মুচকুন্দের বৈজ্ঞানিক নাম Petrospermum acerifolium, পরিবার Sterculiaceae, অন্যান্য নাম Bayur Tree, Maple-Leafed Bayur Tree, Dinner Plate Tree । দেখতে ঠিক যেন আধখানা খোসা ছড়ানো কলা। রঙ ফ্যাকাসে হলুদ। তবে গন্ধ মন মাতানো। ফুল ফুটলে বাতাসে গন্ধ মৌ মৌ করে। মিষ্টি নেশা ধরা গন্ধ! শেষ বসন্ত বা চৈত্র মাসের ফুল। গাছে ফুল থাকে গ্রীষ্মকাল জুড়ে। এই ফুল কোথাও কোথাও কুসুম ফুল, কাঠচমপা নামেও পরিচিত । আবার কেউ কেউ বলেন মুছকুন্দা। মুচকুন্দ চাঁপা অসাধারণ আর অদ্ভুত ধরনের ফুল। বিশাল গাছের পাতা গোলাকার বলা যায়। পাতার উপরিভাগ উজ্জ্বল সবুজ চকচকে আর মসৃণ। পেছনটা রুক্ষ ধূসর। গাছের উচ্চতা ৫০ থেকে ৬০ ফুট হয়ে থাকে। উচ্চতার জন্য গাছে ফুল দেখা কঠিনই বটে। মুচকুন্দ চাঁপা আড়াল বেশি পছন্দ করে। তবে পুষপপ্রেমীদের নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। ফুল বাসি হলে ঝরে পড়ে। পুরো মুচকুন্দতলা বাসি ফুলে ছেয়ে যায়। মুচকুন্দ চাঁপার আদিবাড়ি হিমালয়ের পাদদেশ, মিয়ানমার, আসাম ও চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চল। মুচকুন্দ গাছের পাতা ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
উপকারিতাঃ
১। হাত-পা জ্বালাপোড়ায় মানুষ পাতার ডগা ভিজিয়ে রস খেলে উপকার পাওয়া যায়।
২। মুচকুন্দ গাছের বাকল ও পাতা বসন্ত রোগের মহৌষধ।
৩। পোকামাকড় কামড় দিলে মুচকুন্দ গাছের পাতার রস লাগালে ব্যথা ভালো হয়।
৪। মুচকুন্দ গাছের পাতার রস ছাগলের দুধের সাথে সাথে গরম করে খেলে আমাশয় দ্রুত ভালো হয়।
৫। শরীরে চর্মরোগ দেখা দিলে মুচকুন্দ গাছের বাকল থেঁতো করে পানিতে গরম করে সেই পানি দিয়ে প্রতিদিন গোসল করলে চর্মরোগ ভালো হয়।.