Store Location
  • 01908597470 / 01908597471
  • Offers
  • Help
  • BDT
    • BDT
    • USD
    • EUR
  • Sign in
  • কেনাকাটা
    • বায়োফ্লক
      • মিটার
      • অন্যান্য সরঞ্জামসমূহ
    • অন্যান্য মেশিনারিজ
    • ছাদ কৃষি
    • জৈব সার
    • হাইড্রপনিক ট্রে
    • সিডলিং ট্রে
    • নার্সারী
      • ইনডোর প্লান্ট
      • ফলজ বৃক্ষ
      • ফুল গাছ
      • শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষ
    • বীজ
      • বীজ প্যাকেজ
    • বীষমুক্ত খাবার
      • গুড়
      • ফল
    • মাছের পোনা
      • ক্যাট ফিস
      • বাংলা মাছ
    • মাশরুম
    • ডেইরী খামার
    • অন্যান্য কৃষি পন্য
      • হাঁসের বাচ্চা
      • মুরগির বাচ্চা
  • কৃষি মেশিনারিজ
    • কৃষি যন্ত্রপাতি
      • খুচরা যন্ত্রপাতি
  • ভিডিও গ্যালারী
  • ট্রেনিং
    • বায়োফ্লোক অনলাইন কোর্স
    • বায়োফ্লোক PDF বই
    • বায়োফ্লক অফলাইন কোর্স
    • Dashboard
  • ব্লগ

My Cart0

৳ 0
There are 0 item(s) in your cart
    Subtotal: ৳ 0
    View Cart
    Check Out
    • Home
    • গরু পালন

    Categories

    • অন্যান্য (1)
    • উদ্ভিদ (2)
    • কৃষি খবর (1)
    • গরু পালন (10)
    • গাছপালা (43)
    • চাষাবাদ (43)
    • ছাগল পালন (4)
    • ছাদ বাগান (6)
    • জৈব সার (15)
    • পাখি পালন (26)
    • পুষ্টিগুন (9)
    • প্রশ্নোত্তর (29)
    • ফল (46)
    • ফসল (2)
    • ফসলের রোগ বালাই (3)
    • ফুল (30)
    • বায়োফ্লক প্রযুক্তি (5)
    • বীজ (42)
    • বীজ|শাঁক (1)
    • ভেষজ বা ঔষধি (70)
    • মসলা (6)
    • মাছ চাষ (32)
    • মাশরুম চাষ (7)
    • মাশরুম চাষ|মাশরুমের রান্নাবান্না (2)
    • মাশরুমের রান্নাবান্না (23)
    • মুরগি পালন (5)
    • রান্নাবান্না (72)
    • শাঁক (9)

    BEST SELLERS

    ভার্মি কম্পোষ্ট কেঁচো সার

    ভার্মি কম্পোষ্ট কেঁচো সার

    ৳ 25 ৳ 20
    হাড়ের গুড়া

    হাড়ের গুড়া

    ৳ 65 ৳ 60
    শুকনো গোবর

    শুকনো গোবর

    ৳ 20 ৳ 15
    সরিষার খৈল

    সরিষার খৈল

    ৳ 70 ৳ 60

    গরু পালন

    গরুর জাত ও বিভিন্ন জাতের পরিচিতি

    Post By: administrator February 17, 2020 0 Comment

    গরু গৃহপালিত “রোমন্থক” প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত প্রাণী      এরা বোভিডি পরিবারের বোভিনি উপপরিবারের অন্তর্গত প্রাণী, যারা বস গণের বহুবিস্তৃত প্রজাতি। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, মাংস (গোমাংস এবং বাছুরের মাংস) ও চামড়ার জন্য, এবং কৃষিকাজ ও গাড়ি টানার কাজে গরু ব্যবহৃত হয়। অন্যান্য পণ্যের মধ্যে চামড়া এবং সার বা জ্বালানীর জন্য গোবর অন্তর্ভুক্ত। ভারতের কিছু অঞ্চলে ধর্মীয় কারণে গরুকে গুরুত্ব ও মর্যাদা দেওয়া হয়ে থাকে। ১০,৫০০ বছর পূর্বে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে ৮০টি বিভিন্ন বংশের গৃহপালিত পূর্বপুরুষ হিসেবে, ২০১১ সালের অনুমান অনুযায়ী সারা বিশ্বে প্রায় ১৩০ কোটি গরু রয়েছে। ২০০৯ সালে, গরু প্রথম প্রাণীসম্পদ প্রাণী যাদের সম্পূর্ণরূপে চিহ্ণিত জিনোম রয়েছে।কেউ কেউ গরুকে ধনসম্পদের প্রাচীনতম গঠন বিবেচনা করেন। অতি প্রাচীন কালে মানুষ যখন সভ্যতার ছোয়া পায়নি তখন গরু ছিল অতি প্রয়োজনীয় প্রাণী। বর্তমান সময়েও গরু একটি অপরিহার্য প্রাণী হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।গরু ছাড়া সাধারণ মানুষের কথা কল্পনা করা যায়না। 

    ১।  সিন্ধি (Sindhi)

    পাকিস্তানের সিন্ধু এলাকায় এজাতের গরুর আদি বাসস্থান। বর্তমানের বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে এজাতটি পালিত হয়।সাধারণত গাঢ় লাল ও চকলেট বর্ণের হয়ে থাকে। গাভী অপেক্ষা ষাঁড়ের রং বেশী গাঢ় হয়।আকৃতি মাঝারি, সুডৌল,বলিষ্ট ও দেহ আটসাট। গাভীকে শান্তশিষ্ট ও বুদ্ধিদীপ্ত দেখায়।ভোঁতা শিং যা পাশে ও পিছনে বাঁকানাে থাকে। মাথা ও মুখ মণ্ডল ছােট। চওড়া কপাল। কপালের মাঝের অংশ কিছুটা উঁচু।ষাঁড়ের চূড়া বেশ উঁচু গল কম্বল বৃহদাকার ও ভাঁজযুক্ত। নাভি চর্ম বড় ও ঝুলন্ত। ষাঁড়ের ওজন প্রায় ৪৫০গাভীর ওলানের গঠন বেশ সুন্দর ও সামাঞ্জস্যপূর্ণ। ওজন প্রায় ২৯৫ কেজি। প্রতি বিয়ানে সর্বোচ্চ। ৫,৪৪৩ লিটার পর্যন্ত দুধ দেয়। এজাতের বলদ দিয়ে কৃষি কাজ করা যায়।

    ২। জার্সি (Jersey)

    প্রায় ৫০০ বছর ধরে ইংলিশ চ্যানেলের জার্সি দ্বীপে জার্সি জাতের গরুর প্রজনন হয়ে আসছে পরিকল্পিত প্রজননের ফলে জার্সি প্রসিদ্ধ দুধাল জাত হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।লম্বা দেহ, খাটো পা এবং চূড়া হতে কোমর পর্যন্ত পিঠ একদম সােজা থাকে।বিভিন্ন রংয়ের হয়। তবে প্রধানত হালকা লালচে বাদামী রং বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। চওড়া জোড়া ডিশযুক্ত কপাল। শিং পাতলা ও সামনের দিকে কিছুটা বাঁকানাে থাকে।মুখবন্ধনী বা মাজেল কালাে ও চকচকে হয়।জার্সি জাতের গাভী বাংলাদেশের আবহাওয়ায় পালনে উপযােগী।এজাতের গাভীর শারিরীক গঠন ছােট হওয়ায খাদ্যের পরিমাণ কম লাগে কিন্ত দুধ উৎপাদন ঠিকই হয়।গাভী ভীতু প্রকৃতির কিন্তু ষাঁড় কিছুটা অবাধ্য স্বভাবের। গাভী মাঝারী আকৃতির এবং ওজন প্রায় ৩৯০কেজি হয়ে থাকে।গাভীর ওলান চমক্কার। ইংল্যাণ্ডের একটি জার্সি গাভী এক বিয়ানে ২৫০০-৫০০০ লিটার দুধ দেয়।

    ৩। হলস্টিন (Halstein)

    হলস্টিন গরুর উৎপত্তি হল্যাণ্ড বা নেদারল্যাণ্ড। এজাতের গরুকে পূর্বে হলস্তিন-ফ্রিজিয়ান বলা হত। বর্তমানেবাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে এজাতের গরুদুধাল জাত হিসেবে পালন করা হয়। হলস্টিন গরুর বর্ণ ছােট বড় কালাে সাদা ছাপযু। তবে পায়ের নিাংশ(হাটুর নীচে) সাধারণত সাদা হয়।এজাতের গরুর মাথা লম্বাটে ও সােজা হয়। চওড়া মাজেল ও খােলা নস্ক্রিল থাকে। # অন্যান্য জাতের গরুর ন্যায় এদরে পিঠ চুড়া থাকেনা।এজাতের গাভী শান্ত স্বভাবের তবে ষড় উগ্র স্বভাবের হয়। গাভীল ওজন প্রায় ৭৫০কেজি এবং ষাঁড়ের ওজন প্রায় ১০০০কেজি।একটি হলস্তিন জাতের গাভীর দুধ দিনে তিনবার দোহন করে এক বিয়ানে প্রায় ১৯.৯৯৫ লিটার দুধ পাওয়া যায়।

    ৪। হারিয়ানা (Hariana)

    ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে এজাতের গরুর আদি বাসস্থান বলে স্থানের নামানুসারে নাম করণ করা হয়েছে। বাংলাদেশে এজাতের গরুপালিত হয়। এটি একটি দ্বৈত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত জাতের গরু।দেহের গঠন বলিষ্ট ও আঁটসাট। লম্বা গরু পা বিশিষ্ট এজাতের গরুউচ্চতায় বেশ লম্বা হয়।মাথা ও মুখ লম্বা ও গরু। গলা লম্বা কপাল চ্যাপ্টা, চোখ বড় বড় ও উজ্জল। শিং ছােট ও গ্যা উপর দিকে উঠানাে থাকে।মাথার পােল মধ্যস্থ অস্থি বেশ উন্নত। দেহের তলনায় লেজ ছােট ও গরু। #গাভীর ওলান সামনে পিছনে প্রশস্থ। সামনের বাট পিছনের বাট অপেক্ষা লম্বা।এজাতের গরুকৃষি কাজ বা ভারবহন ও দুধের জন্য বেশ উপযােগী।একটি গাভী প্রতি বিয়ানে প্রায় ১৪০০ লিটার দুধ দেয়

    ৫। সংকর জাত (Cross bred)

    দেশী জাতের গাভীর সাথে বিদেশী জাতের ষাঁড়ের সিমেন দিয়ে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে সংকর জাতের গরুউৎপাদন করা হয়। আমাদের দেশে প্রধানত হলস্টিন,জার্সি, শাহিওয়াল, সিন্ধি জাতের ষাঁড়ের সিমেন কৃত্রিম প্রজননে প্রয়ােগ করে সংকর জাতের গরুউৎপাদন করা হয়। সংকর জাতের গরুর বৈশিষ্ট্য তার জাত দ্বয়ের সংমিশ্রণে হয়ে থাকে। তাই সংকর জাতের গরুদেশী অপেক্ষা আকারে হয় এবং বেশী দুধ দেয়। একটি পূর্ণ বয়স্ক জাতের গাভীর ওজন ২০০-৩০০কেজি হয়ে থাকে। বিদেশী উন্নত জাতের গরু অনেক সময় আমাদের দেশের আবহাওয়ায় পালনের উপযােগী হয় না। কিন্তু সংকর জাতের পালন আমাদের দেশের জন্য বেশী উপযােগী তাই বাংলাদেশে পালনের জন্য সংকর জাতের গরুউৎপাদনের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।  

    0
    0
    Read More

    নতুন খামারী‌দের জন্য পরামর্শ

    Post By: administrator February 17, 2020 0 Comment

     
    বাংলাদেশে এখন সফল ডেইরি ফার্মের সংখ্যা অনেক। দিন দিন এর চাহিদা ও বাজার বাড়ছে। একদিকে যেমন এ থেকে আদর্শ খাবার হিসেবে দুধ, আমিষের চাহিদা মেটাতে মাংস এবং জ্বালানি হিসেবে গোবর ও জৈব সার পাওয়া যাবে, তেমনি অন্য দিকে এ খাত থেকে বেশ ভালো আয় করাও সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে অল্পবিস্তর জ্ঞান থাকতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ নিলে। আপনাদের সুবিধার্থে আজকে কিছু টিপস আমরা আজকের লেখায় আপনাকে জানাবোঃ

    ১। খামার করার পূ‌র্বে আপনার কা‌ছের কোন ফা‌র্মে ৩মাস যাতায়াত রাখুন অনেক কিছু শিখ‌তে পার‌বেন বি‌শেষ ক‌রে ছোট খাট রো‌গের চি‌কিৎসা, কোন ধর‌নের গরু কিন‌লে লাভবান হ‌তে পার‌বেন,‌কোথা‌থে‌কে পাইকা‌রি খাবার সংগ্রহ কর‌বেন।

    ২। অ‌ন্যের দে‌খে লো‌ভের ব‌সে খামার কর‌বেন না। কারন খামার ক‌রে ১০% লোক লাভ কর‌তে পা‌রে কারন তারা জা‌নে কিভা‌বে খামার করে ভাল করা যা‌বে।

    ৩। আপনার পু‌জি কম ২ টা দি‌য়ে শুরু করুন। বে‌শি টাকা থাক‌লেই যে ভাল কর‌তে পার‌বেন ভুল ধারনা, কিভা‌বে গরু সুস্হ রে‌খে খামা‌রের খরচ ক‌মি‌য়ে লাভ কর‌তে হ‌বে এই ও‌য়ে য‌দি না জা‌নেন দেক‌বেন আপনার ৫০ লাখ টাকা লছ হ‌তে খুব বে‌শি সময় লাগ‌বে না।

    ৪।  গা‌ভীর খামার কর‌লে সকাল-‌বিকাল ক্লিন রাখ‌বেন, বি‌শেষ ক‌রে সপ্তা‌হে ৩বার জীবানু নাশক দ্বারা A to Z প‌রিস্কার কর‌বেন। প‌রিস্কার খরচ বাড়‌লে সমস্যা নাই কিন্তুু অাপনার খামা‌রের কোন গরু য‌দি জীবানু বা‌হিত রোগ দ্বারা অক্রান্ত হয় বার বার চি‌কিৎসক ডাকা খরচ আরো ৩৪ গুন বে‌ড়ে যা‌বে। তাই বে‌শি বে‌শি প‌রিস্কার রাখুন গরু সুস্হ থাক‌লে খামা‌রের চি‌কিৎসা খরচ কম হ‌বে।

    ৫। গাভী‌কে খাবার মিশ্র‌নের সা‌থে প্র‌য়োজনীয় ভিটা‌মিন নিয়‌মিত সরবরাহ করুন। একটা সু‌তির কাপ‌ড়ে গোবর নি‌য়ে পা‌নি দি‌য়ে দেখুন কিছু দানাদার খাবার গরু হজম কর‌তে পা‌রে না, বি‌শেষ ক‌রে ভুট্টা প‌রিমা‌নে ক‌মি‌য়ে দেন না হ‌লে দেখ‌বেন আপনার গরুর স্বাস্হ্য ভাল থাক‌বে না , দু‌ধের প‌রিমান কম হ‌বে নিয়ুমত চল‌তে থাক‌লে বদহজম দেখা দি‌বে। গাভী সময় মত হি‌টে আস‌বে না। তাই ৭ দিন পর পর গোবর প‌রিক্ষা করুন ।

    ৬। খামা‌রে কোন গরু য‌দি ঠিক মত খাওয়া দাওনা না ক‌রে সা‌থে সা‌থে তাপমাএা মাপুন, দ্রুত পরামর্শ নি‌য়ে চি‌কিৎসা দিন।

    এছাড়াও খামা‌রে কোন বা‌হি‌রের লোক, মুরুগি, ছাগল প্র‌বেশ কর‌তে দি‌বেন না। বড় ধর‌নের ক্ষ‌তির সম্ভাবনা থা‌কে, এমন হ‌তে পা‌রে গরুর গলার দ‌ড়ি নি‌জের গলায় পড়া লাগ‌তে পা‌রে।

    0
    0
    Read More

    দুগ্ধ খামারের সঠিক স্থান নির্বাচন

    Post By: administrator January 29, 2020 0 Comment

    ১.শুষ্ক ও উঁচু ভূমি -পারিপার্শ্বিক অবস্থা ভালো হতে হবে, সুষ্ঠু যাতায়াত ব্যবস্থা – প্রয়োজনীয় জমির প্রাপ্যতা এবং সুষ্ঠু নিষ্কাশন ব্যবস্থা- পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ, মাটির প্রকৃতি ভালো হতে হবে- আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকা। জনবসতি থেকে দূরে এবং রাস্তা থেকে দূরে
    ২. আধুনিক স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থান তৈরি,
    ৩. উপযোগী জাত ও গাভী বাছাই করা,
    ৪. নিয়মিত টিকা প্রদান, কৃমিনাশক এবং প্রজনন   সমস্যাজনিত চিকিৎসা প্রদান,
    ৫. প্রজননের সঠিক সময় নির্ধারণ,
    ৬. নির্ধারিত রেশন মোতাবেক খাদ্য প্রদান করা,
    ৭. কাঁচা ঘাস ব্যবস্থাপনা,
    ৮. গর্ভবর্তী গাভী ব্যবস্থাপনা,
    ৯. বাছুর ব্যবস্থাপনা,
    ১০. সঠিক দুধ দোহন পদ্ধতি
    ১১. বাছুরের মোটাতাজাকরণ কার্যক্রম বিশেষ করে এঁড়ে বাছুর,
    ১২. বাজার ব্যবস্থাপনা।

    গাভী পালনের মাধ্যমে দারিদ্র্যবিমোচন ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। যে কোনো পরামর্শের জন্য নিকটস্থ  উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে।   

    0
    0
    Read More

    খরগোশ পালন

    Post By: administrator January 28, 2020 0 Comment

    জনবহুল বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি একটি প্রধান সমস্যা। বিগত বছরগুলোতে দেখা যায় উৎপাদিত প্রাণিজ আমিষ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা মিটাতে সক্ষম হচ্ছে না। কিন্তু মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে প্রাণিজ আমিষ যথাঃ দুধ, ডিম, মাংস ইত্যাদির গুরুত্ব ব্যাপক বা অপরিসীম। প্রতিদিন মাথাপিছু প্রাণিজ আমিষের প্রয়োজন ২৫ গ্রাম এবং প্রাপ্যতা ৫.৭ গ্রাম/জন। ফলে মানুষের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও মানসিক পরিপূর্ণতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দেশে শতকরা ৬৫ ভাগ লোক অতি দরিদ্র এবং অধিকাংশ লোক পুষ্টিহীনতায় ভূগছে। পারিবারিক পর্যায়ে খরগোশ পালন করে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, আয় বৃদ্ধি এবং আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে। অন্য প্রাণির তুলনায় খরগোশ সহজেই পালন করা যায়।  

    পালনের সুবিধা:
    ১. দ্রুত বর্ধনশীল প্রাণি।
    ২. একসাথে ২-৮টি বাচ্চা প্রসব করে।
    ৩. একমাস পরপর বাচ্চা প্রসব করে।
    ৪. খাদ্য দক্ষতা অপেক্ষাকৃত ভালো।
    ৫. মাংস উৎপাদনে পোল্ট্রির পরেই খরগোশের অবস্থান।
    ৬. কম জায়গায় কম খাবারে পালন করা যায়।
    ৭. কম খরচে বেশি উৎপাদন সম্ভব।
    ৮. খরগোশের মাংস বেশি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন।
    ৯. রান্না ঘরের উচ্ছিষ্ট, ঘাস ও লতা-পাতা এর খাবার।
    ১০. পারিবারিক শ্রমের সফল ব্যবহার করা সম্ভব।

    ১২. হোটেল, রেস্তোরাঁ বা ভোজসভায় এর মাংসের অনেক কদর।

    যেভাবে পালন করবেন: বাড়ির ছাদ, আঙিনা বা বারান্দায় ছোট আকারের শেড তৈরি করে খরগোশ পালন করা যায়-

    লিটার পদ্ধতি: 

    কমসংখ্যক খরগোশ পালনের জন্য এ পদ্ধতি উপযোগী। এর জন্য মেঝে কংক্রিটের হওয়া উচিত। খরগোশ মাটি খুঁড়ে গর্ত বানায়। লিটার পদ্ধতিতে মেঝের ওপর ৪-৫ ইঞ্চি পুরু করে তুষ, কাঠের ছিলকা অথবা ধানের খড় ছড়িয়ে দিতে হবে। এ পদ্ধতিতে খরগোশ পালন করতে হলে একসাথে ৩০টির বেশি খরগোশ পালন করা ঠিক নয়। পুরুষ খরগোশ আলাদা ঘরে রাখতে হবে। কারণ খরগোশ সামলানো খুব কঠিন। শুধু প্রজননের জন্য পুরুষ খরগোশকে স্ত্রী খরগোশের কাছে ১০-১৫ মিনিট ছেড়ে দেওয়া হয়।

    খাঁচা পদ্ধতি: 

    বাণিজ্যিকভাবে খরগোশ পালনের জন্য খাঁচা পদ্ধতি বিশেষ জনপ্রিয়। সে ক্ষেত্রে খাঁচার জন্য লোহার পাত দিয়ে তৈরি ৩-৪ তাকবিশিষ্ট খাঁচা বেশি উপযোগী। খরগোশের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা রেখে প্রতিটি তাকে খোপ তৈরি করতে হবে।

    প্রয়োজনীয় জায়গা:
    ক. একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ খরগোশের জন্য ৪ বর্গফুট জায়গা দরকার।
    খ. পূর্ণবয়স্ক মা খরগোশের জন্য দরকার ৬ বর্গফুট (প্রসূতি ঘরসহ)।

    গ. বাচ্চা খরগোশের জন্য ১.৫ বর্গফুট দরকার।

    খাদ্যের ধরণ
    সবুজ শাক-সবজিঃ ঋতু ভিত্তিক সবজি, পালং শাক, গাজর, মুলা, শশা, শাকের উচ্ছিষ্টাংশ, সবুজ ঘাস ইত্যাদি।
    দানাদার খাদ্যঃ চাল, গম, ভুট্টা, তৈলবীজ ইত্যাদি। তবে, বাণিজ্যিকভাবে খরগোশ পালনের জন্য ব্রয়লার মুরগির জন্য প্রস্তুতকৃত খাদ্য খরগোশের রেশন হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

    নিচের চিত্রে প্রাপ্ত বয়স্ক খরগোশের খাদ্য তালিকা দেয়া হল:

    অসুস্থ খরগোশের চোখ ফ্যাকাসে, কান খাড়া থাকে না, লোম শুষ্ক ও রুক্ষ দেখায়, খাদ্য ও পানি পানে অনীহা প্রকাশ করে, দৌড়াদৌড়ি কম করে, শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রভৃতি লক্ষণ দেখা যায়। 

    0
    0
    Read More

    বাছুর পালন নিয়ে কিছু প্রশ্নোত্তর

    Post By: administrator January 8, 2020 0 Comment

    জাতীয় অর্থনীতিতে প্রাণী সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। দারিদ্র বিমোচন, আত্ম কর্মসংস্থান তথা মানব সম্পদ উন্নয়নে প্রাণী সম্পদ খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

    বাছুর পালন নিয়ে কিছু প্রশ্নোত্তর নিম্নে

    ১. বাছুর পালনের গুরুত্ব কতটুকু?

    • বাছুরের মৃত্যুর হার কমাতে এবং সুস্থ সবল রাখতে বাছুর পালনে পরিচর্যার গুরুত্ব অনেক।

    ২. বাছুরের যত্ন না নিলে ভবিষ্যতে কি সমস্যা হতে পারে?

    • আজকের বাছুর আগামীতে বড় হয়ে দুধালো গাভী বা ষাঁড় হবে।

    ৩. বাছুর পালনের প্রভাব কেমন হতে পারে?

    • বাছুর ভালো স্বাস্থ্যবান হলে পরবর্তীতে গাভী হয়ে আশানুরূপ দুধ দেবে এবং ষাঁড় হলে প্রয়োজনে প্রজনন কাজে ব্যবহার করা যাবে।

    ৪. কখন থেকে বাছুরের যত্ন আরম্ভ করতে হবে?

    • মায়ের গর্ভে থাকতেই পরোক্ষভাবে যত্ন আরম্ভ করতে হবে।

    ৫. গর্ভের কোন সময় যত্ন নিতে হবে?

    • গর্ভধারণের শেষ তিন মাসে পর্যাপ্ত সুষম পুষ্টিকর খাদ্য গর্ভবতী গাভীকে খাওয়াতে হবে।

    ৬. এতে বাছুর কি সুবিধা পাবে?

    • গাভীর নাড়ীর মাধ্যমে বাছুর প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করে সুস্থ সবল অবস্থায় শারিরীকভাবে বৃদ্ধি পাবে।

    ৭. পরিমিত পুষ্টি সরবরাহ ছাড়া গর্ভবতী গাভীর জন্য আর কি করতে হবে?

    • গর্ভকালের শেষ তিন মাসে ধীরে ধীরে দুধ দোহন বন্ধ করতে হবে।

    ৮. প্রসবে বিঘ্নতা দেখা দিলে কি করতে হবে?

    • প্রসবে অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই নিকটস্থ পশু চিকিৎসকের সহযোগিতা নিতে হবে।

    ৯. বাছুর এবং গাভীর বিছানা কি রকম হতে হবে?

    • শুকনো খড় পুরু করে বিছিয়ে খুব কাছাকাছি পর্যাপ্ত পরিমাণে হালকা ঠান্ডা বিশুদ্ধ পানি রাখতে হবে।

    ১০. বাছুর ভূমিষ্ট হওয়ার সাথে সাথেই কি করতে হবে?

    • শুকনো খড়কুটা, চট বা ছালার উপর রাখতে হবে। নাক ও মুখ হতে নিস্তৃত লালা পরিষ্কার করতে হবে।

    ১১. নাকের ও মুখের লালা পরিষ্কার না করলে বাছুরের কি ক্ষতি হবে?

    • শ্বাসরুদ্ধ হয়ে বাছুর মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

    ১২. বাছুরের স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস না হলে কি করতে হবে?

    • বাছুরের নাকে ও মুখে এবং নাভীতে ফুঁ দিলে প্রায় সময়েই শ্বাসপ্রশ্বাস চালু হয়ে যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শ্বাস বৃদ্ধির ঔষধ ব্যবহার করা ভালো।

    ১৩. বাছুরের নাড়ি কিভাবে কাটতে হয়?

    • চামড়া থেকে ১-১.৫ ইঞ্চি রেখে কেটে যেকোন জীবাণুনাশক ব্যবহার করা জরুরী। নাভীতে যেন ধুলা-বালি কিংবা ময়লা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

    ১৪. গাভী বা মালিকের কি করণীয় থাকে?

    • শুকনা খড় বা কাপড় দ্বারা শরীর মুছে দেবেন। হালকা গরম পরিষ্কার পানি ঢেলে অথবা অন্য যেকোন সহজপ্রাপ্য জীবাণুনাশক-মিশ্রিত পানি দিয়ে বাছুরের শরীর মুছে দেবেন না।

    ১৫. প্রসবের পরপরই বাছুরকে কি খাওয়াতে হবে?

    • বাছুর দাঁড়ানোর চেষ্টা করার সাথে সাথেই তাকে শালদুধ খাওয়াতে হবে।

    ১৬. প্রতিটি বাছুরের জন্য কতটুকু জায়গার প্রয়োজন?

    • প্রতিটি বাছুরের জন্য ৬×৪ ফুট মাপের জায়গা প্রয়োজন।

    ১৭. বাছুরের ঘরের বিছানা কি রকম হওয়া প্রয়োজন?

    • পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো-বাতাসসহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঠিক রেখে শুকনা টুকরো খড় বা চট বিছানো যেতে পারে, ঘরের চোনা-গোবর সকাল বিকালে নিয়মিত সরাতে হবে।

    ১৮. সবল এবং দূর্বল বাছুর কি ঘরে এক সাথে রাখা যেতে পারে?

    • সবল এবং দূর্বল বাছুর সব সময় আলাদা রাখতে হবে যাতে নিজেদের খাদ্য ও পানি নিজেরা খেতে পারে।

    ১৯. বাছুরের অন্যান্য সাধারণ যত্ন কি হতে পারে?

    • সময়মত খাদ্য ও পানি সরবরাহপূর্বক যথাযথ সময়ে বয়সের ভিত্তিতে সকল রোগের জন্য টিকা প্রদান করতে হবে।

    ২০. বাছুরকে খাওয়ানোর নিয়ম কি কি হতে পারে?

    • জন্মের পর ৭ দিন, ৭ দিন থেকে দুধ ছাড়ানো (৫-৬ মাস) এবং দুধ ছাড়ানোর পরবর্তীতে অন্যান্য খাবার যথাযথভাবে খাওয়াতে হবে।

    ২১. জন্মের পর সাত দিন কি কি খাওয়াতে হবে?

    • কাঁচা দুধ বা শালদুধ খাওয়াতে হবে এবং অন্য কিছু না খাওয়ালেও হবে।

    ২২. এক সপ্তাহ থেকে ৫-৬ মাস পর্যন্ত বাছুরকে কি ধরণের খাবার খাওয়াতে হবে?

    • প্রয়োজনীয় আমিষ (১৬-১৮%), আঁশ-জাতীয় খাবার (৭-১০%), ক্যালসিয়াম (০.৬-০.৭%), ফসফরাস (০.০৪-০.০৫%), ম্যাগনেসিয়াম (০.১৫-০.২০%) এবং লবণ (০.০৭-০.০৮%) সমৃদ্ধ প্রাথমিক খাদ্য (কাফ স্টার্টার) খাওয়াতে হবে।

    ২৩. জন্মের পর তিন মাস পর্যন্ত বাছুরকে কিভাবে দুধ খাওয়াতে হবে?

    • প্রথম সপ্তাহের শেষ থেকে প্রতি ১০০ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১০ কেজি হারে প্রতি সপ্তাহে ২ কেজি হিসাবে কমিয়ে ১২ সপ্তাহে দুধ খাওয়ানো বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে প্রতি সপ্তাহে ৫০০ গ্রাম হিসাবে দানাদার খাদ্য বাড়াতে হবে এবং এর সাথে পর্যাপ্ত কচি ঘাস দিতে হবে।

    ২৪. বাছুরকে কি পরিমাণে দুধ খাওয়াতে হবে?

    • প্রতি ১০০ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ৮ কেজি হিসাবে দুধ খাওয়াতে হবে অর্থাৎ ৪০ কেজি ওজনের বাছুরকে ৩-৩.৫ কেজি দুধ খাওয়াতে হবে। এবাবে তিন মাস পর দুধ ছাড়াতে হবে।

    ২৫. বাছুরকে কি পরিমাণে খড় খাওয়াতে হবে?

    • দৈহিক ওজনের ১.৫% হিসাবে তিন মাস পর থেকে ঘাস/খড় খাওয়াতে হবে।

    ২৬. ছয় মাসের পর থেকে বাড়ন্ত বাছুরকে কি পরিমাণ দানাদার খাদ্য খাওয়াতে হবে?

    • দৈহিক ওজনের ১% হিসাবে দানাদার খাদ্য হিসাবে ইউ.এম.এস.(ইউরিয়া-মোলাসেস-স্ট্রসহযোগে প্রস্তুত সংরক্ষিত খড়) খাওয়ানো যেতে পারে।

    ২৭. বাছুরের সাধারণত কি কি রোগ হয়?

    • পেট ফাঁপা, ডিপথেরিয়া, এফএমডি, বদহজম, উদরাময়, নিউমোনিয়া, পাতলা পায়খানা, কোষ্ঠকাঠিন্য, সর্দি কাশি, উঁকুন, আঁঠালি, কৃমি, গলাফুঁলা ইত্যাদি।

    ২৮. কি কি কারণে সাদা উদরাময় রোগ হতে পারে?

    • খারাপ ব্যবস্থাপনা, নিয়ম বহির্ভূত কৃত্রিম উপায়ে খাওয়ানো, শালদুধের অভাব, অতিমাত্রায় ও অনিয়মিতভাবে দুধ খাওয়ানো, অত্যধিক ঠান্ডা দুধ খাওয়ানো, রসদে সবুজ খাদ্যের স্বল্পতা ইত্যাদি কারণে এবং এসকারেসিয়া কলাই নামক জীবাণু দ্বারা সাধারণত মানুষ বা পশুর খাদ্যনালীতে এ রোগ হতে পারে।

    ২৯. সাদা উদরাময় রোগ কিভাবে চেনা যাবে?

    • ঘনঘন মল ত্যাগ, চালের পানির মত পাতলা দূর্গন্ধযুক্ত পায়খানা, প্রথম দিকে জ্বর হয়ে পরে স্বাভাবিক মাত্রার নিচে তাপমাত্রা নেমে যায়, খাওয়াতে অরুচি এবং আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে বাছুর মারা যায়।

    ৩০. সাদা উদরাময় রোগের চিকিৎসা ও প্রতিকারের উপায় কি?

    • লক্ষণ বুঝার সাথে সাথে ২৪ ঘন্টার মধ্যে খাদ্য বন্ধ করতে হবে। সামান্য গরম পানিতে গম অথবা ভূট্টার কুঁড়া খাওয়ানোর পাশাপাশি দুধ খাওয়ানোর পরিমাণ বাড়াতে হবে। স্যালাইন ও পরামর্শ অনুযায়ী সালফার-জাতীয় ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে বা ইনজেকশন দিতে হবে। জন্মের পরপরই শালদুধ খাওয়াতে হবে এবং জীবাণুমুক্ত ও পরিষ্কার জায়গায় বাছুরকে রাখতে হবে।

    ৩১. নিউমোনিয়া রোগের সাধারণ লক্ষণসমূহ কি কি?

    • শ্বাস-প্রশ্বাসের মাত্রা বাড়ে, শ্বাস-প্রশ্বাসে অস্বাভাবিক শব্দ হয়, জ্বর হয়, সর্দি বাড়ে ও অবস্থার প্রেক্ষাপটে লক্ষণ ভিন্ন হতে পারে। নিউমোনিয়ার অপর নাম শ্বাস রোগ বা পাঁজর ব্যথা।

    ৩২. নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসা কি হতে পারে?

    • পশু-চিকিৎসকের পরামর্শমতে অতি সাবধানতায় বাছুরের শিরায় অথবা মাংসপেশীতে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দিতে হবে ও একই সাথে এন্টিহিস্টামিনিক ইনজেকশন নির্ধারিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।

    ৩৩. ডিপথেরিয়া রোগ বলতে কোন রোগকে বুঝায়?

    • ডিপথেরিয়া রোগটি স্ফেরোফোরাস নেক্রোফেরাস জীবাণুর সৃষ্ট একটি মারাত্মক সংক্রামক ব্যাধি যার মাধ্যমে তিন মাসের বাছুরের মুখগহ্বর এবং বেশি বয়সের বাছুরের ল্যারিংস আক্রান্ত হয়।

    0
    0
    Read More

    মোটাজাতকরণের জন্য গরু কিনতে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন

    Post By: administrator January 8, 2020 0 Comment

    এ দেশে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কারণ আমাদের মাংসের চাহিদা প্রচুর, উৎপাদন কম। এছাড়া গবাদিপশু মোটাতাজাকরণের সাথে কর্মসংস্থান, গোবর উৎপাদন, চামড়া উৎপাদন, পরিবেশ উন্নয়ন এসব নানা কিছু জড়িত। একটি কথা তো সর্বজন স্বীকৃত যে প্রতি বছর কোরবানি ঈদের সময় এদেশে প্রায় ৪০-৫০ লাখ গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া কোরবানি করতে হয়। এ সংখ্যার ৭০% গরু। সুতরাং কোরবানি উপলক্ষে গরিষ্টসংখ্যক গবাদিপশু মোটাতাজা করতে হয়। কাজটি নানা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ এ দেশের উল্লেখযোগ্য মানুষের নিয়মিত কর্মসংস্থান। এরা বছরব্যাপী আমাদের মাংস সরবরাহে সহায়তা করে। এছাড়া বিগত কয়েক বছর ধরে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে গরু আমদানি নিষিদ্ধ অথবা নিয়ন্ত্রিত। সুতরাং দেশে গো মাংসের চাহিদা পূরণে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণের কোনো বিকল্প আর নেই।

    এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক  মোটাজাতকরণের জন্য গরু কিনতে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেনঃ

    ১) ১ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে গরু কিনতে হবে (১২-১৫ মাস বয়সের গরু মোটাজাতকরনের জন্য ভালো)

    ২) গায়ের চামড়া ঠিলা-পাতলা, পাঁচরের হাড় চেপ্টা, পায়ের মোট এবং শুধু মাত্র খাবারের অভাবে যে সব গরু শুকিয়ে গেছে এমন গরু কম মূল্যে কিনতে হবে।

    ৩) মনে রাখতে হবে গর্ভবতী গাভীকে ইউরিয়া মিশ্রিত খড় খাওয়ানো যাবে না। নির্বাচিত গরুকে প্রকল্প মতে প্রক্রিয়াজাত ইউরিয়া মিশ্রিত খড় খাওয়ানোর পূর্বে কিছু চিকিৎসা দিয়ে উপকুক্ত করে নিতে হবে।

    ক. গরুর শরীরে কোনো ক্ষত থাকলে সে স্থানে ডেটল বা স্যাভলন দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করে নেগোভোন মলম লাগিয়ে প্রয়োজনে ব্যাণ্ডেজ করে রাখতে হবে, যাতে ক্ষত স্থানে মশা-মাছি কিংবা ময়লা জমতে না পারে।
    খ. ক্ষত গভীর হলে তা না শুকানো পর্যন্ত আবার পরিস্কার করে মাঝে মধ্যেই মলম ব্যবহার করতে হবে।
    গ. ক্ষত সেরে যাওয়ার পর গরুর গায়ের সেসব পরজীবী যেমন-উকুন, আঠালি, সিঁদুর পোকা ইত্যাদি মুক্ত করতে হবে।

    নিয়মাবলীঃ
    একটি গরুর জন্য নিউসিডল বা এনোসটোল পাউডার ১০ কেজি পানিতে ২.৫ চা চামচ মিশাতে হবে। তারপর বাসতি থেকে কিছুটা দূরে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে প্রথমে ভালোভাবে নাক-মুখ বেঁধে কান, চোখ, মুখ ছাড়া শরীরের সর্বত্র ওষুধ মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে কানের ভেতর, চোখের চতুপারর্শ্বে, নাক, মুখ লেজের গোড়া, শরীরের সঙ্গে পায়ের সংযোগস্থলসহ সকল সংকীর্ণ জায়গায় লাগাতে হবে। ওধুষ লাগিয়ে ২০-২৫ মিনিট অপেক্ষা করার পরে পরিস্কার পানি দ্বারা শরীরের সর্বত্র ভালোভাবে ধুয়ে ওষুধমুক্ত করতে হবে। ওষুধ লাগানোর ২/১ দিন পর যদি দেখা যায় ভালোভাবে বাহিত্যক পরজীবী মুক্ত হয়নি তবে ১৫ দিন পরে আবার একই নিয়মে ওষুধ লাগাতে হবে।

    সর্তকতা
    ১. যে ব্যক্তি ঔষুধ লাগাবেন, তিনি গরুর শরীরের ক্ষতস্থান সম্পর্কে সচেতন থাকবেন, কারণ এই ঔষুধ বিষ জাতীয়।
    ২. গরুর শরীরে ক্ষতস্থানকে (যদি ভালোভাবে না শুকিয়ে তাকে) এড়িয়ে ঔষদ প্রয়োগ করতে হবে।
    ৩. গরুকে ঔষুধ প্রয়োগের পর ভালোভাবে গোসল করিয়ে উক্ত স্থান থেকে কিছুটা দূরে নিয়ে মুখের বাঁধন খুলতে হবে কারণ গরু স্বভাবত ঔষুধ লাগা ঘাস বা পানি খেয়ে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।

    0
    0
    Read More

    গরু মোটাতাজাকরণ

    Post By: administrator January 8, 2020 0 Comment


    প্রতিটি পরিবার কিংবা ব্যক্তির একক বা একমুখী রোজগারে সংসার চালানো অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অনেকেই বাড়তি একটা কিছু করতে চায়, কিন্তু সুযোগ হয় না কিংবা হলেও কি করবে, তা খুঁজে পায় না।তাদের জন্যই আজকের লেখা।

    স্থান নির্বাচন:

    খামার স্থাপনের জন্য স্থান নির্বাচনে নিম্ন লিখিত বিষয়গুলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ শুষ্ক ও উঁচু জায়গা হতে হবে, যাতে খামার প্রাঙ্গণে পানি না জমে থাকে। হ খোলামেলা ও প্রচুর আলো-বাতাসের সুযোগ থাকতে হবে। খামারে কাঁচামাল সরবরাহ ও উৎপাদিত দ্রব্যাদি বাজারজাতকরণের জন্য যোগাযোগ সুবিধা থাকতে হবে। পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের সুষ্ঠু ব্যবস্থা থাকতে হবে। সুষ্ঠু নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকতে হবে, যেমন- পানি, মলমূত্র, আবর্জনা ইত্যাদি। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে সম্প্রসারণের সুযোগ থাকতে হবে।

    গরু নির্বাচন :

    উন্নত দেশের মাংসের গরুর বিশেষ জাত রয়েছে। বিদেশি গরুর জন্য উন্নত খাদ্য ও ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। তাই দেশীয় গরু মোটাতাজাকরণ অধিক লাভজনক। ২-২.৫ বছরের গরুর শারীরিক বৃদ্ধি ও গঠন মোটাতাজাকরণের জন্য বেশি ভালো। এঁড়ে বাছুরের দৈহিক বৃদ্ধির হার বকনা বাছুরের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। তবে বাছুরের বুক চওড়া ও ভরাট, পেট চ্যাপ্টা ও বুকের সঙ্গে সমান্তরাল, মাথা ছোট ও কপাল প্রশস্ত, চোখ উজ্জ্বল ও ভিজা ভিজা, পা খাটো প্রকৃতির ও হাড়ের জোড়াগুলো স্ফীত, পাঁজর প্রশস্ত ও বিস্তৃত, শিরদাঁড়া সোজা হতে হবে।

    বাসস্থানের গঠন:

    গরুর বাসস্থান তৈরির জন্য খোলামেলা উঁচু জায়গায় গরুর ঘর তৈরি, একটি গরুর জন্য মাপ হতে হবে কমপক্ষে ১০-১২ বর্গফুট। ভিটায় ১ ফুট মাটি উঁচু করে এর ওপর ১ ফুট বালু দিয়ে ইট বিছিয়ে মেঝে মসৃণ করার জন্য সিমেন্ট, বালু ও ইটের গুঁড়া দিতে হবে। গরুর সামনের দিকে চাড়ি এবং পেছনের দিকে বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য নালা তৈরি করতে হবে। বাঁশের খুঁটি দিয়ে বেঁধে ওপরে ধারি অথবা খড় ও পলিথিন দিয়ে চালা দিতে হবে, ঘরের পাশে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা দরকার। পাশাপাশি দাঁড়ানো গরুকে বাঁশ দিয়ে আলাদা করতে হবে যাতে একে অন্যকে গুঁতা মারতে না পারে। ঘরের চারপাশ চটের পর্দার ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে অতি বৃষ্টি ও অতি ঠান্ডার সময় ব্যবহার করা যায়।

    খাদ্য :

    খাদ্যে মোট খরচের প্রায় ৬০-৭০ ভাগ ব্যয় হয়। তাই স্থানীয়ভাবে খরচ কমানো সম্ভব। এজন্য গরু মোটাতাজাকরণের একটি সুষম খাদ্য তালিকা নিচে দেয়া হলো-

    শুকনা খড়:

    ২ বছরের গরুর জন্য দৈহিক ওজনের শতকরা ৩ ভাগ এবং এর অধিক বয়সের গরুর জন্য শতকরা ২ ভাগ শুকনা খড় ২-৩ ইঞ্চি করে কেটে এক রাত লালীগুড়-চিটাগুড় মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে প্রতিদিন সরবরাহ করতে হবে। পানিঃচিটাগুড়=২০:১।

    কাঁচা ঘাস:

    প্রতিদিন ৬-৮ কেজি তাজা ঘাস বা শস্য জাতীয় তাজা উদ্ভিদের উপজাত দ্রব্য যেমন- নেপিয়ার, পারা, জার্মান, দেশজ মাটি কলাই, খেসারি, দুর্বা ইত্যাদি সরবরাহ করতে হবে।

    দানাদার খাদ্য :

    প্রতিদিন কমপক্ষে ১-২ কেজি দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। নিচে ১০০ কেজি দানাদার খাদ্যের তালিকা দেয়া হলো-
    গম ভাঙা-গমের ভুসি ৪০ কেজি চালের কুঁড়া ২৩.৫ কেজি খেসারি বা যে কোনো ডালের ভুসি ১৫ কেজি তিলের খৈল-সরিষার খৈল ২০ কেজি লবণ ১.৫ কেজি।
    উল্লিখিত তালিকা ছাড়াও বাজারে প্রাপ্ত ভিটামিন মিনারেল মিশ্রণ ১% হারে খাওয়াতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন রকমের ইউরিয়া মোলাসেস বক ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি হচ্ছে ৩৯ ভাগ চিটাগুড়, ২০ ভাগ গমের ভুসি, ২০ ভাগ ধানের কুঁড়া, ১০ ভাগ ইউরিয়া, ৬ ভাগ চুন ও ৫ ভাগ লবণের মিশ্রণ।

    রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা :

     প্র্রতিদিন নিয়মিতভাবে পশুর গা ধোয়াতে হবে। গোশালা ও পার্শ¦বর্তী স্থান সর্বদা পরিষ্কার রাখতে হবে। নিয়মিতভাবে গরুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। বাসস্থান সর্বদা পরিষ্কার রাখতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পরিমিত পরিমাণে পানি ও সুষম খাদ্য প্রদান করতে হবে। রোগাক্রান্ত পশুকে অবশ্যই পৃথক করে রাখতে হবে। খাবার পাত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। খামারের সার্বিক জৈব নিরাপত্তা রক্ষা করতে হবে। পশু জটিল রোগে আক্রান্ত হলে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

    বাজারজাতকরণ:

     মোটাতাজাকরণ গরু লাভজনকভাবে সঠিক সময়ে ভালো মূল্যে বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ হচ্ছে আরেকটি উল্লেখ্যযোগ্য বিষয়। বাংলাদেশে মাংসের জন্য বিক্রয়যোগ্য গবাদিপশুর বাজার মূল্যেও মৌসুমভিত্তিক হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। কাজেই একজন প্রতিপালককে গরু মোটাতাজাকরণের জন্য অবশ্যই গরুর ক্রয় মূল্য যখন কম থাকে তখন গরু ক্রয় করে বিক্রয় মূল্যের ঊর্ধ্বগতির সময়ে বিক্রয়ের ব্যবস্থা নিতে হবে। সাধারণত কোরবানির ঈদের সময় গরুর মূল্য অত্যধিক থাকে এবং এর পরের মাসেই বাজার দর হ্রাস পায়। তাই এখন গরু মোটাতাজাকরণের উপযুক্ত সময়। স্বল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়ার সহজ এবং সুবিধাজনক উপায়ের মধ্যে গরু মোটাতাজাকরণ একটি অত্যন্ত যুগোপযোগী পদ্ধতি।

    0
    0
    Read More

    গাভী পালন

    Post By: administrator January 2, 2020 0 Comment

    যে কোনো কিছু গড়তে সবার আগে প্রয়োজন প্রাথমিক প্রস্তুতি। এ প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করে যে কোনো কাজের সফলতার ও ব্যর্থতা। ডেইরি ফার্ম গড়ে তুলতে প্রয়োজন আর্থিক সঙ্গতি, অভিজ্ঞতা ও গরুর নিরাপদ আশ্রয়। প্রথমেই বিশাল ফার্ম তৈরিতে হাত না দিয়ে ছোট পরিসরে কাজে হাত দেয়া ভালো। ৫ থেকে ৬টি গরু নিয়ে যাত্রা করে আস্তে আস্তে ফার্মকে সম্প্রসারণ করাই উত্তম। ২টি গরুর জন্য একজন দক্ষ লোক দরকার হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে লোকটির গরুর যত্ন নেয়ার পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে কিনা।

    গাভী পালনের গুরুত্বঃ

    • দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গাভীর গুরুত্ব অপরিসীম।
    • দেশের দরিদ্র জনগোস্টির গাভী পালনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে পারে।
    • গাভী পালন আত্ম-কর্মসংস্থানের একটি উল্লেখযোগ্য উপায়।
    • গবাদি পশুর মাংস ও দুধ উন্নতমানের প্রাণীজ আমিষের উৎস।
    • আদিকাল পশুর চামড়া রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
    • শিং ও হাড় থেকে চিরুনি, বোতাম, ছাতা ও ছুরির বাট প্রভৃতি তৈরি করা যায়।
    • রক্ত থেকে হাস-মুরগি ও প্রাণীর খাদ্য তৈরি করা যায়। ক্ষুদ্রান্ত্র থেকে সারজিক্যাল সুতা, টেনিস র‍্যাকেট স্ট্রিং, মিউজিক্যাল স্ট্রিং প্রভৃতি তৈরি করা যায়।
    • গোবর উৎকৃষ্ট মানের জৈব সার। এছাড়া গ্রামে জ্বালানী হিসাবে গোবর ব্যবহৃত হয়।
    0
    0
    Read More

    লাল চাটগেয়ে গাভীর জাত

    Post By: administrator January 2, 2020 0 Comment

    জাত উন্নয়নের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো গবাদিপশুর কিছু বৈশিষ্ট্য যেমন- দুধ উৎপাদন, দৈহিক বৃদ্ধি, যৌন পরিপক্কতা, মাংস উৎপাদন ইত্যাদির উন্নয়ন সাধন। চট্টগ্রামের অষ্টমুখী লাল গরুর জাত উন্নয়ন দুইভাবে ঘটানো যায় কৌলিক মানের উন্নয়ন ঘটিয়ে ও পরিবেশগত উন্নয়ন ঘটিয়ে।

    এ জাত বাংলাদেশের চট্রগ্রাম ও পার্বত্য চট্রগ্রামে পাওয়া যায়। এটি বাংলাদেশের একমাত্র উল্লেখযোগ্য জাত।

    এ জাতের বৈশিষ্ট্যঃ

    লাল চাটগেয়ে সাধারণত মাঝারি ধরনের হয়ে থাকে।

    গায়ের রং হালকা লাল।

     শিং পাতলা ও বাঁকানো।

     ওলানগ্রন্থি বেশ সুঠাম কিন্তু বাট আকারে ছোট।

    দুধ উৎপাদনঃ

    সাধারণত এ জাতের গাভী দৈনিক ২-৫ লিটার দুধ দেয়।

    গাভী ও ষাঁড়ের ওজনঃ

    গাভীর ওজন ২৫০-৩০০ কেজি এবং ষাঁড়ের ওজন ৩৫০-৪০০ কেজি।

    0
    0
    Read More

    পরিকল্পনা ছাড়া খামার লোকসান হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারন গুলো

    Post By: administrator October 30, 2019 0 Comment

    খামার বলতে এমন একটি স্থাপনাকে বুঝানো হয় যেখানে কৃত্রিম ভাবে যেকোন উদ্ভিদ বা প্রাণীর প্রতিপালন ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য সাধন করা হয়। সাধারণত: গবাদী পশু এবং কিছু বাণিজ্যিক উদ্ভিদ ও প্রাণী এই প্রক্রিয়ায় উৎপাদন ও বিপনন করা হয়। বিশ্ব ব্যাপীই খামার প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন ও বিপণন কার্য সম্পাদিত হয়। বিভিন্ন অঞ্চল ভিত্তিক এই প্রক্রিয়াটি ভিন্ন ভিন্ন হয়। কৃষিভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা বলে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের খামার গড়ে উঠেছে; যেমন: ডেইরি খামার রয়েছে ৪৭,৭১০টি,পোলট্রি খামার, হাঁসের খামার, ঘুঘুর খামার, কুমিরের খামার, মৌমাছির খামার, মৎস্য খামার, কাঁকড়ার খামার, ঝিনুকের খামার, হরিণের খামার, প্রভৃতি রয়েছে।অনেকেই খামার করে সফল হয়েছেন আবার অনেকেই লোকসানের মুখে  পরেছেন।

    আজকের লেখায় মুলত আপনাদের জানানো হবে পরিকল্পনা ছাড়া খামার লোকসান হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারন গুলোঃ

    ১- খামারের পরিকল্পিত প্ল্যান না থাকা।
    ২- প্রথম ৬ মাসের খরচের জন্য একটা ফান্ড না রাখা।
    ৩- সঠিক স্হান নির্বাচন না করা।
    ৪- বর্ষা মৌসুমের জন্য পূর্বে খাবারের মজুদ না রাখা।
    ৫- চিকিৎসা নিশ্চিত না করা।
    ৬- খামারে আসা যাওয়া, পন্য বেচাকেনার যোগাযোগ ব্যবস্হা ভালো না থাকা।
    ৭- গরু / ছাগল খামারের বাহিরে যেতে না পারে সেটা নিশ্চিত করা।
    ৮- উন্নত জাতের সুস্থ পশু সংগ্রহ না করা।
    ৯ – পার্টনারদের সততার অভাব।

    ১। কৃষি কর্মকর্তা বা অভিজ্ঞ লোকের সহায়তা নিয়ে প্রথমে আপনার খামারের জন্য পরিকল্পিত প্ল্যান তৈরি করুন, এমন জায়গা নির্বাচন করুন যেখানে বর্ষা মৌসুমে পানি উঠবেনা। গরু/ছাগলের ঘর কোথায় করবেন, ঘর টা পূর্ব, পশ্চিম বা কোন মূখী হবে তা নির্বাচন করুন। শুকনো খাবার ও মালামাল রাখার ঘর কোথায় করবেন তা ভাবুন। দিনের বেলা ঘরের বাইরে বের করলে সেই স্থান কোথায় হবে তা ভাবুন। এদের মল,মুত্র কোথায় রাখা হবে ইত্যাদি সহ সার্বিক বিষয় ভাবতে হবে।

    ২। প্রথম ছয় মাস আয়ের তেমন সুযোগ থাকেনা তাই মাথায় রাখতে হবে, এই সময় টা কিভাবে যাবতীয় সকল খরচ চালাবেন তার জন্য আগে থেকে বাজেট রাখা।

    ৩। এমন স্থান নির্বাচন করতে হবে যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো বাতাস ও রোদ পড়ে, বর্ষা মৌসুমে পানি জমবেনা বা উঠবেনা।

    ৪। বর্ষা মৌসুমে সব জায়গায় পানি উঠে তাই কাচা ঘাসের সংকট থাকে। সেই কথা মাথায় রেখে শুকনো দানাদার খাবার ও খড় মজুদের ব্যবস্হা রাখা। নাহলে খাদ্য সংকট দেখা দিবে।

    ৫।  চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য আগে থেকে যুব উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে রাখা সবচেয়ে ভালো। কারণ প্রাথমিক চিকিৎসা নিজে দেয়া যায়, বড় কোন সমস্যা হবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তরের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী চিকিৎসা নিজেই করতে পারবেন। নিজের অভিজ্ঞতা না থাকলে ডাক্তরের খরচ অনেক বেশি হবে।

    ৬। এমন জায়গা নির্বচন করতে হবে যেখানে যাতায়াত ব্যাবস্হা ভালো। শুকনা খাবার,খড় ও মালামাল আনা নেয়া দুধ বিক্রি করা বা গরু/ছাগল আনা নেয়ার সুব্যাবস্হা নিশ্চিত করা। না থাকলে বিক্রি করতে ও মালামাল আনা নেয় করতে অতিরিক্ত খরচ ও লসের সম্ভাবনা থাকে।

    ৭। গরু / ছাগল খামারের বাহিরে আসা যাওয়া করতে দেয়া যাবেনা কারন বাইরে থেকে আসা প্রানীর মাধ্যমে রোগজীবাণু ছড়ানোর সুযোগ থাকে। অনেক সময় মহামারী লেগে আক্রান্ত সকল গরু/ছাগল মারা যেতে পারে।

    ৮। উন্নত জাতের পশু সংগ্রহ করলে দুধ বেশি পাওয়া যাবে।
    ভালো জাতের বাচ্চা ও মাংস উৎপাদন হবে। বিক্রি করতে সহজ হবে এবং আয়ের সুযোগ বেশি থেকে। অনুন্নত জাত থেকে ভালো ফসল আসা করা যায় না

    ৯। পার্টনারদের মধ্যে সততার অভাব থাকলে কখনো কোন প্রতিষ্ঠন অগ্রসর হতে পারেনা। তাই একা ছোট আকারে করাই সবচেয়ে ভালো । একা করা সম্ভব না হলে সৎ ভালো পরিশ্রমি লোক নিয়ে খামার করা উচিৎ। পরিশ্রম করার মানসিকতার না থাকলে বা নিজের কাজ নিজে করার মানসিকতার বিকল্প নেই।

     

    0
    0

    Read More

    LET’S KEEP IN TOUCH!

    Sign up for exclusive deals and promos

    Need to chat?

    • 01908597470 / 01908597471
    • info@krishibazar.com.bd

    © 2020, Krishi Bazar. All Rights Reserved..

    Login

    Forgot Password?

    Close
    Sign in Or Register
    Forgot your password?

    NEW HERE?

    Registration is free and easy!

    • Faster checkout
    • Save multiple shipping addresses
    • View and track orders and more
    Create an account
    x
    X
    • Menu
    • কেনাকাটা
      • বায়োফ্লক
        • মিটার
        • অন্যান্য সরঞ্জামসমূহ
      • অন্যান্য মেশিনারিজ
      • ছাদ কৃষি
      • জৈব সার
      • হাইড্রপনিক ট্রে
      • সিডলিং ট্রে
      • নার্সারী
        • ইনডোর প্লান্ট
        • ফলজ বৃক্ষ
        • ফুল গাছ
        • শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষ
      • বীজ
        • বীজ প্যাকেজ
      • বীষমুক্ত খাবার
        • গুড়
        • ফল
      • মাছের পোনা
        • ক্যাট ফিস
        • বাংলা মাছ
      • মাশরুম
      • ডেইরী খামার
      • অন্যান্য কৃষি পন্য
        • হাঁসের বাচ্চা
        • মুরগির বাচ্চা
    • কৃষি মেশিনারিজ
      • কৃষি যন্ত্রপাতি
        • খুচরা যন্ত্রপাতি
    • ভিডিও গ্যালারী
    • ট্রেনিং
      • বায়োফ্লোক অনলাইন কোর্স
      • বায়োফ্লোক PDF বই
      • বায়োফ্লক অফলাইন কোর্স
      • Dashboard
    • ব্লগ