মাগুর মাছ এক প্রকার জিওল মাছ। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, চিন, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশে এই মাছের বিস্তার। এই মাছ ফুলকার সাহায্যে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র দিয়ে বাতাস থেকে সরাসরি অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে। অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র থাকার ফলে মাগুর মাছ জলের বাইরে অনেকক্ষণ পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এই জন্য এদের জিওল মাছ বলে। এদের দেহে আঁশ নেই, বক্ষ পাখনায় কাটা আছে এবং মুখে চার জোড়া শুঁড় আছে। এদের ক্যাট ফিশও বলা হয়। মাগুর মাছ সহজেই বক্ষ পাখনার দুই কাঁটার সাহায্যে শুকনো স্থান দিয়ে অতি দ্রুত পুকুর থেকে চলে যেতে পারে।
পুষ্টিগুণঃ
মাগুর মাছের পুষ্টিগুণ ব্যাপক। অসুস্থ রোগীর খাদ্য হিসেবে এই মাছ বহুল প্রচলিত। প্রতি ১০০ গ্রাম মাগুর মাছে ৩২.০ গ্রাম আমিষ, ২.০ গ্রাম চর্বি, ১৭২ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৩০০ মিলিগ্রাম ফসফরাস এবং ০.৭ মিলিগ্রাম লোহা থাকে।
খাদ্যাভাসঃ
মাগুর মাছ প্রধানত পুকুরের তলদেশ থেকে খাবার খায়। ছোট অবস্থায় সবুজ কণা ও প্রাণীকণা, আধাপচা পাতা, কীট, জলজ সন্ধিপদ প্রাণী, পতঙ্গ খায়। প্রাপ্তবয়ষ্ক মাছ বিভিন্ন পোকামাকড়, শূককীট বা মূককীট, জলদ উদ্ভিদ, প্রটোজোয়া, শামুক ঝিনুক, কাদা, বালি ইত্যাদি খেয়ে জীবণ ধারণ করে। বিভিন্ন সম্পুরক খাদ্য যেমন- কুঁড়া, ভূষি, ফিসমিল ইত্যাদিও এরা খেয়ে থাকে।
প্রজননঃ
প্রাকৃতিক পরিবেশে ৩৫-৫০ সেমি গভীরতায় মাগুর মাছ বছরে একবার প্রজনন করে৷ জুন-জুলাই থেকে আগষ্ট-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ মাছ প্রজনন করে থাকে। বাংলাদেশে বর্তমানে মাগুর মাছের কৃত্রিম প্রজনন সম্ভব হয়েছে এবং এর সাহায্যে কিছু পোনাও উৎপাদন করা গেছে।
মাছের ডিমঃ
মাগুর মাছ অগভীর জলাশয়ে গর্তের মধ্যে ডিম ছাড়ে। আবার পুকুর এবং অন্যান্য বদ্ধ জলাধারে এদের প্রজনন ঘটে থাকে। পূর্ণবয়স্ক মাছ ২৩৪০-১৩৪০০ টি ডিম ছাড়তে পারে বলে জানা গেছে।
মাছের পোনা কোথায় পাওয়া যায়ঃ
হ্যাচারীর পাশাপাশি এখন অনলাইনেও অর্ডার করে কিনতে পারবেন যে কোন মাছের পোনা । মাছের পোনা কিনতে ক্লিক করুন নিচে দেয়া মাছের পোনা লেখার উপর।