স্বর্ণ অশোক একটি বহুবর্ষী বৃক্ষ বিশেষ। এর উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম saraca thaipingensis (সারাকা থাইপিংগেনসিস)। গাছটি ফ্যাবেসি পরিবারের সদস্য।ইন্দোনেশিয়ার জাভা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও মিয়ানমার প্রভৃতি দেশে স্বর্ণ অশোক সহজলভ্য। বাংলাদেশে এ গাছ খুব একটা দেখা যায় না। তবে ঢাকার গার্ডেনের সাইকি অংশে স্বর্ণ অশোক, রাজ অশোক ও কাউলি অশোক নামে তিন ধরণের অশোক গাছ রয়েছে।এই গাছ ৭ থেকে ২০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। গাছের কান্ডের রং কালচে এবং প্রায় মসৃণ। পৌষ ও মাঘ মাসে ফুল ফোঁটে। রাতের বেলায় এ ফুল থেকে হালকা মিষ্টি গন্ধ ভেসে আসে। ফুল থেকে চ্যাপ্টা শিমের মতো ফল হয়। অন্যান্য অশোকের চেয়ে স্বর্ণ অশোকের পাতা কিছুটা বড়। পাতার রং সবুজ, তবে কচি পাতার রং তামাটে লাল। বীজ থেকে চারা হয়। এছাড়া ডালে গুটি কলমের মাধ্যমেও চারা তৈরি করা যায়। স্বর্ণ অশোক ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
উপকারিতাঃ
১। স্বর্ণ অশোক গাছের ছাল সিদ্ধ করে লবন মিশিয়ে সকাল বিকেল খেলে স্নায়ুগত বাতে উপকার পাওয়া যায়।
২। স্বর্ণ অশোক গাছের ছাল সিদ্ধ করে ছেঁকে গরম অবস্থায় সকাল বিকেল খেলে রক্তযুক্ত অর্শ ভালো হয়।
৩। খসখসে হলে স্বর্ণ অশোক গাছের বীজ বেটে হলুদের মতো মাখলে চর্মরোগ ভালো হয়।
৪। যাদের পিপাসা হয় বা শরীরে জ্বালাপোড়া হলে স্বর্ণ অশোক গাছের ছাল সিদ্ধ করে এই ক্বাথ দিয়ে শরীরটা মুছে দিতে হবে এরপর কিছুক্ষণ পর গোসল করলে গায়ের দাহ কমবে।
৫। কোন জায়গা কেটে গেলে স্বর্ণ অশোক ছালের মিহি গুঁড়ো সেখানে টিপে দিয়ে বেঁধে রাখলে রক্তপড়া বন্ধ হয়ে যাবে।