Store Location
  • 01908597470 / 01908597471
  • Offers
  • Help
  • BDT
    • BDT
    • USD
    • EUR
  • Sign in
  • কেনাকাটা
    • বায়োফ্লক
      • তারপলিন (ত্রিপল)
      • এয়ার পাম্প
      • মিটার
      • অন্যান্য সরঞ্জামসমূহ
    • অন্যান্য মেশিনারিজ
    • ছাদ কৃষি
    • জৈব সার
    • নার্সারী
      • ইনডোর প্লান্ট
      • ফলজ বৃক্ষ
      • ফুল গাছ
      • শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষ
    • বীজ
      • বীজ প্যাকেজ
    • বীষমুক্ত খাবার
      • গুড়
      • ফল
    • মাছের পোনা
      • ক্যাট ফিস
      • বাংলা মাছ
    • মাশরুম
    • অন্যান্য কৃষি পন্য
      • হাঁসের বাচ্চা
      • মুরগির বাচ্চা
  • কৃষি মেশিনারিজ
    • কৃষি যন্ত্রপাতি
  • ভিডিও গ্যালারী
  • ট্রেনিং
    • বায়োফ্লোক অনলাইন কোর্স
    • বায়োফ্লোক PDF বই
    • বায়োফ্লক অফলাইন কোর্স
    • Dashboard
  • ব্লগ

My Cart0

৳ 0
There are 0 item(s) in your cart
Subtotal: ৳ 0
View Cart
Check Out
  • Home
  • Archives for administrator

Categories

  • অন্যান্য (1)
  • উদ্ভিদ (2)
  • কৃষি খবর (1)
  • গরু পালন (10)
  • গাছপালা (43)
  • চাষাবাদ (43)
  • ছাগল পালন (4)
  • ছাদ বাগান (6)
  • জৈব সার (15)
  • পাখি পালন (26)
  • পুষ্টিগুন (9)
  • প্রশ্নোত্তর (29)
  • ফল (46)
  • ফসল (2)
  • ফসলের রোগ বালাই (3)
  • ফুল (30)
  • বায়োফ্লক প্রযুক্তি (5)
  • বীজ (42)
  • বীজ|শাঁক (1)
  • ভেষজ বা ঔষধি (70)
  • মসলা (6)
  • মাছ চাষ (32)
  • মাশরুম চাষ (7)
  • মাশরুম চাষ|মাশরুমের রান্নাবান্না (2)
  • মাশরুমের রান্নাবান্না (23)
  • মুরগি পালন (5)
  • রান্নাবান্না (72)
  • শাঁক (9)

BEST SELLERS

কোকো পিট ব্লক

৳ 250

এয়ার পাইপ

৳ 4

ভার্মি কম্পোষ্ট কেঁচো সার

৳ 25 ৳ 20

বায়োফ্লোক

৳ 3,000 ৳ 1,000

Author Archives: administrator

জানুন মেঝে পদ্ধতিতে মুরগি পালনের সুবিধা অসুবিধা

Post By: administrator May 18, 2020 0 Comment
 
আয় বৃদ্ধি ও পারিবারিক পুষ্টির নিশ্চয়তা বিধানে মুরগী প্রতিপালন বিশেষ অবদান রাখতে পারে । আমরা সবাই বলে থাকি  মুরগির উৎপাদন কম । কিন্তু বিভিন্ন পর্যায়ে বিশেষ লক্ষ্য এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করে  মুরগীর উৎপাদন দ্বিগুনের ও বেশী পাওয়া সম্ভব। আজকের লেখায় মুলত আমরা আপনাদের মুরগী পালনের কথা নয় জানাবো মেঝে পদ্ধতিতে মুরগি পালনের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে।
 
আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মেঝে পদ্ধতিতে মুরগি পালনের সুবিধা অসুবিধাঃ
 

মেঝে পদ্ধতিতে মুরগি পালনের সুবিধাজনক বিষয়ঃ-

১) মেঝে পদ্ধতির প্রাথমিক ব্যয় কম।
২) বিভিন্ন প্রয়োজনে (প্রতিষেধক প্রদান) মুরগী ধরা সহজ।
৩) মুরগির Perch এ ঊঠার সুবিধা প্রদান করা যায়।
৪) মুরগির Collective feeding অভ্যাসকে বজায় রাখার ব্যবস্থা থাকে।
৫) দীর্ঘদিন পর লিটার পরিষ্কার করা হয় বিধায় শ্রমিকের সাশ্রয় হয়।
৬) মুরগি পর্যবেক্ষন করতে সুবিধা হয়।

মেঝে পদ্ধতিতে মুরগি পালনের অসুবিধজনক বিষয়ঃ-

১) রোগ জীবানুর সংস্পর্শে আসার আশংকা বেশি।
২) লিটারে এমোনিয়া গ্যাস উৎপন্ন হতে পারে।
৩) লিটারে ধুলাবালি থেকে শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত রোগ সংক্রমিত হতে পারে।
৪) মুরগির ঘরের যন্ত্রপাতি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে শ্রমিক ব্যয় বেশি হয়।
৫) খাদ্য ও পানি প্রদানে বেশি সময় লাগে।
৬) খুব বেশি (১০০০) সংখ্যক মুরগি একই মেঝেতে রাখলে ঠুকরা ঠুকরির অভ্যাস হতে পারে।

0
0
Read More

মাঁচা পদ্ধতিতে মুরগি পালন পদ্ধতি

Post By: administrator May 18, 2020 0 Comment
 

যারা নতুন করে মুরগীর খামার গড়তে চাচ্ছেন তাদের খামার শুরু করার পূর্বে প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে মুরগীর খামার গড়তে সঠিক স্থান নির্বাচন কৌশল প্রথমেই জানা উচিত। কারন একটি খামার গড়ার পূর্ব সর্ত হোল ভাল একটি স্থান নির্বাচন করা। তাইতো আজকের লেখায় আমরা আপনাদের জানাবো মাঁচা পদ্ধতিতে মুরগি পালন পদ্ধতি।

আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মাঁচা পদ্ধতিতে মুরগি পালন পদ্ধতিঃ


১) যে সব এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে বা মাটি অধিক আদ্র থাকে সেই সব এলাকাতে মাঁচা পদ্ধতিতে মুরগি পালন করা উচিৎ।

২) বাঁশ বা কাঠ দিয়ে সহজেই মাঁচা তৈরি করা যায়।

৩) মাঁচার বাঁশ বা কাঠের বাতা ১ ইঞ্চি ১-২ সেঃ মিঃ করে ফাকা রাখা হয় যাতে মুরগির বিষ্টা সহজেই নিচে পড়ে যেতে পারে।

৪) মাঁচার উচ্চতা মাটি থেকে ২.৫-৩.০ ফুট হতে হবে যাতে করে মাঁচার নীচ দিয়ে বাতাস প্রবাহিত হয়ে মুরগির বিষ্টা শুকাতে পারে।

৫) মাঁচা পদ্ধতিতে উলম্ব এবং আড়াআড়ি বাতাস প্রবাহের কারনে ঘরে স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ বজায় থাকে এবং মুরগি আরাম বোধ করে।

৬) মাঁচা পদ্ধতিতে লিটার দ্রব্যের দরকার হয় না এবং রোগ ব্যাধিও কম হয়।

৭) মাঁচা সপ্তাহে অন্তত একবার পরিষ্কার করে জীবানুনাশক দিয়ে মুছে দিতে হবে।

৮) মাঁচায় ময়লা কোন আধা ধারালো জিনিশ দিয়ে চেঁছে ফেলে দিতে হবে।

৯) মাঁচার নিচে মেঝে পাকা করা উচিৎ, এতে লিটার সরানো সুবিধাজনক এবং পোকা কম হয়।

১০) মাঁচা পদ্ধতিতে মুরগি পালনের ক্ষেত্রে মাঁচার নীচের বর্জ্য পদার্থ নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে এবং চুন ছিটিয়ে দিয়ে মাটি জীবানুমুক্ত করতে হবে।

১১) ৫০০ মুরগি পালনের জন্য উপযোগী ঘরের মাঁচার নীচে ৩০-৩৫ কেজি চুন ছিটিয়ে জীবানুমুক্ত করতে হবে।

0
0
Read More

এই সময়ে ওজন কমাতে নিয়া-জিরা-মৌরির পানীয়

Post By: administrator May 18, 2020 0 Comment

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকারে চলমান লকডাউনের মাঝে অনেকেরই হু হু করে বাড়ছে ওজন। আপনিও যদি এই একই সমস্যায় ভোগের তবে ধনিয়া, জিরা ও মৌরি ভেজানো পানি খান। কয়েকদিন খেলেই ফলটা হাতেনাতে পাবেন। দেখবেন কমতে শুরু করেছে ওজন। এই তিন মসলা ভেজানো পানি খেলে আপনার শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যাবে। এতে যে শুধু ওজন কমাতেই সক্ষম হবেন তা নয়, সঙ্গে পাবেন উজ্জ্বল ও সতেজ ত্বক।

আসুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক এই সময়ে ওজন কমাতে নিয়া-জিরা-মৌরির পানীয় তৈরি রেসিপিঃ

উপকরণঃ
১। আধা চামচ জিরা
২। আধা চামচ ধনিয়া
৩। আধা চামচ মৌরি
৪। লেবুর রস
৫। মধু।

প্রস্তুত প্রণালীঃ
১। প্রতি রাতে এক গ্লাস পানিতে আধা চামচ জিরা, আধা চামচ ধনিয়া ও আধা চামচ মৌরি ভিজিয়ে রাখুন। সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন।
২। পরদিন সকালে ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে পানি ছেঁকে নিন।
৩। এই পানি লেবুর রস (অর্ধেক), সামান্য লবণ ও মধু মিশিয়ে নিন। আপনার যদি গ্যাসের সমস্যা থাকে তাহলে আপনি লেবুটা না দিলেও পারেন।
ধনিয়া-জিরা-মৌরি মেশানো পানি আপনার শরীরের এনার্জি বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে, সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে এই পানি পান করুন এবং সুস্থ থাকুন।

0
0
Read More

জেনে নিন কেমিক্যালে পাকানো আম চেনার উপায়

Post By: administrator May 18, 2020 0 Comment
আম খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। তবে এখন যে আম পাওয়ার কথা তা হলো কাচা। অনেক ব্যবসায়ীরা আছেন যারা অধিক লাভের আশায় অপরিপক্ক আম বিক্রি করেন অনেক ব্যবসায়ী। গাছপাকা না হওয়ায় আমগুলো পাকানো হয় রাসায়নিক দিয়ে।ক্যালসিয়াম কার্বাইড, অ্যাসিটিলিন গ্যাস, কার্বন-মনোক্সাইডের মতো রাসায়নিকগুলো ব্যবহার করে কাঁচা আম ও অন্যান্য কাঁচা ফল পাকানো হয়। রাসায়নিকগুলো এতটাই ক্ষতিকারক যে, ফলের মাধ্যমে তা শরীরে গেলে ত্বকের ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, জরায়ুর ক্যান্সার, লিভার ও কিডনির সমস্যা, মস্তিষ্কের ক্ষতির মতো মারাত্মক রোগ হওয়ার ঝুঁকি দেখা যায়।তাইতো আজকে জানবো কেমিক্যাল দিয়ে পাকা আম চেনার উপায়।

১। ফলের চেহারা হবে উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয়।কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আমের সবদিকটাই সমানভাবে পাকবে কিন্তু গাছ পাকা ফলের সবদিক কখনোই সমানভাবে পাকে না।
রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ফলে স্বাভাবিক পাকা ফলের মতো মিষ্টি গন্ধ থাকে না।
২। প্রাকৃতিকভাবে পাকা ফলের চামড়ার ওপর এক ফোঁটা আয়োডিন দিলে তা গাঢ় নীল অথবা কালো বর্ণের হয়ে যাবে। কিন্তু ক্যামিকেল দ্বারা পাকানো ফলে আয়োডিনের রং অপরিবর্তিত থাকে।
এছাড়াও ফলের মৌসুমের আগে ফল কিনবেন না। কারণ, সময়ের আগে প্রাপ্ত ফলগুলি ক্যামিকেল দিয়ে পাকানো হয়ে থাকে।

0
0
Read More

মাল্টা গাছের রোগ ও তার প্রতিকার

Post By: administrator May 18, 2020 0 Comment

মাল্টা গাছের রোগ ও তার প্রতিকার

রোগের নামঃ মাল্টার পাতা সুড়ঙ্গকারী পোকা

লক্ষণঃ মালটার পাতার ছোট সুড়ঙ্গকারি পোকা কীড়া অবস্থায় বেশি ক্ষতি করে থাকে । এই পোকার কীড়া রাতের বেলা মাল্টা গাছের কচি পাতায় গর্ত খুঁড়ে আঁকা-বাঁকা দাগের সৃষ্টি করে । আক্রান্ত পাতা কুঁকড়ে যায় ।

ব্যবস্থাপনাঃ
১। শীতের সময় বিশেষ করে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আক্রান্ত পাতা ছাঁটাই করে পুড়িয়ে দিতে হয় । ২। প্রতি লিটার পানিতে ১২০ মিলিলিটার নিমের খৈলের নির্যাস বা নিম তেল মিশ্রিত করে আক্রান্ত গাছে ভাল ভাবে পাতা ভিজিয়ে স্প্রে করে এই পোকা দমন করা যায় । ৩। ১০-২০লিটার পানিতে ১ কেজি নিমের খৈল মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর স্প্রে করলে এ পোকা দমন হয় । ৪। তামাক নির্যাস ও সাবান গোলা পানি স্প্রে করে দিলেও এ পোকা দমন হয় । ৫। আক্রমণ বেশি হলে এ পোকা দমনের জন্য কারটাপ গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ইটাপ ৫০ এসপি ১.২০ গ্রাম হারে প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে ।

রোগের নামঃ মাল্টা গাছের লিভমাইনার পোকা

লক্ষণ ও প্রতিকারঃ লিভ মাইনার মাল্টা গাছে একটি মারাত্মক ক্ষতি কারি পোকা । এ পোকা আক্রমণ করে গাছের ছোট এবং কচি সবুজ পাতা খেয়ে ফেলে। এছাড়া এটি ফলের উপর আঁকা বাঁকা সূরঙগের মত দাগ সৃষ্টি করে। প্রথম অবস্থায় আক্রমণ কৃত পাতা গুলো ছিড়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। হলুদ ফাঁদ তৈরি করে এই পোকা দমন করা সম্ভব। কিন্তু আক্রমণের পরিমাণ অতিরিক্ত বেশি হলে লিফ মাইনার পোকা দমন করতে কিনালাক্স ২ এমএল প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। এই ওষুধ টি প্রতি ১৫ দিন অন্তর অন্তর গাছে স্প্রে করলে এধরনের পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

রোগের নামঃ মাল্টা গাছের ডাম্পিং অফ রোগ

লক্ষণ ও প্রতিকার ঃ মাল্টা গাছে ড্যাম্পিং অফ রোগ হলে গাছের গোড়া পচে যায়। এটি মূলত বর্ষার সময় দেখা যায়। এছাড়া অতিরিক্ত পানি সেচ দেয়ার কারণে অনেক সময় এ সমস্যাটি হয়ে থাকে। এটি দূর করতে রেডোমিল্ড গোল্ড ২ গ্ৰাম ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে গাছের গোড়ায় স্পে করতে হয়।

রোগের নামঃ মাল্টা গাছের গেমোসিস রোগ

লক্ষণ ও প্রতিকারঃ গেমোসিস রোগ হলে গাছের কান্ড ও পাতা বাদামি বর্ণ ধারণ করে। গাছের কান্ড মাঝ বরাবর ফেটে যায়। ও সেখান দিয়ে কস বের হতে থাকে। এ রোগটির অতিরিক্ত প্রাদুর্ভাব এর ফলে গাছটি উপর থেকে কান্ড শুকিয়ে মারা যেতে থাকে। মাল্টা গাছে গেমোসিস রোগ দেখা দিলে আক্রান্ত ডালের অংশটি কেটে ফেলে দিতে হবে এবং কাটা অংশে বোর্দো পেস্ট এর মিশ্রণ লাগিয়ে দিতে হবে। বোর্দো পেস্ট তৈরি করার জন্য ১৪০ গ্রাম চুন ও ৭০ গ্ৰাম তুতে আলাদা আলাদা পাত্রে নিয়ে পরবর্তীতে 1 লিটার পানির সাথে মিশিয়ে নিন।

0
0
Read More

ডালিয়া ফুল চাষ

Post By: administrator May 18, 2020 0 Comment
ডালিয়া ফুল চাষ
 
ডালিয়া এক ধরনের গুল্মজাতীয়, কন্দযুক্ত, সপুষ্পক ভেষজ বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ যা মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকায় জন্মায়। ডিকোটাইলেডোনাস (dicotyledonous) উদ্ভিদের অস্টেরেসি (Asteraceae) (পূর্বে কম্পোজিটি (Compositae)) পরিবারের সদস্য হিসাবে বাগানে সূর্যমুখী, ডেইজি, চন্দ্রমল্লিকা এবং জিনিয়া ফুলের পাশাপাশি ডালিয়ার চাষ করা হয়। শীতকালীন মৌসুমী ফুলের মধ্যে ডালিয়াই সর্ববৃহৎ আকার ও আকর্ষণীয় রঙের ফুল। ডালিয়ার ৪২টি প্রজাতি রয়েছে, সাধারণত সংকর প্রজাতিগুলি বাগানের গাছ হিসাবে দেখা যায়। ডালিয়া ফুলের গঠন পরিবর্তনশীল, যেখানে প্রতি ডাঁটায় একটি করে মাথা থাকে, এগুলি ৫ সেমি (২ ইঞ্চি) ব্যাসের মতো বা ৩০ সেমি (১ ফু) (“ডিনার প্লেট”) পর্যন্ত হতে পারে।


১৯৬৩ সালে ডালিয়া মেক্সিকোর জাতীয় ফুল হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। ডালিয়া ফুলের কন্দগুলি আজটেকদের খাদ্য শস্য হিসাবে জন্মেছিল, তবে স্প্যানিশ বিজয়ের পরে এই প্রচলন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কমে গিয়েছিল। ইউরোপে খাদ্য শস্য হিসাবে ডালিয়ার কন্দগুলি প্রবর্তনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল।

ভৌগলিক অবস্থা
এ ফুলের আদি বাসস্থান মেক্সিকোর গুয়াতেমালায়। বাংলাদেশের খুবই জনপ্রিয় ফুল।

 
জাত

ডালিয়ার ১০ টি শ্রেণীর আওতায় এর প্রচুর জাত রয়েছে। ডালিয়ার উন্নত জাতের মধ্যে রয়েছে সিঙ্গল আমাদের দেশে শীতে অনেক বাগানে দেখা যায়। এছাড়াও আছে স্টার, অ্যানেমিন ফাওয়ার্ড, কলারেট, পিওনি ফাওয়ার্ড, ফরমাল ডেকোরেটিভ ইত্যাদি।
ডেকোরেটিভ ডালিয়া
ফুল সজোর, পাপড়িগুলো চ্যাপ্টা হয়, মাঝখানের চাকতিটি প্রায় দেখাই যায় না। এদের বড় জাতের ফুল ২০ সেমির বেশি চওড়া, মাঝারিগুলি ১৫-২০ সেমি চওড়া, ছোটগুলি ১৫-১০ সেমি।

 

ক্যাকটাস ডালিয়া

ফুল সজোর, মাঝখানের চাকতিটি ঢাকা থাকে প্রান্ত- পুষ্পিকাগুলি সোজা, বিকীর্ণ, কিছুটা মোরানো বা তারার মত। বড় জাতের ফুল ২০ সেমি চওড়া, মাঝারিগুলি ১৫-২০ সেমি চওড়া, ছোটগুলি ১০-১৫ সেমি।
 
মাটি ও জলবায়ু : সুনিষ্কাশিত উর্বর দোআঁশ মাটি বা বেলে দোআঁশ প্রকৃতির ঈষৎকার মাটি ডালিয়া চাষের জন্য উত্তম। ছায়াযুক্ত স্থানে গাছ দুর্বল ও লম্বা হয়, ফুল কম ও ছোট হয় এবং রঙের ঔজ্জ্বল্য হ্রাস পায়। ফলে পর্যাপ্ত সূর্যালোক পায় এমন জমিতে ডালিয়ার চাষ করতে হবে। ডালিয়া বৃপ্রেমীরা যারা চাষ করবেন তাদেরকে আবহাওয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। যে দিন বৃষ্টি হবে সে দিন থেকে যত দিন পর্যন্ত মাটি স্যাঁতসেঁতে থাকবে তত দিন পানি দেয়ার দরকার নেই। আবার গরমের সময়ে মাটি যখন শুকনো হয়ে ওঠে তখন পানির পরিমাণ বাড়িয়ে মাটি আর্দ্র করে তুলতে হবে। কারণ ডালিয়াগাছের জন্য আর্দ্র মাটি প্রয়োজন। তবে মাটি বেশি ভিজে কাদাকাদা হয়ে গেলে তা গাছের পে তেমন উপকারী হবে না, টবের গাছের ক্ষেত্রে সেই ব্যবস্থা করা উচিত। বৃষ্টির সময়ে গাছের ওপর ছাউনি দিতে পারলে ভালো কিংবা কোনো ছাউনির নিচে রাখলে গাছ নিরাপদে থাকবে। টবের গাছের ক্ষেত্রে প্রতিদিন নিয়ম করে পানি দিয়ে মাটিকে আর্দ্র রাখা উচিত।
 

বংশ বিস্তার : ডালিয়া বীজ, মূলজ কন্দ, ডাল কলম এবং ত্রেবিশেষে জোড় কলমের সাহায্যে বংশ বিস্তার করে। মূলজ কন্দ ও ডাল কলম থেকে চারা তৈরির পদ্ধতি হলো ডালিয়াগাছের গোড়ায় জন্মানো মূলজ কন্দ পরবর্তী বছর চারা তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। ফাল্গুন-চৈত্র মাসে ফুল শেষে গাছ নিস্তেজ হয়ে পাতা ও ডাঁটা শুকিয়ে আসলে কন্দ পরিপক্ব ও সংগ্রহ উপযোগী হয়। মাটির নিচ থেকে অত অবস্থায় কন্দ তুলে দু-এক দিন বাতাসে শুকিয়ে আলুর মতো শুষ্ক বালুতে সংরণ করতে হয়। অতঃপর ভাদ্র-আশ্বিন মাসে কন্দগুলোকে অর্ধেক মাটি ও অর্ধেক বালু মিশ্রিত বীজতলা বা টবে রোপণ করে সামান্য পানি সিঞ্চন করলে কয়েক দিনের মধ্যে কন্দের চোখ থেকে নতুন চারা বের হয়। চারা দুই থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার লম্বা হলে মূলজ কন্দটিকে চারাসহ কেটে টুকরো করে নির্ধারিত জমিতে বা টবে রোপণ করা চলে। অপর দিকে আশ্বিন থেকে অগ্রহায়ণ মাসে ডালিয়ার ডাল কলম করা যায়। এ সময়ে মূলজ কন্দে জন্মানো কচি চারা বা ডাল থেকে গিটসহ কেটে বা ভেঙে নিতে হয়। তা ছাড়া পুষ্ট কন্দ বা কাণ্ডের পাশে জন্মানো ১৫-২০ সেন্টিমিটার লম্বা পুষ্ট ডাল ও গিটসহ সংগ্রহ করা চলে।

সার প্রয়োগ : বাংলাদেশের পরিবেশে আশ্বিন থেকে অগ্রহায়ণ পর্যন্ত সময়ে জমিতে কিংবা টবে ডালিয়ার চারা রোপণ করা যায়। ডালিয়ার মাটি গভীরভাবে নরম ও ঝরঝরে করে তৈরি করতে হয়। প্রতি ১০০ বর্গ মিটার জমিতে ২০০ কেজি গোবর, তিন কেজি কাঠের ছাই ও দুই কেজি টিএসপি সার মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হয়। ভারী মাটিতে গোবরের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়া উত্তম। টবে ডালিয়া চাষের জন্য ২ ভাগ দোআঁশ মাটি, ২ ভাগ বালি, ২ ভাগ কাঠের ছাই, ১ ভাগ পাতা পচা সার, ১ ভাগ গোবর, ১ ভাগ খৈল ও ১ ভাগ টি এস পি সার মিশিয়ে মাটি তৈরি করতে হয়।

চারা রোপণ ও পরিচর্যা : ডালিয়া চাষের জমিতে জাত ভেদে ৬০ থেকে ৯০ সেন্টিমিটার দূরত্বে সারিবদ্ধভাবে আর প্রতি টবে একটি চারা রোপণ করতে হয়। টবের আকার ২৫ সেন্টিমিটার হলে ভালো হয়। চারা লাগানোর পর থেকে গাছে এমনভাবে সেচ দিতে হয় যাতে কখনো পানির ঘাটতি না পড়ে ও জলাবদ্ধতা দেখা না দেয়। ডালিয়াগাছে সাধারণ রেড স্পাইডার ও রেড মাইভ ধরনের পোকা হয়। এই পোকা থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় হলো প্রতি সপ্তাহে নিয়ম করে ক্যালিথিন বা নোবাকন নামে ওষুধের ২০ ফোঁটা এক লিটার পানিতে ভালো করে গুলিয়ে সেই মিশ্রণ দিয়ে ঝারির সাহায্যে গাছগুলোকে ভিজিয়ে দেয়া যায়, তাহলেই এ ধরনের পোকার আক্রমণ থেকে গাছকে রা করা সম্ভব হবে। ।

0
0
Read More

কলকে ফুল

Post By: administrator May 18, 2020 0 Comment

কলকে ফুল
কলকে বা হলদে করবী বা পীতকরবী (বৈজ্ঞানিক নাম: Thevetia peruviana) এপোসিনাসি পরিবারের একটি উদ্ভিদ প্রজাতি। ওয়েস্ট ইন্ডিজে পীতকরবীর ফল ‘লাকি নাট’ নামে পরিচিত। সমবৈজ্ঞানিক নামের ‘থিভেটিয়া’ শব্দ থেকে বোঝা যায় এর আদি নিবাসের কথা। ষোড়শ শতাব্দিতে ফরাসী দরবেশ ও উদ্ভিদ সংগ্রাহক ‘আঁদ্রে থিভেট’ একে আবিষ্কার করেন দক্ষিণ আমেরিকায়, হয়ত পেরু অঞ্চলে, যেকারণে বৈজ্ঞানিক নামের এপিথেট-এ উল্লেখ করা হয় ‘পেরুভিয়ানা’।
ফুল দেখতে হুঁকার কল্কের মতো, তাই সহজভাবেই বাংলায় এর এক নাম হয়েছে কল্কে। কেউ কেউ একে কল্কা ফুল বলে থাকেন যা হয়ত কল্কে নামেরই ঈষৎ রূপান্তর।
রোপণের জায়গাঃ কলকে গাছ ছোট বৃক্ষের উচ্চতাসম্পন্ন বলে পৃথিবীর নানা দেশে একে রাস্তার পাশে, বাগানে ও পার্কে ভূদৃশ্যের জন্য লাগানো হয়। এই ফুলের ঘ্রাণ তীব্র না হলেও হাজারটা ফুল থেকে স্বতন্ত্র।

গাছের গঠন: সারা বছর সবুজ পাতায় ঢাকা থাকে। কাণ্ডগোল,মসৃণ, হালকা ধুসর,নরম,অগুনতি শাখায় ছাড়ানো ছিটানো। ছোট খাটো গাছ। উচ্চাতায় ১ মিটার পর্যন্ত হয়। ডাল কাটলে বা ভাঙ্গে সাদা সাদা দুধের ন্যায় কষ বের হয়। দুধ গুলো আটালো।

পাতা: কলকের পাতা চিকন ও সরু। লম্বায় ১০ থেকে ১৫ সে.মি. পর্যন্ত,চওড়ায় ২ সে.মি.পর্যন্ত। রঙ ঘন সবুজ। বোটাঁ ছোট। পাতা সরু ছুরির মত শেষ প্রান্ত সুচালো। ঘনভাবে সুবিন্যাস্ত।

ফুল: কলকের নাম হলদে কলকে হলেও এর ফুল শুধু হলুদ না হয়ে সাদা গোলাপি,হালকা লাল হয়। ফুল কলকির মত দেখতে। লম্বায় ১০ সে.মি.। কলকে গাছের শাখার মাথায় ফুল ধরে। বৃতি গুলো একটার সাথে আর একটা লাগানো। সবুজ। লম্বায় ৩ সে.মি.। দল গুলো ৫ সে.মি. লম্বায়। প্রত্যেকটির সাথে প্রত্যেকটি যুক্ত। ফুলের পাপড়ি ৫ টি। পাপড়ি গুলো প্যাচাঁনো থাকে একটার সাথে একটা।,নলাকৃতি। ফুলে মধু থাকে।

ফল: ফল জোড়ায় জোড়ায় ফল ধরে। ফলের দুই প্রান্ত ঢালু তবে মধ্যখানে ফুলে ওঠা উঁচু থাকে। অনেকটা ডিমের মত। ফল ফ্যাকাসে হলদে। ডিমের ভেতর বীজ থাকে। প্রতি ফলে ২ টি বীজ থাকে। বীজ থেকে বংশ বিস্তার। বীজ অত্যন্ত বিষাক্ত। বীজ পাকলে ফ্যাকাসে বাদামী হয়।

উপকারী অংশ: কলকের ছাল,পাতা ও বীজ। ছালে কার্ডিওএকটিভ,গ্লাইকোসাইড থাকে। পাতা ও বীজে গ্লাইকোসাইড রয়েছে।

বিষাক্ত অংশঃ এই গাছের বাকল, বীজ ও কষ বিষাক্ত। বিষক্রিয়ার ধরন হচ্ছে ফল মারাত্মক অবসাদক, পঙ্গুত্ব আরোপক ও ঘাতক।

ব্যবহার: ছাল ও বীজে কর্ডিয়াক টনিক ও কাডর্য়িাক স্টিমুলেন্ট হিসাবে ব্যবহার করা হয়। শক্তিশালী রেচক । পাতাতেও একই ধরনের গুণাগুণ রয়েছে। বীজ অত্যন্ত বিষাক্ত।বীজ ব্যবহার করে গর্ভবতী মায়েদের গর্ভপাত ঘটানো যায়। বাতরোগে ও পা ফোলা রোগে কয়েকটি বীজ বেটে পেস্ট তৈরী করে আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত কয়েকদিন লাগালে পা ফোলা ও বাতরোগ ভালো হয়।

0
0
Read More

ডায়াবেটিস এ তেজপাতার স্বাস্থ্যগুণ

Post By: administrator May 18, 2020 0 Comment

ডায়াবেটিস এ তেজপাতার স্বাস্থ্যগুণ

ডায়াবেটিস কখনও ভালো হয় না। তবে এইরোগ নিয়ন্ত্রণে রাখলে ভালো থাকা যায়। ডায়াবেটিস ধরা পড়লে অনেকেই আতঙ্কিত হন। তবে আপনি জানেন কী আপনার হাতের কাছেই আছে একটি পাতা। যা আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করবে। রান্নার স্বাদ বাড়াতে তেজপাতা ব্যবহার করা হলেও ডায়াবেটিস কমাতেও তেজপাতা খুবই উপকারি। এছাড়াও তেজপাতার রয়েছে হাজারও গুণ।

আসুন তাহলে এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তেজপাতার স্বাস্থ্যগুণঃ

হজমশক্তি বাড়ায়: তেজপাতা শরীরের হজমপ্রক্রিয়াকে দ্রুত করার মাধ্যমে খাবারের পুষ্টি উপাদানগুলো ভালোভাবে পরিপাক করতে সহায়তা করে। পেটফাঁপা, বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া ইত্যাদির চিকিৎসায় তেজপাতা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তেজপাতার মাধ্যমে খাবারে ঝালভাব এনে রুচি বর্ধণ করার ক্ষেত্রে উপকারী।

সর্দিকাশি বা ফ্লু এড়াতে: তেজপাতার ‘অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল’ উপাদান শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন প্রদাহ কামাতে সহায়ক। সর্দিকাশি, কফ এবং ফ্লু থেকে মুক্তি পেতে তেজপাতা সিদ্ধ করে খেতে কিংবা বুকে মাখা যেতে পারে।

 

শরীরের বিভিন্ন ব্যথা কমাতে: শরীরের বিভিন্ন ধরণের ব্যথা বা ফুলে যাওয়া উপশম করতে তেজপাতার এসেনসিয়াল অয়েল বেশ উপকারী। ব্যথাযুক্ত জোড়া কিংবা টান পড়া মাংসপেশিতে তেলটি মালিশ করতে পারেন। মাথাব্যথা বা মাইগ্রেইনের ব্যথা সারাতেও এই তেল ব্যবহার করা যায়।

ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং কিডনিতে পাথর হওয়া রুখতে: কিডনির বিভিন্ন প্রদাহ রুখতে তেজপাতা পানিতে সিদ্ধ করে খেলে উপকার মিলবে। যাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা আছে তাদের জন্যও এটি বেশ উপকারী।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে: তেজপাতার মাধ্যমে ঝালভাব আনা স্বাস্থ্যকর রান্নার পদগুলো খাওয়ার মাধ্যমে কমতে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি। কারণ তেজপাতায় থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপদান স্বাস্থ্য এবং হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে।

0
0
Read More

বেগুনের মড়ক রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি

Post By: administrator May 18, 2020 0 Comment

বেগুনের মড়ক রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি

বেগুনের গুণ অনেক। বেগুন বাজারে দু’রকম রঙের পাওয়া যায়। সাদা ও বেগুনি। বেগুনি বা কালো বেগুনের গুণ তুলনামূলকভাবে বেশি। বেগুন যত কচি হবে সেই বেগুন তত গুণসম্পন্ন। কচি বেগুন নিয়মিত খেলে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। তবে। বেগুনের উপকারিতা বহু। চিকিৎসকদের মতে, বসন্তকালে বেগুন খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে যথেষ্ট জরুরি। বেগুনে কফ নাশ হয়। হিং ফোড়ন দিয়ে বেগুনের তরকারি তেল দিয়ে রান্না করে খেলে গ্যাসের রোগীরা উপকার পাবেন। এছাড়া, বেগুন মূত্রবর্ধক। বেগুন মধুর, তীক্ষ্ম ও উষ্ণ। পিত্তনাশক, জ্বর কমায়। খিদে বাড়ায়। পরিপাক করা সহজ এবং পুরুষত্ব বৃদ্ধি করে। সুকোমল বেগুন সম্পূর্ণ নির্দোষ। শরীরে মেদ বৃদ্ধি রোধ করে। যাঁরা মোটা হতে চান না, তাঁদের পক্ষে বেগুন অত্যন্ত কার্যকরী সবজি। তবে এই ফসলটি চাষ করতে গিয়ে বেগুনে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এর মধ্যে বেগুনের একটি মারাত্মক ছত্রাক জনিত রোগ হল ‘মড়ক’। এ রোগের আক্রমণে ফলন কম হওয়ার পাশাপাশি বড় ধরণের ক্ষতিও হয়ে থাকে।আজকের লেখায় জানবো বেগুনের মড়ক রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা সমন্ধে।

Phomophsis blight/Fruit Rot: বাংলায় বলা হয় মড়ক রোগ। বেগুন গাছে হয়ে থাকে এই রোগ। Causal Organism : Phomopsis vexans নামের ছত্রাকের আক্রমণে এই রোগ হয়।

লক্ষণ: চারা গাছ মাটিতে নেতিয়ে পড়ে(damping off) এবং বড় গাছে ক্যাঙ্কার /ক্ষত সৃষ্টি করে।আক্রান্ত গাছ মরে যায় এবং ফল এ পচন দেখা যায়।

পাতা যে কোন সময় আক্রান্ত হতে পারে।সাধারণত নিচের পাতায়  প্রথম দাগ দেখা যায়,দাগ গুলো স্পষ্ট গোলাকার ও ধূসর বাদামি রঙ ধারণ করে।দাগের কেন্দ্রস্থল কিছুটা হাল্কা রঙের হয়।অনেক সময় কালোকালো পিকনিডিয়া দেখা যায়।আক্রান্ত পাতা ধীরে ধীরে মরে যায়।

কান্ডের গোড়ায় ক্যাংক্যার সৃষ্টি হয়।মাঝে মাঝে বাকল খসে পড়ে এবং কান্ডের টিস্যু অনাবৃত অবস্থায় থাকে। আক্রান্ত ফলের গায়ে হাল্কা দাগ দেখা যায় এবং পিকনিডিয়া দেখা যায়, রোগের কারণে ফল সম্পূর্ণ শুকিয়ে মামী(Mummy)  তে পরিণত হয়।

phomopsis ছত্রাক  বীজ ও আক্রান্ত গাছে বছরের পর বছর বেঁচে থেকে। ছত্রাক ২১-৩২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ও স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় খুব দ্রুত বাড়ে।

রোগ নিয়ন্ত্রণের উপায়:  ১. রোগ মুক্ত বীজ সংগ্রহ, ২.সুস্থ ও নীরোগ বেগুনের এর ক্যালিক্স মারকিউরিক ক্লোরাইড সলিউশনে (২৯ গ্রাম ৩৭ লিটার পানিতে নিয়ে) ২০ মিনিট ডুবিয়ে বীজ সংগ্রহ করা যায়। ৩.Ziram / Captan  চারা গজানোর পর  বীজতলায় ছিটালে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

0
0
Read More

বাড়ির আঙ্গিনায় বা উঠোনে শাপলা চাষ পদ্ধতি

Post By: administrator May 16, 2020 0 Comment

বাড়ির আঙ্গিনায় বা উঠোনে শাপলা চাষ পদ্ধতি

বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৮০ ধরণের শাপলা আছে। তবে আমাদের দেশে সাদারণত সাদা শাপলা চাষ করা হয়। এছাড়াও আপনি বাড়িতে নীল শাপলা, বেগুনী শাপলা, লাল শাপলা, ইত্যাদি চাষ করতে পারেন।ভাবছেন বাড়ির আঙ্গিনায় কিভাবে শাপলা চাষ করবেন? চিন্তা নেই সেই পদ্ধতি আজকের লেখায় আমরা আপনাদের জানাবো।

আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক বাড়ির আঙ্গিনায় বা উঠোনে শাপলা চাষ পদ্ধতিঃ
শাপলা চাষ/রোপনের সঠিক সময়ঃ

শাপলা মূলত জলজ উদ্ভিদ। এদেরকে গ্রীষ্মের শুরুতে লাগাতে পারলে মধ্য বর্ষায় ফুল পাবেন। শাপলার বীজ লাগানোর ক্ষেত্রে আপনাকে শাপলার গোড়ার দিকের শালূক সংগ্রহ করতে হবে। এরপর উক্ত শালূক উপযুক্ত টবের মাটিতে পুতে দিতে হবে এবং পানির পরিমাণ সঠিক মাপে দিতে হবে।

যেভাবে বানাবেন ছোট্ট পুকুরঃ
** শেকড়সহ শাপলা গাছ পুকুর-জলাশয় থেকে তুলে নিন।
** মাটির বড় মালশা বা হালিমের মাটির বড় হাড়ি নিন(প্রায় ৬ লিটার পানি ধরে এমন), তাতে বেলে দোয়াঁশ মাটি এবং দু’ কেজি শুকনো গোবর সার মিশিয়ে মাটির মালসাটা ভর্তি করুন। এর পর পাত্রটি পানি মিশিয়ে কাদা করে নিন।
** এক হাতের পাঁচ আঙ্গুল এক জায়গায় জড়ো করে কাদার মধ্যে ডুবিয়ে দিন। আঙ্গুলগুলো ধীরে ধীরে চারদিকে প্রসারিত করুন। একটা সুন্দর গর্ত হয়ে যাবে। গর্তের মধ্যে শাপলার চারাটিকে সাবধানে বসিয়ে দিন। কোন ভাবে যেন শাপলার শেকড়ে চাপ কিংবা আঘাত না লাগে।
** শাপলা চাষ করার জন্য খেয়াল রাখবেন পাত্রটি যেন মোটামুটি গভীর হয়। শাপলা চাষ করার জন্য আপনি আপনি ইচ্ছা করলে হাফ ড্রাম, বড় মাটির চারি বা প্লাস্টির সবচেয়ে বড় গামলা বা সবচেয়ে বড় বালতি (৩৫ লিটার সাইজের) নিয়ে এর মধ্যে আস্তে আস্তে পানি ঢেলে উপরের দিকে ১ ইঞ্চি খালি রেখে ভর্তি করে ফেলুন।
** এবার মাটির মালশাটি আস্তে করে শাপলা চাড়ি বা গামলা বা বালতিতে ডুবিয়ে দিন। হয়ে গেল আপনার শাপলা লাগানো।।

ছোট্ট পুকুরের যত্নঃ

** পানি ঢালার পরে পানিটা সামান্য ঘোলা হবে। ২৪ ঘন্টা পরেও যদি ঘোলাটে ভাব না কাটে, বুঝতে হবে আপনার মাটি নির্বাচণ সঠিক হয়নি।
** সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রোদ পায় এমন জায়গায় গামলাটি রেখে দিন। মনে রাখবেন দুপুর ২টার পরে যেন শাপলায় কোন অবস্থায়ই রোদ না পায়। কড়া রোদে পানি গরম হয়ে গেলে শাপলার পাতা হলুদ হতে থাকে।
** শাপলার পাতা, কুড়ি ও ফুলে ভরে না ওঠা পর্যন্ত টবের পানির উপরে কয়েকটা টোপা পানা ভাসিয়ে দিতে পারেন। রোদে বেশী গরম হওয়া থেকে বাঁচাবে।
** প্রথম দিকে কিছু পাতা সব মরে যেতে পারে । এতে বিচলিত না হয়ে যত্ন নিন । কয়েক মাসের মধ্যে নতুন পাতা আসবে ।
**শাপলা চারা লাগানোর ১মাস এর মধ্যে পানি বদল না করাই ভাল । পানি বদলানোর সময় পাত্রের গায়ে জন্মানো পিচ্ছিল শেওলা পরিষ্কার করে দিন ভাল করে।
** প্রতিদিন অন্তত একবার করে দেখুন শাপলা চাড়ি বা গামলাতে পানি আছে কিনা। পানি কমে গেলেই আবার পানি দিয়ে ভরে দেবেন। চাইলে বৃষ্টি পানি জমিয়ে রাখতে পারেন। পানি কমে গেলে জমানো বৃষ্টির পানি দিলে গাছ ভালো থাকবে।
** মরা পাতা জমতে দেবেন না। পাতা মরে পচে গেলে পানি নষ্ট হয়ে তাতে শ্যাওলা জমবে।
** কোন প্রকার রাসায়নিক সার ব্যবহার করা যাবে না তাতে গাছ মারা যেতে পারে।
** শাপলার গামলায় কিছু পানা ও গাপ্পি ছেড়ে দিন। পানা পানি পরিষ্কার রাখবে আর গাপ্পি মশা ডিম পাড়লে সেই ডিম ও লার্ভা খেয়ে পরিবেশ মশামুক্ত রাখবে।

 
শাপলার ঔষধি গুনাগুনঃ
শাপলার অনেক ঔষুধি গুণাগুণ রয়েছে। শাপলা রক্ত দোষ ও বহুমূত্র রোগে অনেক উপকারে আসে। এছাড়াও শাপলা প্রসাবের জ্বালা পোড়া, আমাশয় ও পেট ফাঁপায় উপকারী।
 
শাপলার অন্যান্য ব্যবহারঃ
শাপলা কে শুধু সবজি হিসেবে খাওয়া হয় তা নয় শাপলার ফলগুলো পাকলে ফেটে যায়। ফলের মধ্যে থাকে কালে ও বাদামী রঙের অসংখ্য বীজ। এই বীজ রোদে শুকিয়ে গরম বালু দিয়ে আগুনে ভেজে খই তৈরি করা যায়। ইলিশ ও চিংড়ি মাছের সাথে রান্না করলে অতুলনীয় স্বাদ পাওয়া যায়।

গুনিজনেরা বলে শাপলাতে নাকি সামান্য পরিমানে মধু থাকে যা আহরণে মৌমাছি ছুটে আসে। আর মৌমাছি যদি কোন বাগানে আসা যাওয়া করে তাহলে না কি সে বাগানে অন্যান্য গাছে পরাগায়ন ভাল হয়। বাগান ফুলে ফলে ভরে উঠে।। সুতরাং আসুন না সবাই শাপলা লাগাই কেননা, কম বেশী সারাবছরই এতে ফুল থাকে। যা সারা দিন ব্যাপী এর সৌন্দর্য বিলিয়ে যায়।

0
0
Read More
  • 1
  • 2
  • 3
  • …
  • 54
  • 55
  • Next

LET’S KEEP IN TOUCH!

Sign up for exclusive deals and promos

Need to chat?

  • 01908597470 / 01908597471
  • info@krishibazar.com.bd

© 2020, Krishi Bazar. All Rights Reserved..

Login

Forgot Password?

Close
Sign in Or Register
Forgot your password?

NEW HERE?

Registration is free and easy!

  • Faster checkout
  • Save multiple shipping addresses
  • View and track orders and more
Create an account
x
X
  • Menu
  • কেনাকাটা
    • বায়োফ্লক
      • তারপলিন (ত্রিপল)
      • এয়ার পাম্প
      • মিটার
      • অন্যান্য সরঞ্জামসমূহ
    • অন্যান্য মেশিনারিজ
    • ছাদ কৃষি
    • জৈব সার
    • নার্সারী
      • ইনডোর প্লান্ট
      • ফলজ বৃক্ষ
      • ফুল গাছ
      • শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষ
    • বীজ
      • বীজ প্যাকেজ
    • বীষমুক্ত খাবার
      • গুড়
      • ফল
    • মাছের পোনা
      • ক্যাট ফিস
      • বাংলা মাছ
    • মাশরুম
    • অন্যান্য কৃষি পন্য
      • হাঁসের বাচ্চা
      • মুরগির বাচ্চা
  • কৃষি মেশিনারিজ
    • কৃষি যন্ত্রপাতি
  • ভিডিও গ্যালারী
  • ট্রেনিং
    • বায়োফ্লোক অনলাইন কোর্স
    • বায়োফ্লোক PDF বই
    • বায়োফ্লক অফলাইন কোর্স
    • Dashboard
  • ব্লগ