শীতকালীন পুষ্টিকর সবজির মধ্যে অন্যতম হলো লাউ। তবে এখন সারাবছরই লাউ চাষ হয়। লাউয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান ও পানি। এর পাশাপাশি রয়েছে উপকারি ফাইবার। প্রতি ১০০ গ্রাম লাউয়ে আছে- খাদ্যশক্তি ১৪ কিলোক্যালরি, আমিষ ০.৬২ গ্রাম, শর্করা ৩.৩৯ গ্রাম, ভিটামিন সি ১০.১ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৫০ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১১ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৬ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ২ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১৩ মিলিগ্রাম এবং ফাইবার .০৫ গ্রাম।
লাউয়ে থাকা উপরোক্ত উপাদানগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের নানাভাবে উপকার করে থাকে। এবার লাউ খেলে যে উপকারগুলো পাওয়া সম্ভব তা জেনে নেওয়া যাক …
ওজন কমায়
কম ক্যালরির খাবার হিসেবে লাউ আদর্শ খাবার। লাউয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার এবং খুবই কম ক্যালোরি ও ফ্যাট থাকে যা ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতেও সাহায্য করে লাউ।
হার্ট ভালো রাখে
লাউয়ে কলেস্টেরলের পরিমাণ শূন্য, তাই লাউ হার্টের জন্য ক্ষতিকর তো নয়ই বরং উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হার্টের জন্যে খুবই স্বাস্থ্যকর। আবার ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীরা পেট ভরে খেতে পারেন লাউ।
হজম ও পাইলসে উপকারী
প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার এবং পানি থাকে লাউয়ে। দ্রবণীয় ফাইবার খাবার হজম করতে সাহায্য করে এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যা যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা ও এসিডিটির সমস্যা দূর করে। যারা পাইলসের সমস্যা আছেন তারা লাউ খেলে অনেক উপকার পাবেন।
পানির শূন্যতা দূর করে
শীতের সময় সাধারণত পানি কম খাওয়া হয়, তাই লাউ খেলে পানির শূন্যতা অনেকটাই পূরণ হবে। কারণ লাউয়ের মূল উপাদান হলো পানি।
ভালো ঘুম হয়
লাউ এবং লাউ শাক খেলে মস্তিষ্ককে ঠাণ্ডা থাকে এবং দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যার কারণে ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা দূর করে পরিপূর্ণ ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে লাউ।
ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করে
লাউ পেট পরিষ্কার রাখার কারণে মুখে ব্রণ ওঠার প্রবণতাও কম থাকে। আবার ত্বকের ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে লাউ। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা লাউ খেলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব অনেকটাই কমে যাবে।
অনলাইনে বীজ কোথায় পাওয়া যায়ঃ
দোকানের পাশাপাশি এখন অনলাইনে বীজ কিনতে পারবেন। কিনতে নিচে বীজ লেখা লিঙ্কের উপর ক্লিক করুনঃ