হেচি শাক বা মালঞ্চ শাক একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম। এটি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এই শাকের পাতা দেখতে চিড়ার মত হওয়ায় স্থানীয়রা একে চিড়া শাক বলা হয়ে থাকে। হেচি শাক বাংলাদেশের সর্বত্র জন্মায়। হেচি শাকের ভেষজ গুণাগুণ রয়েছে।
দেখতে কেমন :
চিড়া শাক স্থানীয়দের একটি অতি প্রিয় শাক ।পরিবারভূক্ত এই উদ্ভিদটি বাংলাদেশের একটি অতি পরিচিত সপুষ্পক শাক। এর পাতা দেখতে চিড়ার মত হওয়ায় স্থানীয়রা একে চিড়া শাক বলেন। এই শাক মাটিতে ঘন ভাবে বিছিয়ে থাকে। শাকের মূল কান্ড থেকে ছোট ছোট ডাল বের হয় যা শাক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর পাতা রং সবুজ তবে কান্ড লালচে খয়েরী রংয়ের হয়। অগ্রহায়ন মাসে এই গাছে ছোট ছোট হলুদ রংয়ের ফুল ধরতে দেখা যায়। পাতা গুলো মোটা এবং রসালো। ফুল গুলো কান্ডের সাথে লেগে থাকে। ফুল থকে ছোট ছোট লাল রংয়ের বীজ হয়। বীজের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ঘটলেও অনেকে শাক তোলার পর বাড়ির আশেপাশে কাটা শেকড় গুলো নরম মাটিতে গেঁথে রাখেন যাতে এর বংশবৃদ্ধি ঘটে।
কখন পাওয়া যায় :
বৃষ্টি বেশী হলে এই শাক বেশী দেখা যায় তবে সারা বছর কমবেশী এই শাক দেখা যায়। বর্ষার পরবর্তী সময়ে বাড়ীর আশে পাশের স্যাঁত স্যাঁতে জমিতে এই শাক পাওয়া যায়।
কিভাবে খাওয়া যায় :
এই শাক খেতে একটু টক টক লাগে। শাক তোলার পর তাজা শাক ভাল করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এই শাক অন্যান্য শাকের মত তেল, মরিচ, পেয়াজ, লবন দিয়ে ভেজে খাওয়া হয়। এলাকাভেদে রান্নায় হলুদ-মরিচ বা অন্য মশলা স্বাদ মতো মেশানো যেতে পারে। টাঙ্গাইলের মান্দি(গারো) আদিবাসীরা কলাপাতার ভেতর এই শাক ভরে চুলার কয়লার আগুনে পোড়া দিয়ে খান।
উপকারিতাঃ
১। হেচি শাকের রস খেলে স্নায়ুর সমস্যা ভালো হয়।
২। হেচি শাক রান্না করে খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং টেনসন কমাতে সাহায্য করে।
৩। হেচি শাক দিয়ে খিচুড়ি বানিয়ে খাওয়ালে শিশুর পুষ্টির চাহিদা পূরন হয়।
৪। হেচি শাক ভাতের সাথে খেলে পেটের সমস্যা ভালো হয়।
৫। হেচি শাকের রস করে গরম করে খেলে হাঁচি-কাশি-সর্দি ছাড়াও এলার্জি কমাতে সাহায্য করে।