মরিচা বা কাকটুরী বা বন কার্পাস বা ইপিকাক একটি চিরসবুজ, খাড়া কাণ্ড বিশিষ্ঠ, বহুবর্ষজীবী ছোট গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এটি সাধারনত জঙ্গলে জন্মাতে দেখা যায়। মরিচা ফুল প্রাকৃতিকভাবে উষ্মমন্ডলে যেমন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, ভারত, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডসহ পূর্ব এশিয়ার প্রায় সকল দেশেই পাওয়া যায়। এছাড়া ফুলচাষীরা এই গাছ বাড়ির বাগানে ও টবে রোপন করে থাকে।
এই গাছটি সাধারনত ১ মিটার (৩.৩ ফুট) পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। পত্র সবৃন্তক, পত্রবৃন্ত অনূর্ধ্ব দেড় সেন্টিমিটার লম্বা, পত্রফলক ১০ থেকে ১২ সেন্টিমিটার, সুস্পষ্টভাবে বল্লমাকার, দুদিকে ক্রমান্বয়ে সরু, পাতলা ঝিল্লিময় ও মসৃণ। পাতা বিপ্রতীপ ও কাঁচা সবুজ রঙের। এই গাছের গোড়া থেকেই ডালপালা জন্মায়। পুষ্পমঞ্জরিতে ৮ থেকে ১০টি করে ফুল থাকে। মঞ্জরিদণ্ড প্রায় সাত সেন্টিমিটার উঁচু। দলমণ্ডল উজ্জ্বল, গাঢ়-রক্তিম-লাল ও মসৃণ। পরাগধানী প্রায় আড়াই সেন্টিমিটার লম্বা। প্রস্ফুটনকাল প্রায় বর্ষব্যাপ্ত। ফল লম্বাটে, আগা চোখা, পরিপক্ব হলে আপনাআপনিই ফেটে যায়। ভেতরটা মসৃণ ও কোমল তুলায় পূর্ণ।এই গাছের পাতা ও মূল ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
উপকারিতাঃ
১। মরিচা গাছের পাতার রস নিয়মিত খেলে মুখের অরুচি ভাব কেটে যায়।
২। মরিচা গাছের পাতা বেটে ক্ষতে লাগালে ক্ষত দ্রুত ভালো হয়।
৩। আমাশয় রোগ দেখা দিলে মারিচা গাছের মূল সিদ্ধ করে এই ক্বাথ নিয়মিত খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৪। মরিচা গাছের পাতা সিদ্ধ করে কুলকুচি করলে পায়রিয়া সমস্যা ভালো হয়।
৫। মরিচা গাছের মূল সিদ্ধ করে খেলে পেটের সমস্যা ভালো হয়।