মেহগনি একটি বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ বিশেষ। মেহগনি বাংলাদেশের নিজস্ব গাছ না হলেও আর্থিক লাভের কারনে বর্তমানে ব্যাপকভাবে এ গাছের চারা রোপন করা হয়ে থাকে। ফলে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে এ গাছের আধিক্য লক্ষ্য করা যায়। পোকামাকড় দমন করতে মেহগনি গাছের বীজ থেকে তৈরি তেল বিশেষ উপযোগী। তবে ভিনদেশি এ গাছের উপকারি দিকের পাশাপাশি অপকারি দিকও রয়েছে। মেহগনি গাছের পাতার ক্ষতিকারক রস মাটিকে অনুর্বর করে তোলে, কোনো কীটপতঙ্গ বাঁচতে পারে না। এ গাছের ফল কোন পশু-পাখি ভক্ষণ করে না এবং কোন পাখি গাছটিতে বাসা বাঁধে না। এ গাছের পাতা পানিকে মারাত্নকভাবে দূষিত করে। ফলে চাষের মাছ সেখানে তেষ্টাতে পারে না। এ গাছ হাঁস-মুরগি ও পাখিদের ক্ষতিকর নিউ ক্যাসেল রোগের জন্য দায়ী।মেহগনি গাছের পাতা, বিচি, ফল, মূল, বাকল ঔষধ হিসেবে ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
উপকারিতাঃ
১। মেহগনি ফলের বিচির ভেতরের সাদা শাঁস পানিতে ভিজিয়ে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে।
২। মেহগনি গাছের বাকলের নির্যাস শক্তিবর্ধক। তাই মেহগনির বাকল সিদ্ধ করে সেবন করলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।
৩। মেহগনির বিচি, ফল ও মূলের গুঁড়ো খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়।
৪। মেহগনি বীজের সাদা অংশ দিয়ে তেল তৈরি হয়। এই তেল ভেষজ কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
৫। ফসল পাখির আক্রমন থেকে বাঁচাতে মেহগনি গাছের ডাল কলম করে লাগিয়ে চাড়ার মত করে ক্ষতের পাশে লাগালে পাখির আক্রমন থেকে বাঁচা যায়। এই গাছে পাখি বাসা বানায় না এমনকি বসেও না।