চিনা তিতির (বৈজ্ঞানিক নাম: Francolinus pintadeanus) (ইংরেজি: Chinese Francolin) Phasianidae (ফ্যাসিয়ানিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Francolinus (ফ্র্যাঙ্কোলিনাস) গণের এক প্রজাতির বুনো তিতির। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে এদের বিস্তৃতি। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এদের আবাস, প্রায় ২০ লাখ ৭০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। গত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা বাড়েনি আবার কমেও যায়নি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে Least Concern বা ন্যুনতম বিপদযুক্ত বলে ঘোষণা করেছে। সমগ্র পৃথিবীতে আনুমানিক ১০ হাজার থেকে ১ লাখ চিনা তিতির রয়েছে। চিনা তিতির বহু জায়গায়ই দেখা গেলেও খুব লাজুক আর লুকিয়ে পড়ায় ওস্তাদ বলে এদের সংখ্যা সম্বন্ধে খুব ভালভাবে নিশ্চিত হওয়া যায় নি
বিস্তৃতি
ভারত (প্রধানত মণিপুর রাজ্যে), মায়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, হংকং ও চীন চিনা তিতিরের প্রধান আবাস। বাংলাদেশে এদের অস্তিত্ব অনিশ্চিত। কেবলমাত্র একটি তালিকায় এদের বাংলাদেশের পাখি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন প্রমাণ মেলে নি।
বিবরণ
তিতির প্রজাতিগুলোর মধ্যে কালো তিতির আর চিনা তিতির সৌন্দর্যের দিক থেকে অগ্রগণ্য। চিনা তিতির ছোট মুরগির আকারের। এর থুতনি ও গাল সাদা এবং এই দুই অংশ একটি কালো দাগ দিয়ে বিভক্ত থাকে। ভ্রু ও ভ্রু-রেখা কালো। মাথার চাঁদি লালচে-বাদামি রঙের। সারা শরীর কালো-সাদা ফোঁটাযুক্ত। বগল বাদামি রঙের। সাদা পিঠে অসংখ্য কালো চিকন দাগ থাকে। লেজ ছোট ও কালো। দেহতল ফ্যাকাসে মেটে রঙের। ঠোঁট সীসা বর্ণের, ঠোঁটের আগা ফ্যাকাসে। চোখ কালো। পা হলদে-কমলা রঙের। পুরুষ ও স্ত্রী তিতিরের মধ্যে চেহারা ও আকারের দিক থেকে তেমন একটা পার্থক্য নেই। কেবল স্ত্রী তিতির দেখতে একটু ফ্যাকাসে হয়, আর পায়ের পেছনে গজালের মত নখর থাকে না।