপ এ রকম কোনো লাঠি দেওয়া ঠিক নয়। মিনারেল ব্লক, সমুদ্রের ফেনা ও গ্রিড খাঁচাতে দিয়ে রাখবেন। পানির পাত্র থাকবে পাখি বসার থেকে দূরে। আর খাবারের পাত্র হাঁড়ির নিচে থাকলে ভালো। কারণ পাত্রগুলো যেন পাখির মল থেকে নিরাপদ থাকে।
    বাসা পাল্টালে বা পাখির স্থান পরিবর্তন করলে পাখি প্রজননে বাঁধা আসবে। তাই ধৈর্য ধরতে হবে।

    খাবার বিষয়ে কর্তব্যঃ

    প্রতিদিন খাবারের তালিকায় থাকবে চিনা-কাউন সমপরিমাণ। অল্প পরিমাণ সূর্যমুখীর বীজ, তিসি, গুজিতিল, কুসুম ফুলের বীজ ও পোলাওয়ের চালের ধান। অথবা পাখির খাবারের দোকানে সিড মিক্স পাওয়া যায়।

    সপ্তাহে তিনদিন কলমি শাক বা পালন শাক দিন। ধান ও কলমি শাক চর্বি কাটাতে ও প্রজননে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে পানি বদলান ভালো। খাবারের অপচয় কমাতে প্রতিদিন না হলেও একদিন পর পর সকাল বেলায় খাবারের তুষ ফেলে দিয়ে নতুন খাবার মিশিয়ে দিতে হবে।

    পাখি রেখে বেড়াতে যাবেন কোন সমস্যা নাই। এক্ষেত্রে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। পানি নষ্ট হবে না এরকম ফিল্টার পদ্ধতি পাবেন পাখি কেনা-বেঁচার দোকানে। ফুটন্ত পানি ১০ দিনের বেশি পর্যন্ত চলবে। দাম খুব বেশি নয় প্রতিটি ২০ টাকা।

    যারা বাণিজ্যিকভাবে পালন করেন বা করবেন তাদের ক্ষেত্রে আলাদাভাবে যত্ন নিতে হবে। কারণ এতে খরচ কম হবে। যদি পাখির ওজন বেড়ে যায় তবে পোলাওয়ের ধান খাওয়ালে খরচ বেশি হবে। যত্নে থাকলে এই পাখির অসুখ হয় না বললেই চলে। তাছাড়াও আজকাল ফেইসবুকে সমস্ত বিষয়ে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাবেন।

    বিক্রি করার উপযোগী পাখিঃ

    ৩৫ থেকে ৪০ দিন বয়সি পাখি বিক্রি করা যায়। হাট, দোকান বা ফেইসবুকের মাধ্যমে বিক্রি করা যায়। পাখির খামার, বাসায় পোষেণ, হাট এমন কোনো জায়গা পরিদর্শন করতে পারেন। এতে আপনার আগ্রহ বাড়বে এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।

    +1
    0
    Read More

    কবুতর পালনের বিভিন্ন সুবিধা সমুহঃ

    Post By: administrator November 26, 2019 0 Comment

    কবুতর পালন করলে অসুবিধার চেয়ে সুবিধার পরিমাণ বেশি।কবুতর পালনের বিভিন্ন সুবিধাসমূহ উল্লেখ করা হলো।

    (১) সাধারনত একটি ভাল জতের কবুতর বছরে ১২ জোড়া ডিম প্রদানে সক্ষম হয়ে থাকে। এই ডিম গুলোর প্রায় প্রতিটি থেকেই বাচ্চা পাওয়া যায়। এই বাচ্চা পরবর্তী ৪ সপ্তাহের মধ্যেই খাওয়া বা বিক্রির উপযোগী হয়।

    (২) গৃহপালিত অন্যান্য পাখির মধ্যে কবুতরকে পোষ মানানো বা লালন করা যায়।

    (৩) খুবই অল্প জায়গায় কবুতর লালন পালন করা যায়। এমনকি ঝোলানো ঝুড়িতেও কবুতর পালন করা সম্ভব। লালন পালনে কম জায়গা লাগে বলে কবুতর পোষায় খরচের পরিমাণ একেবারেই কম।

    (৪) বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কবুতর নিজের খাবার নিজেই খুঁজে নিয়ে থাকে। এই কারণে কবুতরের খাবারের জন্য বাড়তি যত্ন বা খরচ খুব একটা হয় না বললেই চলে।

    (৫) কবুতরের থাকার জায়গার জন্য বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয় না। বাড়ির আঙিনা, বা ছাদের ওপর কাঠের ঘর তৈরি করে অনায়াসেই কবুতর পালন করা যায়। প্রমাণ সাইজের ঝুড়িতে করে ও কবুতর পালন করা যায়।

    (৬) একটি পূণাঙ্গ বয়সের কবুতর ডিম দেবার উপযোগী হতে ৫ থেকে ৬ মাস মসয় লাগে। এই অল্প সময় অতিক্রান্ত হবার পর থেকেই কবুতর বছরে প্রায় ১২ জোড়া ডিম প্রদানে সক্ষম। ২৬ থেকে ২৮ দিন বয়সেই কবুতরের বাচ্চা খাবার উপযোগী হয়ে থাকে বা এই বাচ্চাকে বাজারজাত করা যায়। সাধারণত কবুতরের বাচ্চা রুগীর পথ্য হিসেবেও অনেকে বেছে নেন।

    (৭) কবুতরের ডিম থেকে মাত্র ১৮ দিনেই বাচ্চা সাধারণ নিয়মে ফুটে থাকে। এই বাচ্চা আবার পরবর্তী ৫ থেকে ৬ মাস পরে নিজেরাই ডিম প্রদান শুরু করে।ফলে কবুতর বংশ পরম্পরায় প্রাকৃতিক নিয়মে নিজেরাই বাড়াতে থাকে নিজেদের সংখ্যা।

    (৮) কবুতরের মাংস প্রচুর চাহিদা রয়েছে।কারণ, কবুতরের মাংস খুবই সুস্বাদু ও বলকারক। তাছাড়া, বাজারের অন্যান্য মাংসের যোগান থেকে কবুতর কিছুটা সস্তাতে ও পাওয়া যায়।

    একটি খুব ভালো প্রজাতির কবুতর লালন করলে পরবর্তী ১ বছরের মধ্যে সেই জোড়া থেকে কয়েক জোড়া কবুতর পাওয়া খুব বেশি আর্শ্চযজনক বিষয় নয়। এই কবুতরকে একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে ধরা যেতে পারে। কারণ, কবুতর লালন-পালনের খরচ খুব একটা নেই। এমনকি কবুতরের রোগ ব্যাধি কম হয়। কবুতরের থাকার জায়গা নির্বাচনে ও অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয় না। এই কারণে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে কবুতর পালন অবশ্যই লাভজনক।

     

    অনলাইনে পাখি কোথায় পাওয়া যায়ঃ

    দোকানের পাশাপাশি পাখি এখন অনলাইনে অর্ডার করে কিনতে পারবেন। অর্ডার করতে নিচে দেয়া পাখি লেখার উপর ক্লিক করুনঃ

     

     

    পাখি

    0
    0

    Read More

    কবুতরের জাত

    Post By: administrator November 26, 2019 0 Comment

    বহুবিচিত্র ধরনের নানা জাতের কবুতর রয়েছে। আমাদের দেশে ২০ টিও অধিক জাতের কবুতর আছে বলে জানা যায়। নিম্নে প্রধান কয়েকটি জাত সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

    ১। গোলা

    এই জাতের কবুতরের উৎপত্তিস্থল পাক-ভারত উপমহাদেশ। আমাদের দেশে এ জাতের কবুতর প্রচুর দেখা যায় এবং মাংসের জন্য এটার যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। ঘরের আশেপাশে খোপ নির্মাণ করলে এরা আপনাআপনি এখানে এসে বসবাস করে। এদের বর্ণ বিভিন্ন সেডযুক্ত ধূসর এবং বারড-ব্লু রংয়ের। এদের চোখের আইরিস গাঢ় লাল বর্ণের এবং পায়ের রং লাল বর্ণের হয়।

    ২। গোলী

    গোলা জাতের কবুতর থেকে গোলী জাতের কবুতর ভিন্ন প্রকৃতির। এ জাতের কবুতর পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের কলকাতায় বেশ জনপ্রিয় ছিল। এদের লেজের নীচে পাখার পালক থাকে। ঠোঁট ছোট হয় এবং পায়ে লোম থাকে না। এদের বর্ণ সাদার মধ্যে বিভিন্ন ছোপযুক্ত।

    ৩। টাম্বলার

    এসব জাতের কবুতর আকাশে ডিগবাজী খায় বলে এদের টাম্বলার বলে। আমাদের দশে এই জাতটি গিরিবাজ নামে পরিচিত। এদের উৎপত্তিস্থল পাক-ভারত উপমহাদেশ। মনোরঞ্জনের জন্য আমাদের দেশে এদের যথেষ্ট কদর রয়েছে।

    ৪। লোটান

    লোটন কবুতরকে রোলিং (rolling) কবুতরও বলা হয়। গিরিবাজ কবুতর যেমন শূন্যের উপর ডিগবাজী খায়, তেমন লোটন কবুতর মাটির উপর ডিগবাজী খায়। সাদা বর্ণের এই কবুতরের ঘুরানো ঝুঁটি রয়েছে। এদের চোখ গাঢ় পিঙ্গল বর্ণের এবং পা লোমযুক্ত।
    ৫। লাহোরী
    আমাদের দেশে এই কবুতরটি শিরাজী কবুতর হিসেবে পরিচিত। এদের উৎপত্তিস্থল লাহোর। এদের চোখের চারদিক থেকে শুরু করে গলার সম্মুখভাগ, বুক, পেট, নিতম্ব, পা ও লেজের পালক সম্পূর্ণ সাদা হয় এবং মাথা থেকে শুরু করে গলার পিছন দিক এবং পাখা রঙ্গীন হয়। সাধারণত কালো, লাল, হলুদ, নীল ও রূপালী ইত্যাদি বর্ণের কবুতর দেখা যায়।

     

     

    অনলাইনে পাখি কোথায় পাওয়া যায়ঃ

    দোকানের পাশাপাশি পাখি এখন অনলাইনে অর্ডার করে কিনতে পারবেন। অর্ডার করতে নিচে দেয়া পাখি লেখার উপর ক্লিক করুনঃ

     

     

    পাখি

    0
    0

    Read More

    কবুতর প্রতিপালনের প্রয়োজনীয়তা

    Post By: administrator November 26, 2019 0 Comment

    কবুতর প্রতিপালন এখন শুধু শখ ও বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বরং তা এখন একটি লাভজনক ব্যবসা হিসাবে পরিগণিত হয়েছে। কবুতর বাড়ি ও পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা ছাড়াও অল্প খরচে এবং অল্প ঝামেলায় প্রতিপালন করা যায়। কবুতরের মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু এবং বলকারক হিসেবে সদ্যরোগমুক্ত ব্যক্তির জন্য অত্যন্ত উপযোগী। রোগীর পথ্য হিসেবে কবুতরের মাংস ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। আমাদের দেশে বর্তমানে অনেকে বাণিজ্যিকভিত্তিতে কবুতর পালন করছেন।

    কবুতরের ঘর

    স্থান নির্বাচনঃ কবুতরের খামারের জন্য উঁচু ও শুষ্ক সমতল ভূমি থাকা প্রয়োজন।
    ঘরের উচ্চতাঃ কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর, বেজী ইত্যাদি যেন কবুতরের ঘর নাগালে না পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে ঘর উঁচু করতে হয়। এ উদ্দেশ্যে কাঠ বা বাঁশের খুঁটি পুঁতে তার উপর ঘর নির্মাণ করা যেতে পারে।

    ঘরের পরিসরঃ প্রতি এক জোড়া কবুতরের জন্য একটি ঘর থাকা প্রয়োজন। এক জোড়া কবুতর যাতে ঘরের ভিতর স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরতে ফিরতে পারে তা লক্ষ্য রেখে ঘর নির্মাণ করতে হবে।

    স্বাস্থ্য সম্মত ব্যবস্থাঃ কবুতরের ঘর বা খোপ এমনভাবে নির্মাণ করতে হবে যেন সেখানে পোকা-মাকড়, কৃমি, জীবাণু ইত্যাদির উপদ্রব কম থাকে এবং ঘর সহজেই পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা যায়।

    সূর্যালোকঃ ঘরে যাতে সূর্যের পর্যাপ্ত আলো প্রবেশ করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ সূর্যের আলো যেমন পাখির দেহে ভিটামিন-ডি সৃষ্টিতে সাহায্যে করে তেমনি পরিবেশও জীবাণুমুক্ত রাখে।

    বায়ু চলাচলঃ কবুতরের ঘরে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। কারণ দূষিত বাতাস বা পর্যাপ্ত আলো বাতাসের অভাবে পাখির স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে।

    কবুতরের খাদ্য

    হাঁস-মুরগির ন্যায় কবুতরের খাদ্যে শ্বেতসার, চর্বি, আমিষ, খনিজ ও ভিটামিন প্রভৃতি থাকা প্রয়োজন। কবুতর তার দেহের প্রয়োজন এবং আকার অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। প্রতিটি কবুতর দৈনিক প্রায় ৩০-৫০ গ্রাম পর্যন্ত খাবার গ্রহণ করে থাকে। কবুতর প্রধানত গম, মটর, খেশারী, ভুট্টা, সরিষা, যব, চাল, ধান, কলাই ইত্যাদি শস্যদানা খেয়ে থাকে। মুক্ত অবস্থায় পালিত কবুতরের জন্য সকাল-বিকাল মাথা পিছু আধ মুঠ শস্যদানা নির্দিষ্ট পাত্রে খাদ্য উপাদান

    পরিমাণ (%)
    ভুট্টা ৩৫
    মটর ২০
    গম ৩০
    ঝিনুকের গুঁড়া/চুনাপাথর চূর্ণ/অস্থিচূর্ণ ০৭
    ভিটামিন/এমাইনো এসিড প্রিমিক্স ০৭
    লবণ ০১
    মোট = ১০০

    আয় ও লাভ
    এক জোড়া কবুতর থেকে বছরে প্রায় ১২ জোড়া বাচ্চা বাজারে চড়া দামে বিক্রি হয়। এছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির সৌখিন কবুতর উৎপাদন করতে পারলে তা থেকে যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করা যায়। কবুতর সাধারণত ৪ সপ্তাহ বয়সে বিক্রির উপযুক্ত হয়। এদের পালক ও বিষ্ঠা বিক্রি করেও অর্থ রোজগার করা যায়।

     

     

    অনলাইনে পাখি কোথায় পাওয়া যায়ঃ

    দোকানের পাশাপাশি পাখি এখন অনলাইনে অর্ডার করে কিনতে পারবেন। অর্ডার করতে নিচে দেয়া পাখি লেখার উপর ক্লিক করুনঃ

     

     

    পাখি

    0
    0

    Read More

    কোয়েল পালন

    Post By: administrator November 2, 2019 0 Comment

    বিভিন্ন গৃহপালিত পাখির মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র প্রজাতি। কোয়েল পালনে কবুতরের মতো নির্দিষ্ট ঘর যেমন প্রয়োজন হয় না আবার মুরগির মতো ব্যাপক আকারের খামারেরও প্রয়োজন নেই। তাই কোয়েল পালন আজকাল অনেক ব্যাপক হয়ে উঠেছে। কোয়েলের জাত হিসেবে প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় জাপানি কোয়েলকে। কারণ, জাপানেই কোয়েলক সর্বপ্রথম গৃহপালিত করা হয়েচে। জাপানের হিসেবে অনুযায়ী কোয়েলের কয়েকটি জাত এবং উপাজত রয়েছে, সেগুলো নিম্নরূপ-

    লেয়ার কোয়েলঃ 

    মুরগির মতো কোয়েলের মধ্যেও লেয়ার জাত বিদ্যমান। এই জাতের উল্লেখযোগ্য গোষ্টি হলো-ফারাও, ইংলিশ হোয়াই, ম্যানচিরিয়াল গোল্ডেন, ব্রিটিশ রেঞ্জ ইত্যাদি। এই জাতের কোয়েলকে শুধু ডিম প্রদানের জন্য পালন করা হয়ে থাকে।

    ব্রয়লার কোয়েলঃ 

    মুরগির মতো কোয়েলের মধ্যে ব্রয়লার জাত বিদ্যমান এই জাতের উল্লেখযোগ্য গোষ্টি হলো আমেরিকান বব হোয়াইট কোয়েলে ইন্ডিয়ান হোয়াইট ব্রেস্টেড কোয়েল ইদ্যাদি। এই জাতের কায়েলকে শুধু মাংসের জন্য পালন করা হয়ে থাকে।

    কোয়েলের খাদ্য বা খাবার ব্যবস্থাঃ

    কোয়েল পালনে তেমন খরচ নেই এই কারণেই বলা হয়ে থাকে যে, কোয়েলের জন্য আলাদা তেমন কোন সুষম খাদ্যের প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হবার পর কিছুটা বিশেষ যত্ন প্রয়োজন হয়। এইসময় কোয়েলের বাচ্চাকে সুষম খাদ্য প্রদান করতে হয়।

    সাধারণভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ বয়সের কোয়েল দিনে ২০ থেকে ২৫ গ্রাম পর্যন্ত খাবার গ্রহণ করতে পারে। এদের খাদ্যে আমিষ ও ক্যালোরির পরিমাণ নিম্নোক্ত হওয়া উচিত। সাধারণভাবে প্রতি কেজি খাদ্য অনুপাতে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ আমিষ এবং ২৫০০ থেকে ৩০০০ কিলোক্যালোরি বিপাকীয় শক্তি বিদ্যমান থাকা প্রয়োজন। সাধারণভাবে হাস মুরগির যে খাবার সরবরাহ করা হয়ে থাকে তার মধ্যেই এই ধরনের আমিষ এবং ক্যালোরি বিদ্যমান। সুতরাং হাস মুরগির জন্য যে খাবার আনা হয় তার থেকেও খাবার প্রদান করে কোয়েল পালন করা যায়।

    মুরগির খামারে ব্যবহৃত আকারে একটু ছোট হলে ভাল হয়। তবে কোয়েল খুব ঘন ঘন পানি পান করে। তাই কোয়েলের খাচায় কয়েকটি স্থানে পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে পানির পাত্রগুলো যেন খাঁচার সাথে শক্ত করে আটকানো থাকে। যাতে পানির পাত্র উপচে বা উল্টে পড়ে কোয়েলের গা ভিজে না যায়।

    কোয়েলের স্বাস্থ্য রক্ষাঃ 

    কবুতরের মতো কোয়েলেরও তেমন কোন রোগ ব্যাধি নেই বললেই চলে। তবে মাঝে মাঝে কোয়েলকে রোগক্রান্ত হতে ধেখা যায়। কোয়েল রোগাক্রান্ত হলে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

    কোন কোয়েল অসুস্থ হলে সাথে সাথে তাকে সুস্থ কোয়েলের খাঁচা থেকে সরিয়ে নিতে হবে। অসুস্থ্য কোয়েলের সংস্পর্শে থাকলে বাকি সুস্থ কোয়েলও আক্রান্ত হতে পারে।

    খাঁচায় কোন কোয়েল মারা গেলে সাথে সাথে তার কারণ অসুসন্ধান করতে হবে। মরা কোয়েল পুড়িয়ে বা পুতে পেলতে হবে।

    কোয়েলের বিভিন্ন রোগ ব্যাধির মধ্যে আমাশয় উল্লেখ্যযোগ্য। এই রোগ হলে কোয়েলের ঘন ঘন পায়খানা হয়, খাবার গ্রহনে অনীহা দেখা দেয় পাশাপাশি কোয়েলের স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে। এই অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এম্বাজিন জাতীয় ঔষধ খাওয়ানো যেতে পারে।

    খাবার পাত্র:

      বাচ্চা অবস্থায় ফ্লাট ট্রে বা ছোট খাবার পাত্র দিতে হবে যেন খাবার খেতে কোনো রকম অসুবিধা না হয়। স্বাভাবিকভাবে প্রতি ২৮টি বাচ্চার জন্য একটি খাবার পাত্র (যার দৈর্ঘ্য ৫০৩ সেমি, প্রস্থ ৮ সেমি এবং উচ্চতা ৩ সেমি) এবং প্রতি ৩৪ টি বয়স্ক কোয়েলের জন্য একটি খাবার পাত্র (যার দৈর্ঘ্য ৫৭ সেমি প্রস্থ ১০ সেমি এবং উচ্চতা ৪ সেমি) ব্যবহার করা যেতে পারে। দিনে দুইবার বিশেষ করে সকালে এবং বিকালে খাবার পাত্র ভাল করে পরিষ্কার করে মাথা পিছু দৈনিক ২০-২৫ গ্রাম খাবার দিতে হবে। উল্লেখ্য প্রথম সপ্তাহ থেকে ৫ গ্রাম দিয়ে শুরু করে প্রতি সপ্তাহে ৫ গ্রাম করে বাড়িয়ে ২০-২৫ গ্রাম পর্যন্ত উঠিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। প্রতিটি বয়স্ক কোয়েলের জন্য ১.২৫ থেকে ২.৫ সেমি (১/২ থেকে ১ ইঞ্চি) খাবার পাত্রের জায়গা দিতে হবে।

    পানির পাত্র:

     সর্বদাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পানি সরবরাহ করতে হবে। প্রতিটি বয়স্ক কোয়েলের জন্য ০.৬ সেমি (১/৪ ইঞ্চি) পানির পাত্রের জায়গা দিতে হবে। অটোমেটিক বা স্বাভাবিক যে কোনো রকম পানির পাত্র ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতি ৫০টি কোয়েলের জন্য একটি পানির পাত্র দেয়া উচিত। নিপল ড্রিংকার বা কাপ ড্রিংকারও ব্যবহার করা যায়। এ ক্ষেত্রে প্রতি ৫টি বয়স্ক কোয়েলের জন্য ১টি নিপল বা কাপ ড্রিংকার ব্যবহার করা যেতে পারে।

     

     

     

    অনলাইনে পাখি কোথায় পাওয়া যায়ঃ

    দোকানের পাশাপাশি পাখি এখন অনলাইনে অর্ডার করে কিনতে পারবেন। অর্ডার করতে নিচে দেয়া পাখি লেখার উপর ক্লিক করুনঃ

     

    পাখি

     

    0
    0

    Read More

    কোয়েল পালনের বিভিন্ন সুবিধা সমূহ

    Post By: administrator November 2, 2019 0 Comment

    কোয়েলের আদি জন্মস্থান জাপানে। সর্বপ্রথম জাপানী বিজ্ঞানীরা কোয়েলকে গৃহপালিত পাখি হিসেবে পোষ মানানোর উপায় উদ্ভাবন করেছেন। পরবর্তীতে জাপান সহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কোয়েলকে একটি লাভজনক পোলট্টি উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কোয়েল পালন করার জন্য অতিরিক্ত বা বাহুল্য কোন খরচ হয় না। বাড়ির যেকোন কোণ বা আঙিনা অথবা বাড়ির ছাদ ইত্যাদি জায়গাতেও কোয়েল পালন করা যায়। এই কারণে, শহরে কী গ্রামে অনেক সব স্থানেই কোয়েল পালন সহজতর।

    গৃহপালিত পাখির মধ্যে অতি ক্ষুদ্র এই পাখির আয়তন খুব বেশি নয়। একটি মুরগি পালনের স্থানে মোটামুটিভাবে ১০টি কোয়েল পালন করা যায়।বিষেজ্ঞদের দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া কোয়েল পালনের জন্য সর্বাধিক উপযোগি। এই কারণে, বিভিন্ন হাস মুরগির খামারেও ইদানিং কোয়েল পালন ব্যাপকভাবে সাড়া জাগিয়েছে। দেশের পুষ্টি মিটিয়ে ইদানিং কোয়েলের মাংস বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে।

    আজকের লেখায় আমরা জানবো কোয়েল পালনের বিভিন্ন সুবিধা সমূহঃ

    (১) সাধারণত একটি ভাল জাতের কোয়েল বছরে ২৫০ থেকে ৩০০টি ডিম প্রদানে সক্ষম হয়ে থাকে। এই ডিমগুলোর প্রায় প্রতিটি থেকেই বাচ্চা পাওয়া যায়। এই বাচ্চা পরবর্তীর ৬ থেকে ৭ সপ্তাহের মধ্যেই খাওয়া বা বিক্রির উপযোগী হয়। পাশাপাশি এই বয়সে তারা ডিম দেয়া শুরু করতে পারে।

    (২) অত্যন্ত কম পুজি নিয়ে কোয়েলের খামার তৈরি করা যায়। কোয়েল পালন করতে বিশেষ কোন জায়গা বা বিশেষ কোন থাকার স্থান নির্বাচন করতে হয় না।

    (৩) কোয়েলের আকার ক্ষুদ্র বলে এদের লালন পালনের জন্য বিস্তৃত জায়গা প্রয়োজন হয় না। ছোট আকারের একটি খাচাতেই কোয়েল পালন করা যায়। একটি প্রমাণ সাইজের মুরগির জন্য যে পরিমাণ জায়গা প্রয়োজন হয়। সেই একই জায়গা কমপক্ষে ১২টি কোয়েল পালন করা যায়।

    (৪) রোগ ব্যাধির দিকে থেকে কোয়েল খুবই লাভজনক বিনিয়োগ। কারণ, কোয়েলের রোগ ব্যাধি প্রায় হয় না বললেই চলে। যেহেতু কোয়েলের রোগ ব্যাধি কম হয় সুতরাং এদের জন্য বাড়তি চিকিৎসা ব্যবস্থার তেমন প্রয়োজন হয় না।

    (৫) খুবই অল্প সময়ের মধ্যে একটি বাচ্চা কোয়েল ডিম দিয়ে থাকে। সাধারণত ৬ থেকে ৭ সপ্তাহ বয়সেই একটি কোয়েল ডিম প্রদান করে থাকে। এদের ডিম খুব সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। পুষ্টিমানের দিক থেকে মুরগির ডিমের সাথে তা তুলনীয়।

     

     

    অনলাইনে পাখি কোথায় পাওয়া যায়ঃ

    দোকানের পাশাপাশি পাখি এখন অনলাইনে অর্ডার করে কিনতে পারবেন। অর্ডার করতে নিচে দেয়া পাখি লেখার উপর ক্লিক করুনঃ

     

    পাখি

    0
    0

    Read More

    হামিং বার্ড

    Post By: administrator October 30, 2019 0 Comment

    ছোট্ট চড়ুই পাখি সারা দিন ফুড়ুত ফুড়ুত করে গাছের এ-ডাল থেকে ও-ডালে উড়ে বেড়ায়। কিন্তু দক্ষিণ ও উত্তর আমেরিকার উষ্ণ অঞ্চলে চড়ুই পাখির চেয়েও ছোট্ট এক পাখি দেখা যায়। চড়ুইয়ের মতোই সারা দিন ডানা ঝাঁপটিয়ে ওড়াউড়িতে তাদের ক্লান্তি নেই মোটেই। মজার ব্যাপার হলো,এই পাখি যখন ওড়ে তখন তার ডানার দ্রুত সঞ্চালনের ফলে বাতাসে গুনগুন শব্দ হয়। গুনগুন করাকে ইংরেজিতে হামিং (Humming) বলে। এ জন্যই এই পাখির নাম হামিং বার্ড। পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট পাখি হলো এই হামিং বার্ড।

     

    ১. হামিং বার্ড হাঁটতে পারে না। তবে এরাই একমাত্র পাখি যারা সামনে, পেছনে, ওপরে ও নিচে সবদিকেই পূর্ণগতিতে চলাচল করতে পারে।

    ২. হামিংবার্ডের বাসা একটি আখরোটের সমান।

    ৩. এদের কেবল আমেরিকার ট্রপিক্যাল অঞ্চলে পাওয়া যায়। আকৃতিতে ছোট হলেও পৃথিবীতে প্রায় ৪০০ প্রজাতির হামিংবার্ড রয়েছে।

    ৪. এদের মধ্যে ‘কিউবান বি’ প্রজাতির হামিংবার্ড সবচেয়ে ছোট। এদের দৈর্ঘ্য মাত্র ২ ইঞ্চি অর্থাত্‍ একটা মৌমাছির সমান।

    ৫. ‘কিউবান বি’ প্রজাতির হামিংবার্ড আকৃতিতে খুবই ছোট হলেও শরত্‍ এবং বসন্তকালীন পরিযাত্রার সময় এরা মেক্সিকো উপসাগর পাড়ি দেয়।

    ৬. একটি হামিংবার্ডের দেহে প্রায় ৯০০টি পালক থাকে।

    ৭. ওড়ার সময় এই খুদে পাখিরা ঘন ঘন ডানা ঝাঁপটায়। অনেকগুলো পাখি একসঙ্গে ডানা ঝাঁপটালেএকধরনের তীব্র গুঞ্জন সৃষ্টি হয়। এজন্যই এদেরকে ‘হামিংবার্ড’ বলা হয়।

    ৮. এরা মিনিটে ২৫০ বার শ্বাস নেয় এবং ওড়ার সময় তা আরও বেড়ে যায়। আর এদেরহৃদস্পন্দনের হার মিনিটে ১২০০ বিট।

    ৯. ৩০ কিলোমিটার ক্ষেত্রবিশেষে আরও বেশি গতিতে এরা উড়তে পারে। এরা সেকেন্ডে ৭০ বারের মতো ডানা ঝাপটাতে সক্ষম।

    ১০. এদের কে মধুপায়ী মনে করা হলেও ৮৫ শতাংশ হামিংবার্ডই ফুলের মধ্যে বাস করা ছোট ছোট পোকা খায়।

     

     

     

    অনলাইনে পাখি কোথায় পাওয়া যায়ঃ

    দোকানের পাশাপাশি পাখি এখন অনলাইনে অর্ডার করে কিনতে পারবেন। অর্ডার করতে নিচে দেয়া পাখি লেখার উপর ক্লিক করুনঃ

    পাখি

    0
    0

    Read More
    • 1
    • 2
    • 3
    • Next

    LET’S KEEP IN TOUCH!

    Sign up for exclusive deals and promos

    Need to chat?

    • 01908597470 / 01908597471
    • info@krishibazar.com.bd

    © 2020, Krishi Bazar. All Rights Reserved..

    Login

    Forgot Password?

    Close
    Sign in Or Register
    Forgot your password?

    NEW HERE?

    Registration is free and easy!

    • Faster checkout
    • Save multiple shipping addresses
    • View and track orders and more
    Create an account
    x
    X
    • Menu
    • কেনাকাটা
      • বায়োফ্লক
        • মিটার
        • অন্যান্য সরঞ্জামসমূহ
      • অন্যান্য মেশিনারিজ
      • ছাদ কৃষি
      • জৈব সার
      • হাইড্রপনিক ট্রে
      • সিডলিং ট্রে
      • নার্সারী
        • ইনডোর প্লান্ট
        • ফলজ বৃক্ষ
        • ফুল গাছ
        • শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষ
      • বীজ
        • বীজ প্যাকেজ
      • বীষমুক্ত খাবার
        • গুড়
        • ফল
      • মাছের পোনা
        • ক্যাট ফিস
        • বাংলা মাছ
      • মাশরুম
      • ডেইরী খামার
      • অন্যান্য কৃষি পন্য
        • হাঁসের বাচ্চা
        • মুরগির বাচ্চা
    • কৃষি মেশিনারিজ
      • কৃষি যন্ত্রপাতি
        • খুচরা যন্ত্রপাতি
    • ভিডিও গ্যালারী
    • ট্রেনিং
      • বায়োফ্লোক অনলাইন কোর্স
      • বায়োফ্লোক PDF বই
      • বায়োফ্লক অফলাইন কোর্স
      • Dashboard
    • ব্লগ