ইংরেজিভাষায় এই লেবুকে কাফির লাইম, ম্যাকরুট লাইম বলে ডাকা হয়। কাফির নামকরণের উৎস অনিরুপিত, সাধারণত মুসলমানগণ অমুসলিম বোঝাতে কাফির শব্দ ব্যবহার করে থাকে। আর এই লেবুটি অমুসলিম প্রধান অঞ্চলে জন্মে থাকে বলে এরকম নামকরণ হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু এর পেছনে কোন জোরালো প্রমাণ নেই। কাফির লেবুর গাছ কাঁটাযুক্ত ঝোঁপজাতীয়, ৬ থেকে ৩৫ ফুট উঁচু, সুগন্ধিত, বিশেষ আকৃতির পাতাবিশিষ্ট। ফলের খোসা অমসৃণ, কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পরিপক্ব দশায় হলুদ রঙের হয়। বাহ্যিক চেহারা এবং ছোট আকারের কারণে একে সহজে আলাদা করা যায়। ফলের প্রস্থ ৪ সেন্টিমিটার। এই গাছ বাংলাদেশ সহ, ভারত, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া,থাইল্যান্ড এবং ফিলিপাইন সহ উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে জন্মে। কাফির লেবুর ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে।
উপকারিতাঃ
১৷ কাফির লেবুতে অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল ও অ্যান্টি ভাইরাল থাকায় অতিরিক্ত ওজন কমাতে , হজম শক্তি বাড়াতে , এবং লিভারের ময়লা পরিষ্কারে সাহায্য করে।
২। এতে প্রচুর পরিমানে সাইট্রিক এসিড ,ক্যালসিয়াম ও লিমলিন থাকে যা এন্টিবায়োটিক হিসাবে কাজ করে শরীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৩। ভিটামিন সি এর বড় উৎস বলে পাকস্থলী ও হৃদপিণ্ডএর বিভিন্ন রোগ সহ সর্দি কাশি, জ্বর , ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ ও হাইপারটেঁশনে কাফির লেবু খুব ভাল উপকার দেয়।
৪। সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা যে, কাফির লেবু সব ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৫। সকাল বেলা কাশির কাফির লেবুর রস খেলে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে।
৬। কাফির লেবু খাবারের অনিহা দূর করে খাবারের প্রতি রুচি বাড়ায়।
কিছু এশীয় দেশে এই ফলের রস এবং খোসাবাটা প্রথাগত চিকিৎসা ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হয়। শ্যাম্পু তে লেবুর রস ব্যবহার করা হয়। বিশ্বাস করা হয় এটা মাথার উকুন মেরে ফেলে।
অনলাইনে গাছপালা কোথায় পাওয়া যায়ঃ
নার্সারির পাসাপাসি গাছপালা কিনতে পারবেন এখন অনলাইনে ।গাছপালা কিনতে ভিজিট করুন নিচে দেয়া নার্সারী লেখার উপর এবং অর্ডার করতে পারেন দেশের যেকোন প্রান্ত থেকেঃ