বাজরিগারকে বলা হয় কেইজ বার্ড বা খাঁচার পাখি। বন্যপাখি পালন করা বা ধরা আইনত অপরাধ। খাঁচায় পালন করা পাখি, জন্ম থেকে খাঁচাতেই বসবাস করে। এসব পাখি বাইরে ছেড়ে দিলে আশ্রয়স্থল খুঁজে তো পাবেই না, উল্টো তারা কাকের খাবার হয়ে যাবে নিশ্চিত। এই রকমই খাঁচার পাখি হচ্ছে বাজরিগার।
বাজরিগা পাখি এর বেসিক রঙ দুইটি একটি সবুজ অন্যটি নীল। ডার্ক ফ্যাক্টর অনুযায়ী আবার দুটি রঙের ই তিনটি করে ধরন আছে সবুজের জন্য লাইট গ্রীন,ডার্ক গ্রিন এবং অলিভ। ধারাবাহিকভাবে এগুলা একটি থেকে অন্যটি গাঢ় দেখায় নীল এর ক্ষেত্রে স্কাই ব্লু, কোবাল্ট এবং মোভ।
বাজরিগার পাখি পালনের জন্য কিছু পরামর্শঃ
আপনারা যারা নতুন বাজরিগার পাখি পালক বা পুষবেন বলে চিন্তা ভাবনা করছেন তাদের জন্য কিছু নিচের কিছু গুরুত্বপূর্ন পরামর্শ জেনে রাখা দরকার।
১। প্রথমে আপনার মনকে স্থির করুন পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে কথা বলুন এবং তাদের মতামত নিন। পরিবারের সম্মতি থাকলে তাহলে পাখি কিনুন, কেননা মাঝে মাঝে তাদের সাহায্য আপনার প্রয়োজন হতে পারে। তাছাড়া বাজরিগার পাখি অনেক অনেক ডাকাডাকি করে। পরিবারের সম্মতি না থাকলে আপনাকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হতে পারে,
২। কয়েকজন পাখি পালকের সাথে কথা বলুন। তারা কিভাবে পাখি পালে তা লক্ষ্য করুন। তাদের সাথে সুবিধা ও অসুবিধাগুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
৩। পাখি পালন করতে গিয়ে আপনি যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হবেন, তা মোকাবেলা করার জন্য কতটুকু প্রস্তুত তা যাচায় করুন।
৪। প্রাথমিক অবস্থায় লাভের চিন্তা করবেন না। আগে পাখি সুস্থভাবে পালন করা শিখুন তারপর অন্য চিন্তা করুন।
৫। ডিম বাচ্ছার লোভে পাখি পালার কথা চিন্তা করবেন না। এদের সঠিকভাবে যত্ন করলে নিজ থেকে এরা আপনাকে আনন্দে ভরিয়ে দিবে।
৬। বাজরিগা পাখি কেনার আগে পাখি রাখার জন্য যতাযথ স্থান এবং খাচার ব্যবস্থা করুন।
৭। প্রথমে ২ জোড়া কম বয়সী পাখি কিনুন, ছেলে মেয়ে পাখিকে আলাদা রাখুন। বাজরিগার পাখির বয়স সর্বনিম্ন ৮ মাস হলে ব্রীডিং অবস্থায় আসলে ছেলে মেয়ে পাখিকে একসাথে দিন। মনে রাখবেন, সঠিক নিয়মে পাখি পালন না করলে এরা আপনার মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
অনলাইনে পাখি কোথায় পাওয়া যায়ঃ
দোকানের পাশাপাশি পাখি এখন অনলাইনে অর্ডার করে কিনতে পারবেন। অর্ডার করতে নিচে দেয়া পাখি লেখার উপর ক্লিক করুনঃ