কামিনী ফুলের ইংরেজি নামঃ ( Murraya paniculate ) সাধারণত আমাদের দেশে এ ফুল কমলা জুঁই নামেও সুপরিচিত । কামিনী একধরনের ক্রান্তীয়, চিরহরিৎ উদ্ভিদ যা ছোট, সাদা, সুবাসিত ফুল জন্মদানের মাধ্যমে শোভাময় বৃক্ষ বা প্রতিবন্ধক হিসাবে বর্ধিত হয়। কামিনী ঘনিষ্ঠভাবে লেবুবর্গের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং কামকুআট সাদৃশ লাল-কমলা আকারে ছোট ফল বহন করে তবে কিছু প্রজাতি ফল উৎপাদন করে না।
কামিনী(কমলা জুঁই)-এর বৈশিষ্ট
১। কমলা জুঁই ৭ মিটার লম্বা পর্যন্ত বর্ধনশীল একটি ছোট, ক্রান্তীয়, চিরহরিৎ গাছ বা গুল্ম। এই গুল্ম সারা বছর ধরে ফুল ফোটাতে পারে।
২। এর তার পাতার ধরন রোমশ এবং চকচকে হয়ে থাকে।
৩। ফুল সধারণত প্রান্তিক, অল্প-কুসুমিত, ঘন এবং সুগন্ধি হয়ে থাকে।
৪। পাপড়ি সাদা (বা ক্রিম ফেইড) রঙে আবৃত্ত থাকে এবং ১২-১৮ মিলিমিটার দীর্ঘ হয়।
৫। কামিনীর ফল কমলা থেকে লাল বর্ণের, মাংসল এবং এবং দৈর্ঘ্যে ১ ইঞ্চি পর্যন্ত আয়তাকার-ডিম্বাকার হয়ে থাকে।
উপকারিতাঃ
১। আমাশয় হলে কামিনী গাছের মুল ছাল পানিতে সিদ্ধ করে নামিয়ে সেই পানি ছেকে সেবন করলে আমাশয় কমে যায় ।
২। কাটা – ছেড়ায় কামিনী পাতার গুড়ো টিপে দিয়ে বেধে রাখলে ব্যথা হয় না। আবার রক্ত পড়া বন্ধ হয়।
৩। সর্দি-কাশিতে কামিনী পাতার রস খেলে সহজেই নিরাময় পাওয়া যায়।
৪। এছাড়াও কামিনী গাছের মূল ছাল, ফুল, পাতা ও ফলের অনেক উপকারীতা আছে।
অনলাইনে বীজ কোথায় পাওয়া যায়ঃ
দোকানের পাশাপাশি এখন অনলাইনে বীজ কিনতে পারবেন। কিনতে নিচে বীজ লেখা লিঙ্কের উপর ক্লিক করুনঃ